বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইমাম মুনযিরী রাহ,কর্তৃক লিখিত-
সহীহ মুসলিম শরীফের- সংক্ষেপিত সংস্করণ "মুখতাসার সহীহ মুসলিম" গ্রন্থে উপরোক্ত হাদীসের অত্যন্ত সুন্দর ও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।উপরে উল্লেখিত প্রশ্ন নিরসনকল্পে সেই তাত্ত্বিক আলোচনা উল্লেখযোগ্য বলে আমি মনে করি।
হযরত উম্মাহাতুল মু'মিন উম্মে হাবীবাহ রাযি,থেকে বর্ণিত আছে,তিনি বলেনঃ
ﻋَﻦْ ﺃُﻡِّ ﺣَﺒِﻴﺒَﺔَ ﺯَﻭْﺝِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﺃَﻧَّﻬَﺎ ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳَﻘُﻮﻝُ : « ﻣَﺎ ﻣِﻦْ ﻋَﺒْﺪٍ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﻟِﻠَّﻪِ ﻛُﻞَّ ﻳَﻮْﻡٍ ﺛِﻨْﺘَﻲْ ﻋَﺸْﺮَﺓَ ﺭَﻛْﻌَﺔً، ﺗَﻄَﻮُّﻋًﺎ ﻏَﻴْﺮَ ﻓَﺮِﻳﻀَﺔٍ، ﺇِﻟَّﺎ ﺑَﻨَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻪُ ﺑَﻴْﺘًﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ ، ﺃَﻭْ ﺇِﻟَّﺎ ﺑُﻨِﻲَ ﻟَﻪُ ﺑَﻴْﺖٌ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ » .ﻗَﺎﻟَﺖْ ﺃَﻡُّ ﺣَﺒِﻴﺒَﺔَ : ﻓَﻤَﺎ ﺑَﺮِﺣْﺖُ ﺃُﺻَﻠِّﻴﻬِﻦَّ ﺑَﻌْﺪُ . ﻭﻗَﺎﻝَ ﻋَﻤْﺮٌﻭ : ﻣَﺎ ﺑَﺮِﺣْﺖُ ﺃُﺻَﻠِّﻴﻬِﻦَّ ﺑَﻌْﺪُ . ﻭﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨُّﻌْﻤَﺎﻥُ : ﻣِﺜْﻞَ ﺫَﻟِﻚَ .ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ : « ﻓﻲ ﻳَﻮْﻡٍ ﻭ ﻟﻴﻠﺔ » .
আমি নবীজী সাঃ কে বলতে শুনিয়াছি,যে মুসলমান প্রতিদিন ফরয ব্যতীত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বার রাকা'ত (সুন্নাত)নামায পড়বে, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন।অথবা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।উম্মে হাবীবাহ রাযি,বলেন এর পর থেকে সর্বদাই আমি তা পড়তাম। রাবী আমর রাহ বলেন আমিও সর্বদা পড়তাম। রাবী নু'মান ও অনুরূপ কথা বলেছেন।(মুখতাসার সহীহ মুসলিম-হাদীস নং-৩৭৩- অধ্যায় নং১৬৯, যে ব্যক্তি দিনে এবং রাত্রে ১২রাকা'ত (সুন্নাত) নামায পড়বে তার ফযিলত।)
ইমাম মুনযিরী কর্তৃক ব্যাখ্যা।
ইমাম মুনযিরী রাহ বলেনঃ উক্ত হাদীস কে ইমাম মুসলিম রাহ, "মুসাফিরের নাময" শীর্ষক অধ্যায়ে ৭২৮নং হাদীস হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ইমাম মুসলিম রাহ এর বর্ণনাকৃত হাদীস হল এই..........
