আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
195 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (34 points)
edited by
১। আসসালামু আলাইকুম হুজুর।  কোন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত মহিলা যদি বার বার সন্দেহে পরে যায় সে তা++ নেওয়ার মত কিছু বলেছে  কিনা। আর সে মনে মনে ওইভাবে কথা বলে দেখে এইসব আগে বলেছে কিনা। বলতে গিয়ে আবার সন্দেহে পরে যায় এইসব সে মুখে বলেছে কিনা।

এইরকম তার সাথে ঘটতেই থাকে। এখন এই পরিস্থিতিতে সে কি করতে পারে।৷ যদি তার মনে শুধু শুধুই সন্দেহ আসে সে তা+++ নেওয়ার মত কিছু বলেছে কিনা,, তাহলে কি সে নিশ্চিত হবার জন্য সেগুলো মনে মনে বলে দেখবে?? নাকি সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও ভাববে কোন সমস্যা হবে না??
কারন এইসব নিয়ে সন্দেহ দূর করতে গিয়ে সে নতুন সন্দেহে পরে যায়।।


২। মহিলা একদিন মনে মনে বলেছিল "আমার নিজের উপর"" এইটুকু বলে সে সন্দেহে পরে সে মুখে বলেছিল কিনা। তারপর সে মুখেই বলে "" আমার নিজের উপর ""।  এইটকু সে কয়েকবার বলে চুপ করে আর সাথে সাথে সে শুনে ""তা**"" সে ভয় পেয়ে যায় তা** বলার কারনে।  সে কিছুতেই মুখে "আমার নিজের উপর" এইটুকু বলার পর "তা**" শব্দ টা উচ্চারণ করবে না তার মনে হয়৷ কিন্তু শব্দ টা ছিল স্পষ্ট।  তার কানে বেজেছে। তারপর সে ভাবে কথাটা সে মুখে বলেনি হয়তো। তার ওয়াসওয়াসার জন্য তার কানে বেজেছিল হয়তো শব্দ টা। কিন্তু সে খুবই ভয়ে আছে সে যদি সত্যি এই শব্দটা মুখে বলে ফেলে থাকে। সেজন্য সে মুখে "তা**" বলে। বলার পর মনে হয় অপরিচিত লাগে এইভাবে বলাটা। তার মনে হয়না সে কিছুক্ষণ আগে এইটা মুখে বলেছে।  এখন সে কি ধরে নিবে তার তা** হয়ে গেছে?? নাকি হবে না।

৩। হুজুর একদিন স্বামী বলে স্ত্রীকে,, যদি এইভাবেই সব চলতে থাকে বা তোমার মনে সন্দেহ আসে তাহলে সব শে* করে দাও।
এই সময় স্ত্রী চুপ ছিল। এরপর কিছুক্ষন পর সে অন্য কথার মধ্যে "" শে*" বলতে যায়।  তখন সে সন্দেহে পরে যায় এইখানে শে* বলার কারনে তার স্বামীর আগের বলা কথার উত্তর হয়ে যাবে কিনা বা তা*** হবে কিনা??

৪। স্বামী তার স্ত্রীকে বলে যে """ তুমিতো সবই সন্দেহ করো, তুমি আমাকে তা*** দিয়েছো বা   আমি তোমাকে তা** দিয়েছি।"" এই কথার মাধ্যমে সে বুঝিয়েছে তার স্ত্রী এইসব ভাবে বা সন্দেহ করে। এই কথার মাধ্যমে সে বুঝায়নি সে স্ত্রীকে তা** দিয়েছে। কথাটা এইভাবে বলার কারনে কি কোন সমস্যা হবে??

৫। মহিলার আগে তা** নেওয়ার বিষয়ে ওয়াসওয়াসা আসতো। তখন সে জানতো যে মহিলারা তা*** নিলে বায়ে* তা** হয়।  বায়ে* তালা* নাকি একবার হলে পুনরায় বিয়ে হবার আগে আর পতিত হয়না তাই সে  আগে যখন ওয়াসওয়াসা আসতো তখন সে ভেবে থাকতে পারে তার ওয়াসওয়াসার ঘটনা  গুলোর  কারনে তা** হলেও তো একবারই হবে যতবারই ওয়াসওয়াসা আসুক।  কিন্তু এমন সত্যি তা** হবে এমন কিছু হয়েছিল কিনা তার ঘটনা মনে নেই। কারন সে সব সন্দেহ নিয়ে আপনাদের প্রশ্ন করেছিল আর সমাধান ও পেয়েছিল।  আবার সে এটাও ভেবেছিল যে এইসব ঘটনার সমাধান সে পেয়ে গেছে,,এইসব নিয়ে ভবিষ্যৎ এ যাতে ওয়াসওয়াসা না আসে এইটুকু তার মনে আছে।  তার এমন কোন স্পষ্ট ঘটনা মনে নেই যেটাতে তা++ হতে পারত কিন্তু সে পাত্তা দেয়নি।  তার প্রবল ধারণা হয় সে তখন এতটাই ওয়াসওয়াসায় ভোগতো যে ওইধরনের কিছু ঘটলে তার মনে থাকতো। এখন তার বিন্দু পরিমান কিছু মনে নেই। আর যতটুকু মনে আছে সব ঘটনার সমাধান সে আপনাদের কাছেই পেয়েছিল। এই অবস্থায় সে যদি ধরে নেয় তার তা** হয়নি তাহলে আল্লাহ মাফ করবেন??

1 Answer

0 votes
by (559,440 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক শব্দ। এটি খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

শরীয়তের বিধান হলো সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক পতিত হয়না।  

قال العلامۃ الحموی: فحلفہ باطل ای فلا شییٔ علیہ قیل اما الطلاق والعتاق فانہما لا یقعان بالشک۔ (غمز عیون البصائر علی الاشباہ ۱:۱۹۸ القاعدۃ الثالثۃ)
সারমর্মঃ  
তালাক এবং গোলাম আযাদ,এ দুটি বিষয় সন্দেহের ভিত্তিতে পতিত হয়না।  

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।
উক্ত মহিলার জন্য করনীয় হলো সে মনে মনে বলে দেখবেনা।
সে এটা নিয়ে ভাববেইনা। সে সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও ভাববে যে কোন সমস্যা হবে না।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৩)
এতে তালাক হবেনা।

(০৪)
এতে সমস্যা হয়নি।

(০৫)
প্রশ্নে উল্লেখিত উপরোক্ত মহিলাকে আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন, ইনশাআল্লাহ।       


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...