বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/10313 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
যদি কেউ দাড়াতে পারেন,তবে রুকু সেজদা করতে পারেন না,তবে উনি দাড়িয়েই নামায শুরু করবেন।অতঃপর দাড়িয়েই ইশারায় রুকু-সেজদা ও বৈঠক করে নামাযকে সমাপ্ত করবেন।এটা ইমাম যুফার রাহ সহ অন্যান্য তিনো মাযহাবের অভিমত।দারুল উলূম করাছির সর্বশেষ সিদ্ধান্ত এটাই।তবে যদি কেউ দাড়িয়ে ইশারা করার পরিবর্তে বসে বসে ইশারা করে নামায পড়ে ফেলে তাহলে তার নামাযও ফাসেদ হবে না।বরং তার নামাযও হবে।যদিও সেটা অনুত্তম হিসেবে বিবেচিত হবে।
যদি কোনো ব্যক্তি রুকু সেজদায় যেতে পারে,কিন্তু রুকু সেজদা থেকে উঠতে না পারে।তাহলে এমন ব্যক্তির জন্য প্রথম রাকাত দাড়িয়ে পড়ার পর পরবর্তী রা'কাত সমূহ বসে পড়ার অনুমোদন রয়েছে।
অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য চেয়ারে বসে নামায পড়ার চেয়ে মাঠিতে বসে নামায পড়াই শ্রেয়।
হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দামাতবারকাতুহুম তার সদ্য লেখা এ ফতওয়ায় চেয়ারে বসেনামায আদায় করার ক্ষতির দিকগুলো আলোচনাকরতে গিয়ে বলেন, ‘জমিনে বসে নামায আদায় করার শক্তি থাকা সত্ত্বেও চেয়ারে বসার যে প্রচলন দেখা যায় তাতে বিভিন্ন দিক থেকে আপত্তি রয়েছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
শুধুমাত্র অক্ষম ব্যক্তিই চেয়ারে বা মাঠিতে বসে নামায পড়তে পারবে। দাড়াতে বা রু'কু সিজদা করতে সক্ষম ব্যক্তির জন্য চেয়ারে বসে নামায পড়া কখনো জায়েয হবে না।
(২)
ইমাম সাহেবের বরাবর সেই ব্যক্তি দাড়াবেন,যিনি ইমাম সাহেবের স্থলাভিষিক্ত হয়ে নামায পড়াতে পারবেন।সুতরাং ইমাম সাহেবের পিছনে চেয়ারে বসে নামায পড়া কখনো উচিৎ হবে না।
(৩)
আপনার প্রশ্নটি অস্পষ্ট।স্পষ্টকরে কমেন্টে উল্লেখ করবেন বা ইডিট করে দিবেন।