ﻋﻦ ﺃﻡ ﺣﺒﻴﺒﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﺯﻭﺝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻟﺖ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣَﻦْ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﺛْﻨَﺘَﻲْ ﻋَﺸْﺮَﺓَ ﺭَﻛْﻌَﺔً ﻓِﻲ ﻳَﻮْﻡٍ ﻭَﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﺑُﻨِﻲَ ﻟَﻪُ ﺑِﻬِﻦَّ ﺑَﻴْﺖٌ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔ)
তরজমাঃ হযরত উম্মাহাতুল মু'মিন উম্মে হাবীবাহ রাযি.থেকে বর্ণিত আছে,তিনি বলেনঃআমি নবীজী সাঃ কে বলতে শুনিয়াছি,যে মুসলমান "দিনে ও রাত্রে" আল্লাহর সন্তুষ্টি জন্য ফরয ব্যতীত ১২রাকা'ত (সুন্নাত) নামায পড়বে, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে রাখবেন।অথবা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।(সহীহ মুসলিম-৭২৮)
উপরোক্ত হাদীস দুভাবে অর্থাৎ দু-রকম শব্দে বর্ণিত রয়েছে।যদ্দরুন অর্থতেও সামান্য পরিবর্তন লক্ষিত হবে।
প্রথম প্রকার বর্ণনা ও তার অর্থঃ যে ব্যক্তি ফরয ব্যতীত১২ রাকাত সুন্নাত নামায পড়বে আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে রাখবেন।(যদিও জীবনে মাত্র একবার হয়)আর যে ব্যক্তি দীর্ঘদিন এই সমস্ত সুন্নাত নামায পড়বে আল্লাহ তা'আলা তার জন্য সেইদিনগুলি পরিমাণ ঘর সমূহ বানিয়ে রাখবেন।অর্থাৎ একেক দিনের পরিবর্তে একেক ঘর পুরুস্কার দিবেন।এ অর্থের সমর্থনে নিম্নোক্ত প্রমাণাদি পাওয়া যায়।যেমনঃ
সহীহ মুসলিম শরীফে উম্মে হাবিবাহ রাযি,কর্তৃক বর্ণিত উপরোক্ত হাদীস এর উপর প্রমাণ করে।
কেননা তথায় শুধুমাত্র পড়ার কথা বলা হয়েছে, নিয়মিত পড়ার কোনো ইঙ্গিত তাতে পাওয়া যায়নি।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি, থেকে বর্ণিত হাদীস থেকেও এর সমর্থন পাওয়া যায়।
عنﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : « ﻣﺎ ﻣﻦ ﻋﺒﺪٍ ﻣﺴﻠﻢ، ﻳُﺼﻠﻲ ﻓﻲ ﻳﻮﻡ ﺛﻨﺘﻲ ﻋﺸﺮﺓ ﺭﻛﻌﺔً ﺗﻄﻮﻋﺎً، ﺇﻻ ﺑُﻨﻲ ﻟﻪ ﺑﻴﺖٌ ﻓﻲ ﺍﻟﺠﻨﺔ » .
যে মুসলমান দিনে বার রাকা'ত সুন্নাত নামায পড়বে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে রাখা হবে।(মুসনাদে আহমদ-১৬/২৮৩) এখানেও নিয়মিত পড়ার কোনো ইঙ্গিত নেই।
عن ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ : « ﻣﻦْ ﺻﻠّﻰ ﺃﻭﻝَ ﺍﻟﻨﻬﺎﺭ ﺛﻨﺘﻲ ﻋﺸﺮﺓ ﺭﻛﻌﺔ، ﺑُﻨﻲ ﻟﻪ ﺑﻴﺖٌ ﻓﻲ ﺍﻟﺠﻨﺔ »
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত আছে,যে ব্যক্তি দিনের প্রথম অংশে অর্থাৎ সঠিক সময়ে বার রাকা'ত সুন্নাত নামায পড়বে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানানো হবে।(মুসান্নাফ ইবনে আবি-শাইবাহ-২/১০৯)এখানেও নেই।
কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে,যে ব্যক্তি (শুধু) দিনে বা রাতে (একসাথেই) যদি এই ১২রাকা'ত নামায পড়ে নেয় তাহলে সে উক্ত সওয়াব পাবে।যেমন নাসায়ী শরীফের এক বর্ণনায় এসেছে,
ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : « ﻣﻦ ﺻﻠﻰ ﺛﻨﺘﻲ ﻋﺸﺮﺓ ﺭﻛﻌﺔ ﺑﺎﻟﻨﻬﺎﺭ، ﺃﻭ ﺑﺎﻟﻠﻴﻞ، ﺑﻨﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﺰ ﻭﺟﻞ ﻟﻪ ﺑﻴﺘﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﺠﻨﺔ »
