আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
155 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু  আলাইকুম।
এলাকার মানুষ আমার উপরে ক্ষেপা। ফজরের নামাজ শেষ হলে আমি মসজিদে বসে থাকি এটা নিয়ে আপত্তি করে। আমি মিলাদ পড়ি না, নামাজ শেষে সম্মিলিত মুনাজাত দেই না। এতে তারা আমাকে ওহাবী বলে,জঙ্গী বলে। আমাকে পুলিশে ধরিয়ে দেবে বলে। আমি আরবী শিখতে যাই,,,তারা বলে আমি নাকি বাড়াবাড়ি করি। আমার মা কাছে এসে কান্নাকাটি করে যাতে আমি আরবী না শিখি, এখন না শিখলে হয়ত আর শিখাও হবে না। আমরা কয়েকজন আসরের পর কোরআন শিখি তারা এটা নিয়েও কথা তুলতে পারে। ভাই এটা কি অপরাধ? আমার যা ইচ্ছা তাই শিখবো তারা এমন করে কেন? আমার অনেকগুলো ইসলমিক বই আছে। ভয় লাগে পুলিশ বই দেখলেই ধরবে। একটা মুসলিম দেশে ইসলামিক বই পড়া বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার সাথে যে ছেলেটা আরবী পড়তে যেত তার বাবা বিদেশ থাকে তাকে হুমকি দিছে ফলে সে এখন আর যাচ্ছে না। আমি কারো সাথে কথা বললেই বলে আমরা নাকি গোপন মিটিং করি। ইসলামিক কিছুই কোথাও আলোচনা করা যায় না,,,মানুষ কান পেতে শুনে। আমার বাড়ির মানুষ আমাকে এসব বলে। তারা আওয়ামী লীগের নেতা। আমাকে পুলিশে ধরিয়ে দেবে জঙ্গী বলে।

আমি কি করবো? আমার মা আমার জন্য সারাদিন চিন্তা করে।  কারন পুলিশকে খবর দিলে বিনা কারনে আমাকে ধরবে,, নিয়ে আমাকে আর ছাড়বে না। আমার ভয় হচ্ছে তার পাশাপাশি মা আমার জন্য চিন্তা করে এজন্যও চিন্তা হয়।

1 Answer

0 votes
by (708,320 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
বর্তমান পরিস্থিতি খুবই নাজুক।বিশেষ করে দ্বীনদ্বার শ্রেণীর লোকদের জন্য খুবই বিপদজনক সময়।আল্লাহ আপনার সহায় হোক।আপনি যদি অবসর থাকেন,তাহলে কোন কওমী মাদরাসায় ভর্তি হয়ে যান।আর যদি আপনি জেনারেল শিক্ষায় ব্যস্ত থাকেন,তাহলে আপনার প্রতি পরামর্শ হল,বক্ষমান পরিস্থিতিতে আপনি গোপনে দ্বীনী কার্যক্রম চালিয়ে যান।
প্রয়োজেনে আপনি দ্বীনী শিক্ষার জন্য তাবলীগে চলে যেতে পারেন।অথবা বাসায় প্রাইভেট আরবী শিক্ষক রেখে আরবী শিখার চেষ্টা করতে পারেন।দ্বীন শিক্ষা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।দেখুন দ্বীনের নামে কোনো বাতিল সংগঠণের সাথে সংযোক্ত হবেন না।কেননা ইসলাম বিরোধীরা দ্বীনের নামে অনেক বাতিল কর্মকান্ড এ যাবৎ চালিয়ে যাচ্ছে।সুতরাং হক্কানী উলামায়ে কেরামের সমর্থন ব্যতীত কোনো দিকে এক কদমও অগ্রসর হওয়া যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...