আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
376 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারা কাতুহু শাইখ,
১।আমি যে ঘরে নামাজ পরি শুধু নামাজের আগে ঘর তিনবার মুছি।কাজের বুয়া পুরো বাসা একবার মোছে।কিন্তু কাপড় ধোয়ার কারনে সেই পানি পা লাগলে ও সেই পা দিয়ে মেঝেতে হাটলে তো মেঝে আবার নাপাক হয়।এভাবে ঘর পাক রাখা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। আমি যদি পা মাটি দিয়ে পবিত্র করি তাহলে কি হবে?

২।মাটি দ্বারা কোন জিনিস কিভাবে পবিত্র করা যায়?

৩।ওযু ও ফরজ গোসল বাদ দিয়ে বাকি অন্য সময় হাত পায়ে বা অন্য জায়গায় নাপাকি লাগলে মাটি দ্বারা কি পাক করা যাবে?

৪।নারীদের ঘরে নামাজ পড়া মসজিদে নামাজ পরার থেকে উত্তম হলে নারী সাহাবীরা কেন মসজিদে নামাজ পড়েছিলেন?

৫।আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের ইসলামের পোশাকের বিধান সংক্রান্ত বইয়ে দেখলাম নারীদের মুখ না ঢাকার অনেক ঘটনা সাহাবীদের যুগে ছিল।এ বিষয়ে কিছু বলবেন কি?

1 Answer

0 votes
by (656,190 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনি ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত।আপনার ঘর নাপাক হবে কেন? যদি নাপাক মনে করেন, তাহলে পবিত্র করে নিবেন।

(২)
নাজাসত কোনো ভাবে দূর হয়ে গেলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে।

(৩)
নাজাসত কোনো ভাবে দূর হয়ে গেলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে।

(৪)
https://www.ifatwa.info/5331 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জামানায় মহিলাগণ জুমুআহ এবং ঈদের নামাযে শরীক হতেন।কিন্তু বর্তমান ফিতনার জমানায় ফিতনার আশংকা থাকায় মহিলাদের উপর জুমুআহ ও ঈদের নামায ওয়াজিব নয়।
আল্লামা সারখাসী রাহ লিখেন,
وليس على النساء خروج في العيدين وقد كان يرخص لهن في ذلك فأما اليوم فإني أكره ذلك يعني للشواب منهن فقد أمرن بالقرار في البيوت ونهين عن الخروج لما فيه من الفتنة
ঈদের নামাযে মহিলারা ঈদগাহে যেতে পারবে না।পূর্বে তাদের অনুমতি ছিলো,কিন্তু বর্তমান ফিতনার জামানায় মহিলাদের জন্য ঈদগাহে যেয়ে ঈদের নামায অপছন্দনীয়।এখন তাদেরকে ঘরে অবস্থানের আদেশ দেয়া হবে।ঘরের বাহিরে যেতে নিষেধ করা হবে।কেননা ঘরের বাহিরে ফিতনা রয়েছে।(মাবসুত-সারখাসী-২/৪১)
শুধুমাত্র মহিলারা কি জুমুআহ এর নামায পড়তে পারবে?উত্তরে বলা যায় যে,পুরুষ ব্যতীত শুধুমাত্র মহিলাগণ জুমু'আহ এবং ঈদের নামায পড়তে পারবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া, ৪/১৫৩) (শেষ)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ঘর থেকে বের না হয়ে শিক্ষা গ্রহণ অসম্ভব।তাই এজন্য ঘর থেকে বের হওয়ার রুখসত নারীদের জন্য রয়েছে।তবে যেহেতু মসজিদে না গিয়েও বাড়িতে তারাবি পড়া সম্ভব, তাই মেয়ের জন্য সর্বোত্তম হল, ঘরেই তাররাবি পড়বে।হ্যা, কুরআন খতম নারীরা নিজ ঘরে করবে।তিলাওয়াত শ্রবণের চেয়ে তিলাওয়াত করা অধিক সওয়াব। তারপরও এত কিছু না ভেবে যদি কোনো মহিলা মসজিদে গিয়ে তারাবিহ পড়ে নেয়, তাহলে ঐ মহিলার তারাবিহ আদায় হয়ে যাবে।পরবর্তীতে আর পড়তে হবে না।

(৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/572


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 1,392 views
0 votes
1 answer 267 views
...