ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সন্তান জন্মের পর সন্তানের কানে আযান ও ইকামত দেওয়া সুন্নত।এবং ইসলামী নাম রাখা সুন্নত। তাহনীক তথা কোনো বড় আলেমের চর্বিত খেজুর সন্তানের তালুতে লাগিয়ে দেওয়া সুন্নত।চুলের ওজন পরিমাণ স্বর্ণ-রোপা সদকাহ করা মুস্তাহাব। আকিকা করা সুন্নত।এবং সপ্তমদিনে আকিকা করা মুস্তাহাব।
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে
العقيقة عن الغلام وعن الجارية وهي ذبح شاة في سابع الولادة وضيافة الناس وحلق شعره مباحة لا سنة ولا واجبة كذا في الوجيز للكردري.
ছেলে সন্তান এবং মেয়ে সন্তান উভয়ের পক্ষ্য থেকে সপ্তম দিনে আকিকা করা হবে এবং যিয়াফত করানো হবে ও চুল মুন্ডানো হবে।এটা মুবাহ তথা সুন্নতে যায়েদা।সুন্নতে মু'আক্বাদা বা ওয়াজিব নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৬২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
( مَنْ وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَأَحَبَّ أَنْ يَنْسُكَ عَنْهُ فَلْيَنْسُكْ ، عَنْ الْغُلامِ شَاتَانِ مُكَافِئَتَانِ ، وَعَنْ الْجَارِيَةِ شَاةٌ )
যদি কারো সন্তান জন্ম নেয় এবং সে যদি পছন্দ করে আকিকা দিতে,তাহলে সে যেন বরাবর দুটি ছাগল দ্বারা ছেলের আকিকা করে।এবং একটি ছাগল দ্বারা মেয়ের আকিকা করে। (সুনানু আবু-দাউদ-২৮৪২)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নাম রাখার জন্য অনুষ্টান করা সম্পূর্ণ বিদ'আত। জন্মের পূর্ব থেকে বা জন্মের পরপরই সুন্দর একটি নাম রেখে সেই নাম ধরে ডাকা যাবে।অনুষ্টান করে নাম রাখা বা প্রকাশ করার কোনো বৈধতা নাই।