তরজমাঃনবীজী সাঃ বলেছেন,যে ব্যক্তি দিনে বা রাত্রে ১২রাকা'ত নামায পড়বে, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে রাখবেন।
এখানেও সওয়াব পেতে নিয়মিত পড়তে হবে,এমন কোনো ইঙ্গিত নেই।
ইমাম ইবনে হিব্বান রাহ উক্ত হাদীসের শিরোনাম নিম্নোক্ত শব্দে বর্ণনা করেছেন।(৬/২০৪)
" ﺫﻛﺮ ﺑﻨﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ ﺟﻞ ﻭﻋﻼ ﺑﻴﺘﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﻟﻤﻦ ﺻﻠﻰ ﻓﻲ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﻭﺍﻟﻠﻴﻠﺔ ﺍﺛﻨﺘﻲ ﻋﺸﺮﺓ ﺭﻛﻌﺔ ﺳﻮﻯ ﺍﻟﻔﺮﻳﻀﺔ " ﺍﻧﺘﻬﻰ .
জান্নাতে আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক ঘর নির্মাণ ঐ ব্যক্তির জন্য যে দিনে ও রাত্রে ফরয নামায ব্যতীত ১২রাকা'ত সুন্নাত নামায পড়বে- শীর্ষক আলোচনা।
উপরোক্ত হাদীস ও বিবিধ আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে,একজন মানুষের জন্য উপরোক্ত সওয়াব অর্জন করতে নিয়মিত পড়া শর্ত নয়।বরং কোনো মানুষ যদি জীবনে মাত্র একবারও এই১২রাকা'ত সুন্নাত নামায পড়ে নেয় তাহলে সেও হাদীসে বর্ণিত জান্নাতের ঘর সম্বলিত ঐ সওয়াব পেতে পারে।
এটা আল্লাহ তা'আলার জন্য অসম্ভব কিছু নয়।
দ্বিতীয় প্রকার বর্ণনা ও তার অর্থঃ
আল্লাহ সুবহানাহুর ঐ কৃত ওয়াদা ঐ ব্যক্তির সাথে বিশেষিত, যিনি ১২রাকা'ত সুন্নাত নিয়মিত পড়বেন।
যেমন হযরত ইবনে উমর রাযি, থেকে বর্ণিত,
عن ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : « ﺣﻔﻈﺖُ ﻣﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﺸﺮ ﺭﻛﻌﺎﺕ ... »
তরজমাঃতিনি বলে আমি নবীজী সাঃ থেকে ১০রাকা'ত (নিয়মিত)সুন্নাহ নামাজ সংরক্ষণ করেছি।(বুখারী-মুসলিম)
ইমাম তিরমিযি রাহ,নিয়মিত সুন্নাত পড়া সম্ভলিত হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদীসের শিরোনাম বর্ণনা করতে যেয়ে তিনি বলেন
ﺑﺎﺏ ﻣﺎ ﺟﺎﺀ ﻓﻴﻤﻦ ﺻﻠﻰ ﻓﻲ ﻳﻮﻡ ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺛﻨﺘﻲ ﻋﺸﺮﺓ ﺭﻛﻌﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﻨﺔ، ﻣﺎ ﻟﻪ ﻓﻴﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﻔﻀﻞ »
যে ব্যক্তি দিনে ও রাত্রে ১২রাকা'ত নামায পড়বে তার ফযিলত শীর্ষক আলোচনা অধ্যায়।
হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ﻋﺎﺋﺸﺔ ﻗﺎﻟﺖ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : « ﻣﻦ ﺛﺎﺑﺮ ﻋﻠﻰ ﺛﻨﺘﻲ ﻋﺸﺮﺓ ﺭﻛﻌﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﺑَﻨﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻪ ﺑﻴﺘﺎً ﻓﻲ ﺍﻟﺠﻨﺔ : ﺃﺭﺑﻊ ﺭﻛﻌﺎﺕ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﻈﻬﺮ، ﻭﺭﻛﻌﺘﻴﻦ ﺑﻌﺪﻫﺎ، ﻭﺭﻛﻌﺘﻴﻦ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﻤﻐﺮﺏ، ﻭﺭﻛﻌﺘﻴﻦ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﻌﺸﺎﺀ، ﻭﺭﻛﻌﺘﻴﻦ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﻔﺠﺮ » .
