আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
135 views
in সালাত(Prayer) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম হযরত,

একজন লোক মাঝেমধ্যে অপ্রকৃতস্থ (প্রচন্ড রেগে যায়, যাকে পায় মারধর করে, গালাগালি করে। হুশ থাকে না বলা চলে) । সবার সাথে রাগারাগি করে, গায়ে হাত তুলে। এমনকি মুরুব্বিদের সাথেও বেয়াদবি করেছে এবং গায়ে হাত তোলার রেকর্ডও (নিজের পিতাকে) আছে। তার ইমামতিতে নামায পড়া কি উচিত/জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1402 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
যদি কোনো ফাসিক নামাযের ইমামতি করে, তাহলো তখন একা নামাযের চেয়ে ঐ ব্যক্তির ইমামতিতে জামাতের সাথে নামায পড়াই শ্রেয়।
(আহসানুল ফাতাওয়া-৩/২৬২)

শাখাপ্রশাখা গত মাস'আলায় ইমামের সাথে মুসাল্লির মতপার্থক্য হলে করণীয়?
মতপার্থক্য কয়েকভাবে হতে পারে, যথাঃ-
(১)নামায ব্যতীত অন্যান্য মাস'আলা-মাসাঈল নিয়ে মতপার্থক্য। এমন অবস্থায় ইমামের ইকতেদা করাতে কোনো অসুবিধা নেই।
(২)যদি মতপার্থক্য নামায বা পবিত্রতা সম্পর্কীয় হয়,তাহলে হয়তো উত্তম অনুত্তমের মতপার্থক্য হবে বা জায়েয নাজায়েয নিয়ে মতপার্থক্য হবে।
(ক)যদি উত্তম অনুত্তম নিয়ে মতপার্থক্য থাকে, তাহলে তখনও ইক্বতেদাতে কোনো সমস্যা নেই।
(খ)আর যদি মতপার্থক্য জায়েয-নাজায়েয নিয়ে থাকে,এবং মতপার্থক্য সম্পর্কিত মাস'আলায় সতর্কতাকে অবলম্বন করা হয়,এবং যথাসম্ভব ঐ মাস'আলার উৎসকে এড়িয়ে যাওয়া হয়,তাহলেও একতেদা বিশুদ্ধ হওয়াতে কোনো প্রকার অসুবিধে নেই।আর যদি উক্ত মাস'আলাকে এড়িয়ে যাওয়া না হয়,বরং ইমাম মুসাল্লির কোনো একজন উক্ত মাস'আলা উৎসে জড়িত থাকেন,ইমামের মাযহাব অনুযায়ী নামায বিশুদ্ধ হয়ে যায়,আর মুসাল্লির মাযহাব অনুযায়ী নামায বিশুদ্ধ না হয়, তাহলেও এমতাবস্থায় অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরামের মাযহাব অনুযায়ী নামায বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ জামাত তথা একতাকে রক্ষা করার স্বার্থে ফাসিকের পিছনেও নামায পড়ার অনুমোদন দিয়েছেন।সুতরাং শাখাপ্রশাখাগত মতপার্থক্য তো নিতান্তই তুচ্ছ একটি ব্যাপার মাত্র।
(কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/৩৩১)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 117 views
0 votes
1 answer 393 views
...