আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
198 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (17 points)
আসসালামু আলাইকা ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারাকাতুহু।
১/আজকাল বাচ্চা গর্ভে থাকা অবস্থায় ছেলে নাকি মেয়ে হবে সেটা আল্ট্রা এর মাধ্যমে জানাযায় এটা কি জায়েজ নাকি শিরক হবে? আগে থেকে নাম রাখাও কি জায়েজ?

২/ নির্দিষ্টভাবে  কোন সন্তান (ছেলে/ মেয়ে) এভাবে আল্লহর কাছে চাওয়া যাবে??? এটা কি জায়েজ?.এভাবে বলা যাবে যে আল্লহ একটা নেককার পুত্র সন্তান দাও সেটা উওম না হলে কন্যা সন্তান দিও। নাকি এভাবে বলা ভাল যে উওম নেককার সন্তান দিন আল্লহ!

৩/ পুত্র সন্তানের জন্য কোন আমল আছে বা দুয়া?. অনেকের পর পর মেয়ে থাকে বা অন্য প্রেসার থাকে ছেলে সন্তানের জন্য৷ এমন কোন আমল বা দুয়া আছে কি?

অনেক গুলা প্রশ্ন একসাথে করার জন্য আফওয়ান। আসলে একটার সাথে আরেকটা রিলেটেড।

জাযাকাল্লাহ খইরন।

1 Answer

0 votes
by (583,080 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কুরআনে কারিমে বলা হয়েছে—
ﺇِﻥَّ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻋِﻨﺪَﻩُ ۥ ﻋِﻠۡﻢُ ﭐﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﻭَﻳُﻨَﺰِّﻝُ ﭐﻟۡﻐَﻴۡﺚَ ﻭَﻳَﻌۡﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﻓِﻰ ﭐﻟۡﺄَﺭۡﺣَﺎﻡِۖ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﺪۡﺭِﻯ ﻧَﻔۡﺲٌ۬ ﻣَّﺎﺫَﺍ ﺗَڪۡﺴِﺐُ ﻏَﺪً۬ﺍۖ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﺪۡﺭِﻯ ﻧَﻔۡﺲُۢ ﺑِﺄَﻯِّ ﺃَﺭۡﺽٍ۬ ﺗَﻤُﻮﺕُۚ ﺇِﻥَّ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠِﻴﻢٌ ﺧَﺒِﻴﺮُۢ
অর্থঃ "নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছেই কিয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং মাতৃগর্ভে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে, এবং কেউ জানে না কোন স্থানে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।"
সূরা লুকমান-৩১-৩৪

হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ : ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ : ﻣَﻔَﺎﺗِﺢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﺧَﻤْﺲٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬَﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﻏَﺪٍ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﺗَﻐِﻴﺾُ ﺍﻟْﺄَﺭْﺣَﺎﻡُ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺘَﻰ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟْﻤَﻄَﺮُ ﺃَﺣَﺪٌ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ، ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺪْﺭِﻱ ﻧَﻔْﺲٌ ﺑِﺄَﻱِّ ﺃَﺭْﺽٍ ﺗَﻤُﻮﺕُ ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺘَﻰ ﺗَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ . ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ( 4328 ) .
রাসুলুল্লাহ (ﷺ ) বলেছেনঃ 
“গায়েবের কুঞ্জি হল পাঁচটি, যা আল্লাহ ব্যতিত কেউ জানে না। আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না যে আগামীকাল কী ঘটবে।আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না যে মায়ের গর্ভে কী আছে।আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না যে, কখন বৃষ্টি হবে।।আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না যে, সে কোথায় মারা যাবে
আল্লাহ কেউ জানে না যে,ক্বিয়ামত কখন সংগঠিত হবে।”
সহীহ বুখারী-৪৩২৮

ইবনে কাসির রাহ উক্ত আয়াতের তাফসির করতে যেয়ে বলেন,
ﻭﻛﺬﻟﻚ ﻻ ﻳﻌﻠﻢ ﻣﺎ ﻓﻲ ﺍﻷﺭﺣﺎﻡ ﻣﻤﺎ ﻳﺮﻳﺪ ﺃﻥ ﻳﺨﻠﻘﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺳﻮﺍﻩ , ﻭﻟﻜﻦ ﺇﺫﺍ ﺃﻣﺮ ﺑﻜﻮﻧﻪ ﺫﻛﺮﺍً ﺃﻭ ﺃﻧﺜﻰ ﺃﻭ ﺷﻘﻴﺎً ﺃﻭ ﺳﻌﻴﺪﺍً ﻋﻠﻢ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺍﻟﻤﻮﻛﻠﻮﻥ ﺑﺬﻟﻚ ﻭﻣﻦ ﺷﺎﺀ ﻣﻦ ﺧﻠﻘﻪ . ﺍ . ﻫـ
আল্লাহ মায়ের রেহেমম/জরায়ু মধ্যে কি সৃষ্টি করতে চান উনি ব্যতীত তখন আর কেউ-ই জানে না।
কিন্তু যখন আল্লাহ তা'আলা উক্ত সন্তানের লিঙ্গ ও ভাগ্যচক্র সম্পর্কে নির্দেশ দেন।(অর্থাৎ যখন আল্লাহ তা'আলা রেহমের সেই রক্তপিণ্ড সম্পর্কে নির্দেশ জারি করেন যে,সে ছেলে হবে, না মেয়ে হবে।এবং সে সুভাগ্যবান হবে না দুর্ভাগ্যবান হবে) তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিরিশতা এবং আল্লাহর ইচ্ছায় অন্যান্য মাখলুকাত ও তা জানতে পারেন।


সু-প্রিয় দ্বীনী ভাই!
সন্তানের ভাগ্য,জীবিত থাকার সময়কাল ইত্যাদি যাবতীয় জীবনাচার সম্পর্কে জানা কস্মিনকালে কাহারো জন্য জানা সম্ভব হবে না।
তাছাড়া ১১ সাপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার পূর্বে জরায়ুর রক্তপিণ্ড বা মাংশপিণ্ড সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না।এবং পরবর্তীতেও নিশ্চিতরূপে জেন্ডার জানা যায় না।
অন্যদিকে আল্লাহ বলছেন,
আমি জরায়ুতে কি সৃষ্টি করতে চাই, তা কেউ-ই জানে না।অর্থাৎ আল্লাহর ইরাদা সম্পর্কে কেউ-ই জানেনা।পরবর্তীতে যখন আল্লাহ উক্ত বীর্য বা রক্তপিণ্ডকে নির্দেশ দিয়ে দেন, তখন ফিরিশতা জেনে যান,এবং আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ি অন্যান্য মাখলুকাত ও তখন জেনে যায়।
সুতরাং আল্ট্রাসনোগ্রাফি দ্বারা জেন্ডার জানা কোরআনের ঐ আয়াতের মর্মার্থের বিরোধী হবেনা।এবং নাজায়েযও হবে না।
তবে এ সমস্ত বেহুদা কাজ পরিত্যাগ করাই একজন খাটি মুসলমানের উচিৎ। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

(২)
পুত্র সন্তান বা মেয়ে সন্তান, যেকোনো প্রকারের সন্তানের জন্য আপনি আল্লাহর কাছে চাইতে পারেন।দু'আ করতে পারেন।

(৩)
সূরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াত বেশী বেশী করে পড়বেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...