ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কুরআনে কারিমে বলা হয়েছে—
ﺇِﻥَّ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻋِﻨﺪَﻩُ ۥ ﻋِﻠۡﻢُ ﭐﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﻭَﻳُﻨَﺰِّﻝُ ﭐﻟۡﻐَﻴۡﺚَ ﻭَﻳَﻌۡﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﻓِﻰ ﭐﻟۡﺄَﺭۡﺣَﺎﻡِۖ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﺪۡﺭِﻯ ﻧَﻔۡﺲٌ۬ ﻣَّﺎﺫَﺍ ﺗَڪۡﺴِﺐُ ﻏَﺪً۬ﺍۖ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﺪۡﺭِﻯ ﻧَﻔۡﺲُۢ ﺑِﺄَﻯِّ ﺃَﺭۡﺽٍ۬ ﺗَﻤُﻮﺕُۚ ﺇِﻥَّ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠِﻴﻢٌ ﺧَﺒِﻴﺮُۢ
অর্থঃ "নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছেই কিয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং মাতৃগর্ভে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে, এবং কেউ জানে না কোন স্থানে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।"
সূরা লুকমান-৩১-৩৪
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ : ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ : ﻣَﻔَﺎﺗِﺢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﺧَﻤْﺲٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬَﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﻏَﺪٍ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﺗَﻐِﻴﺾُ ﺍﻟْﺄَﺭْﺣَﺎﻡُ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺘَﻰ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟْﻤَﻄَﺮُ ﺃَﺣَﺪٌ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ، ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺪْﺭِﻱ ﻧَﻔْﺲٌ ﺑِﺄَﻱِّ ﺃَﺭْﺽٍ ﺗَﻤُﻮﺕُ ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺘَﻰ ﺗَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ . ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ( 4328 ) .
রাসুলুল্লাহ (ﷺ ) বলেছেনঃ
“গায়েবের কুঞ্জি হল পাঁচটি, যা আল্লাহ ব্যতিত কেউ জানে না। আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না যে আগামীকাল কী ঘটবে।আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না যে মায়ের গর্ভে কী আছে।আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না যে, কখন বৃষ্টি হবে।।আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না যে, সে কোথায় মারা যাবে
আল্লাহ কেউ জানে না যে,ক্বিয়ামত কখন সংগঠিত হবে।”
সহীহ বুখারী-৪৩২৮
ইবনে কাসির রাহ উক্ত আয়াতের তাফসির করতে যেয়ে বলেন,
ﻭﻛﺬﻟﻚ ﻻ ﻳﻌﻠﻢ ﻣﺎ ﻓﻲ ﺍﻷﺭﺣﺎﻡ ﻣﻤﺎ ﻳﺮﻳﺪ ﺃﻥ ﻳﺨﻠﻘﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺳﻮﺍﻩ , ﻭﻟﻜﻦ ﺇﺫﺍ ﺃﻣﺮ ﺑﻜﻮﻧﻪ ﺫﻛﺮﺍً ﺃﻭ ﺃﻧﺜﻰ ﺃﻭ ﺷﻘﻴﺎً ﺃﻭ ﺳﻌﻴﺪﺍً ﻋﻠﻢ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺍﻟﻤﻮﻛﻠﻮﻥ ﺑﺬﻟﻚ ﻭﻣﻦ ﺷﺎﺀ ﻣﻦ ﺧﻠﻘﻪ . ﺍ . ﻫـ
আল্লাহ মায়ের রেহেমম/জরায়ু মধ্যে কি সৃষ্টি করতে চান উনি ব্যতীত তখন আর কেউ-ই জানে না।
কিন্তু যখন আল্লাহ তা'আলা উক্ত সন্তানের লিঙ্গ ও ভাগ্যচক্র সম্পর্কে নির্দেশ দেন।(অর্থাৎ যখন আল্লাহ তা'আলা রেহমের সেই রক্তপিণ্ড সম্পর্কে নির্দেশ জারি করেন যে,সে ছেলে হবে, না মেয়ে হবে।এবং সে সুভাগ্যবান হবে না দুর্ভাগ্যবান হবে) তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিরিশতা এবং আল্লাহর ইচ্ছায় অন্যান্য মাখলুকাত ও তা জানতে পারেন।
সু-প্রিয় দ্বীনী ভাই!
সন্তানের ভাগ্য,জীবিত থাকার সময়কাল ইত্যাদি যাবতীয় জীবনাচার সম্পর্কে জানা কস্মিনকালে কাহারো জন্য জানা সম্ভব হবে না।
তাছাড়া ১১ সাপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার পূর্বে জরায়ুর রক্তপিণ্ড বা মাংশপিণ্ড সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না।এবং পরবর্তীতেও নিশ্চিতরূপে জেন্ডার জানা যায় না।
অন্যদিকে আল্লাহ বলছেন,
আমি জরায়ুতে কি সৃষ্টি করতে চাই, তা কেউ-ই জানে না।অর্থাৎ আল্লাহর ইরাদা সম্পর্কে কেউ-ই জানেনা।পরবর্তীতে যখন আল্লাহ উক্ত বীর্য বা রক্তপিণ্ডকে নির্দেশ দিয়ে দেন, তখন ফিরিশতা জেনে যান,এবং আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ি অন্যান্য মাখলুকাত ও তখন জেনে যায়।
সুতরাং আল্ট্রাসনোগ্রাফি দ্বারা জেন্ডার জানা কোরআনের ঐ আয়াতের মর্মার্থের বিরোধী হবেনা।এবং নাজায়েযও হবে না।
তবে এ সমস্ত বেহুদা কাজ পরিত্যাগ করাই একজন খাটি মুসলমানের উচিৎ। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
(২)
পুত্র সন্তান বা মেয়ে সন্তান, যেকোনো প্রকারের সন্তানের জন্য আপনি আল্লাহর কাছে চাইতে পারেন।দু'আ করতে পারেন।
(৩)
সূরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াত বেশী বেশী করে পড়বেন।