আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
115 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম
১. আমাকে এক নিকটাত্মীয়া (গ্রামীণ ব্যাংকে চাকুরীজীবী) কিছু টাকা দিয়েছেন নিতে না চাওয়া সত্বেও। এই টাকা আমি আমার কোনো কাজে ব্যবহার করতে চাচ্ছি না।আইফতোয়ার বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর  থেকে জেনেছি জায়েজ হবে না সেটা গ্রহণ করা।
এই টাকা কি কারো উপকারের জন্য ব্যয় করা যাবে? যেমনঃ একজন সিজারিয়ান মহিলা টাকার সমস্যায় ভুগছে+ বাচ্চাটাও অসুস্থ। তাদের চিকিৎসার জন্য কি টাকা টা দিতে পারবো?
আর দিতে পারলে কি সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দিতে হবে??


২.হদস সম্পর্কে জানি যে প্রস্রাব -পায়খানার রাস্তা দিয়ে বায়ু বা কিছু বের হলে ওযু ভেঙে যাবে।কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় পেটে গ্যাসের চাপ আছে,এমনকি হলেও মানে শব্দ পেলেও/ না পেলেও মনে হয় গ্যাস হলো কিন্তু সেটা পায়খানার রাস্তা দিয়ে বের হলো কিনা বুঝা যায় না।সেক্ষেত্রেও তো অযু ভেঙে যাবে, তাই না?

1 Answer

0 votes
by (584,130 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1900 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
কুরআন সুন্নাহর আলোকে ব্যাংকের সুদী সেক্টরে চাকুরী করা স্পষ্ট হারাম ও নাজায়েয। আর বিত্তশালীর জন্য হারাম মাল থেকে হাদিয়া গ্রহণ কখনো জায়েয হবে না।তবে যাকে হাদিয়া দেয়া হচ্ছে, তিনি যদি এমন মিসকিন হন যে, তার উপর যাকাত ওয়াজিব হওয়ার পরিমাণ সম্পদ নেই। তাহলে এমন ব্যক্তির জন্য উক্ত হাদিয়া গ্রহণ জায়েয।কেননা হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জ্বী, হ্যা,আপনি গরীব সিজারিয়ান মা নবজাত শিশুর জন্য উক্ত টাকা ব্যায় করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে সওয়াব পাওয়ার নিয়ত করা যাবে না।

(২)
যতক্ষণ পর্যন্ত বায়ূ বের হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না, ততক্ষণ পর্যন্ত অজু ভঙ্গ হচ্ছে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...