আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
168 views
in পবিত্রতা (Purity) by (98 points)
reshown by
খুব ওয়াসওয়াসায় আছি আমি।পরিবারের লোকদের সাথে খুব ঝগড়াঝাটি করে ফেলেছি।আমার পরিবারের কেউ নাপাকি নিয়ে ভাবেনা।আমি কিছু বললে শোনেনা।

আমার মা আমার কিছু নাপাক কাপড় ধুয়ে দেন।এরপর তা দড়িতে নেড়ে দেন।তিনি কাপড় ডিটারজেন্টে ভিজিয়ে রাখেন এরপর ধুয়ে ফেলেন।কিন্তু তিনি পাউডারে ভিজানো হাত দিয়ে ট্যাপ চালু করেন ও কাপড় কাচা শেষ হলে সেই ট্যাপ বন্ধ করে কাপড়ে হাত লাগান।কিন্তু ট্যাপ পানি দিয়ে ধৌত করেননি।এর ফলে তো কাপড় নাপাক হয়ে আছে।

কাপড় দড়িতে নেড়ে দেয়ার ফলে তো দড়ি নাপাক হয়ে গিয়েছে যেহেতু কাপড় নাপাক।এবং কাপড়ে দড়ির লালচে দাগ পড়ে গিয়েছে।

১)কাপড়ের এই লালচে দাগ গুলো কি ঘষে তুলতে হবে?এগুলা কি নাপাক?

২)দড়ির উপর যেহেতু নাপাক কাপড় রেখেছি তাই কি দড়ি ঘষে ধুয়া লাগবে নাকি পানি ঢাললেই হবে? দড়ি পুরাতন তাই ময়লা দাগ রয়েছে। বৃষ্টিতে দড়ি ভিজে গিয়েছে।ঘষে ধুতে হবে নাকি?

৩)আমার নাপাক কাপড় দড়িতে রাখার পর অন্য ভেজা পাক কাপড় রাখা হয়েছিল।সেগুলো কি নাপাক যেহেতু দড়িতে নাপাক কাপড় ছিল।

৪)সেই দড়িতে হ্যাঙার রাখা ছিল।হ্যাঙারের গায়েও ময়লা।এটি কি ঘষা দিয়ে তুলতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "

আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)

 وَكَذَا لَوْ لَفَّ الثَّوْبَ النَّجَسَ فِي ثَوْبٍ طَاهِرٍ وَالنَّجَسُ رَطْبٌ مُبْتَلٌّ وَظَهَرَتْ نَدْوَتُهُ فِي الثَّوْبِ الطَّاهِرِ لَكِنْ لَمْ يَصِرْ بِحَالٍ لَوْ عُصِرَ يَسِيلُ مِنْهُ شَيْءٌ مُتَقَاطِرٌ لَا يَصِيرُ نَجَسًا. اهـ

যদি ভিজা নাজাসত সম্ভলিত কাপড়কে পবিত্র কাপড়ের সাথে লেপ্টিয়ে দেয়া হয় বা ভাজ করা হয়,এবং শুকনা কাপড়ে নাজাসতের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়,যদি শুকনো কাপড় এমন পর্যায়ে পৌছে না যে,তাকে চিপানো হলে, তা থেকে কিছু বের হবে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত কাপড় নাপাক হবে না।(আল-বাহরুর রায়েক-১/২৪৪)

আরো জানুনঃ-

★★সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(০১)
উক্ত কাপড় শরীয়তের নীতিমালা মেনে ধৌত করতে হবে।
কাপড়ের এই লালচে দাগ গুলো ঘষে তুলতে হবেনা।

(০২)
উক্ত দড়িতে যেহেতু নাজাসতের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়নি,বা তাহা এমন পর্যায়ে পৌছেনি যে,তাকে চিপানো হলে, তা থেকে কিছু বের হবে,সুতরাং  এমতাবস্থায় উক্ত দড়ি নাপাক হবে না।
তাহা পাক করতে হবেনা।

তারপরেও আপনি যদি ধুয়ে দিতে চান,তাহলে ঘষে ধোয়া লাগবেনা। পানি ঢাললেই হবে।

(০৩)
সেগুলো নাপাক নয়।

(০৪)
এটিতো নাপাকির কোনো চিন্হ নয়,তাই ঘষা দিয়ে তুলতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 157 views
0 votes
1 answer 176 views
0 votes
1 answer 214 views
...