এরকম বললে কি তালাক হয়?দয়া করে বলিয়েন।খুব চিন্তায় আছি।

Question

আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ

কোন স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর স্বামী যদি বলে তুমি দাও।স্ত্রী যদি বলে আমি দিলে হবে না কারণ  মেয়েরা তালাক দিলে তালাক হয় না।স্বামী যদি বলে হবে হবে বা তুমি দিলেও হবে।মানে  মেয়েরা তালাক হয় সেটা বুঝিয়েছে মনে হয়।এরপর  স্ত্রী যদি ৩ তালাক দেয় স্বামীকে তাহলে কি তালাক হবে? আসলে স্ত্রী বুঝতেছে না স্বামী কোন  দিকে ইন্গিত করেছে, তালাক হয় এটা বুঝিয়েছে নাকি স্ত্রী দিলে  হবে বুঝিয়েছে।আগের কথা তহ।স্বামীর কথা মনে থাকে না তাই স্বামীকে সে জিগ্যেস ও করে নি মিথ্যাশিকারোক্তি দিবে ভেবে।স্ত্রীর কি করণীয়?স্ত্রী ও চায় না তালাক হোক।কারন ওরা আগে এতসব নিয়মকানুন সম্পর্কে জানত না।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

https://www.ifatwa.info/4506 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।

স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

এখানে তালাক হবে না, কারণ স্ত্রী কখনো স্বামীকে তালাক দিতে পারে না। বরং স্ত্রী নিজে নিজের উপর তালাক দিতে পারবে।

Comments

আরেকটা বিষয় জানার ছিল।স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর স্বামী যদি বলে তুমি দাও।স্ত্রী মনে মনে স্বামীর দিকে ইন্গিত করে যদি শুধু ৩ বার তালাক বলে তাহলে কি তালাক হবে?মনে মনে ইন্গিত করেছে স্বমীর দিকে এরপর শুধু তালাক বলেছে ৩ বার।