ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1402 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
যদি কোনো ফাসিক নামাযের ইমামতি করে, তাহলো তখন একা নামাযের চেয়ে ঐ ব্যক্তির ইমামতিতে জামাতের সাথে নামায পড়াই শ্রেয়।
(আহসানুল ফাতাওয়া-৩/২৬২)
শাখাপ্রশাখা গত মাস'আলায় ইমামের সাথে মুসাল্লির মতপার্থক্য হলে করণীয়?
মতপার্থক্য কয়েকভাবে হতে পারে, যথাঃ-
(১)নামায ব্যতীত অন্যান্য মাস'আলা-মাসাঈল নিয়ে মতপার্থক্য। এমন অবস্থায় ইমামের ইকতেদা করাতে কোনো অসুবিধা নেই।
(২)যদি মতপার্থক্য নামায বা পবিত্রতা সম্পর্কীয় হয়,তাহলে হয়তো উত্তম অনুত্তমের মতপার্থক্য হবে বা জায়েয নাজায়েয নিয়ে মতপার্থক্য হবে।
(ক)যদি উত্তম অনুত্তম নিয়ে মতপার্থক্য থাকে, তাহলে তখনও ইক্বতেদাতে কোনো সমস্যা নেই।
(খ)আর যদি মতপার্থক্য জায়েয-নাজায়েয নিয়ে থাকে,এবং মতপার্থক্য সম্পর্কিত মাস'আলায় সতর্কতাকে অবলম্বন করা হয়,এবং যথাসম্ভব ঐ মাস'আলার উৎসকে এড়িয়ে যাওয়া হয়,তাহলেও একতেদা বিশুদ্ধ হওয়াতে কোনো প্রকার অসুবিধে নেই।আর যদি উক্ত মাস'আলাকে এড়িয়ে যাওয়া না হয়,বরং ইমাম মুসাল্লির কোনো একজন উক্ত মাস'আলা উৎসে জড়িত থাকেন,ইমামের মাযহাব অনুযায়ী নামায বিশুদ্ধ হয়ে যায়,আর মুসাল্লির মাযহাব অনুযায়ী নামায বিশুদ্ধ না হয়, তাহলেও এমতাবস্থায় অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরামের মাযহাব অনুযায়ী নামায বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ জামাত তথা একতাকে রক্ষা করার স্বার্থে ফাসিকের পিছনেও নামায পড়ার অনুমোদন দিয়েছেন।সুতরাং শাখাপ্রশাখাগত মতপার্থক্য তো নিতান্তই তুচ্ছ একটি ব্যাপার মাত্র।
(কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/৩৩১)