তরজমাঃনবীজী সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি ১২ রাকা'ত সুন্নাত নামায নিয়মিত পড়বে,আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে ঘর বানিয়ে রাখবেন।জহরের পূর্বে চার রাকা'ত ও পরে দু-রাকা'ত।মাগরিবের পর দু-রাকা'ত।এশার পর দু-রাকা'ত ও ফজরের পূর্বে দু-রাকা'ত।(জামে তিরমিযি-৪১৪)
তাছাড়া উম্মে হাবীবাহ রাযি কর্তৃক "সহীহ মুখতাছার মুসলিম"এর বর্ণনায় كل يوم و ليلة প্রত্যেকদিন বা রাত্র এসেছে।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
১২রাকা'ত সুন্নাত নামায পড়লে আল্লাহ তা'আলা পুরুস্কার হিসেবে জান্নাতে ঘর দিবেন।
এখন প্রশ্ন হলঃ একদিন পড়লে কি একটি ঘর মিলবে না নিয়মিত পড়লে একটি ঘর মিলবে?
উত্তরে বলতে পারি,
ইতিপূর্বে উপরে উল্লেখিত তাত্ত্বিক আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পরালাম যে,দু-রকম সিদ্ধান্তই মুহাদ্দিসগণের কাছ থেকে প্রমাণিত রয়েছে।
তবে উসূলে ফেকাহর আলোকে আমরা দ্বিতীয় অভিমত- তথা জান্নাতে ঘর পুরুস্কার হিসেবে পেতে হলে ""নিয়মিত"" সুন্নাত সমূহ পড়তে হবে-কে অগ্রাধিকার দিয়ে বলব উক্ত সওয়াব শুধুমাত্র ঐ ব্যক্তি পাবেন যিনি নিয়মিত পড়বেন ।কেননা তিরমিযি শরীফে হযরত আয়েশা কর্তৃক উক্ত বর্ণনা মুক্বাইয়াদ। আর অপর বর্ণনা সমূহ মুতলাক।
উসূলে হাদীসের মূলনীতি হচ্ছে মুক্বাইয়াদ কে মুতলাকের উপর অগ্রাধিকার দেওয়া।
বিশেষ করে যখন কোনো সহীহ রেওয়াতে মুক্বাইয়াদ আসবে তখন তাকে বিলুপ্ত বা রহিত করা যাবে না,বরং অনিবার্য কারণবশত তাকে গ্রহণ করতে হবে।
তাছাড়া বিনা প্রয়োজনে সুন্নাতে মুআক্কাদা ছেড়ে দিলে তো গুনাহ হয়।যদি একবার পড়লে উক্ত সওয়াব পাওয়া যেত,তাহলে তা ছেড়ে দিলে গুনাহ হবে কেন?
হ্যা তবে যদি কেউ বিশেষ কোনো প্রয়োজনে সুন্নাতে মুআক্কাদা সমূহকে ছেড়ে দেয়,তাহলে গুনাহ হবে না এবং উক্ত সওয়াব থেকেও বঞ্চিত হবে না।আল্লাহ সব জিনিষের উপর ক্ষমতাবান।
সুন্নাতে মুআক্কাদা সমূহ নিয়মিত পড়লে জান্নাতের ঘর সমূহ ছাড়া আরোও বৃহৎ পুরুস্কারের কথা হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।