আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
198 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ মুহতারাম।
বিয়ের একটি প্রস্তাব নিয়ে মোটামুটি অনেকটুকু আগানোর পর যদি পাত্রের ইনকাম কম বলে পাত্রীর অভিভাবক (অর্থাৎ মা,বাবা,বড় ভাই বোন) ঐ প্রস্তাব টা কে নিষেধ করে দেয় এ অবস্থায় পাত্রীর কি করা উচিত?
পাত্র, পাত্রের পরিবারের দ্বীনদারিতা আলহামদুলিল্লাহ পাত্রীর পছন্দ হয়েছে, পাত্রী যেমন চায় পাত্র পক্ষ মা শা আল্লাহ তেমন।

এখন সমস্যা হলো পাত্র এখনো ছাত্রাবস্থায় আছে,পড়াশোনা শেষ পর্যায়ে। পাত্র পার্মানেন্ট কোনো চাকরি করে না বলে পাত্রীর অভিভাবকদের এত সিদ্ধান্তহীনতা।

পাত্রীর অভিভাবকরা মনে করছে পাত্রের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত,পাত্র বেকার। অথচ পাত্র এখনো পার্টটাইম জব করে, কোচিং করিয়ে মাসিক ২৫-৩০ হাজার টাকা আয় করেন।

কিন্তু এটি পার্মানেন্ট কিছু  না বলে কথাবার্তা অনেকটুকু আগানোর পর এখন পাত্রীপক্ষ থেকে নিষেধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। পাত্র পক্ষ যথেষ্ট আগ্রহী মা শা আল্লাহ।
১.এ অবস্থায় পাত্রীর কি উচিত হবে পরিবারের বিপরীতে গিয়ে দ্বীনদারিতা কে প্রাধান্য দিয়ে অভিভাবকদের জোর করা?
২.এতে কি পাত্রী গুনাহের ভাগিদার হবে? দ্বীনকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য মা বাবাকে জোর করা কি ঠিক নয়?

মা বাবা দুনিয়া কে প্রাধ্যন্য দিচ্ছে যা পাত্রীর পছন্দ নয়,রিযিকের মালিক আল্লাহ এ বিশ্বাস পাত্রীর আছে কিন্তু অভিভাবকরা ভবিষ্যৎ কে অনিশ্চিত গণ্য করছেন।

পাত্রী ও তার কিছু কাছের মানুষ অভিভাবকদের অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছে,দ্বীনকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য। কিন্তু দ্বীনের প্রাধান্য অভিভাবকদের কাছে নেই।

দয়া করে আপনার মূল্যবান পরামর্শ দিবেন বিস্তারিত।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/7476 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ)
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী
তুমি দ্বীনদারীকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২,সহীহ মুসলিম-১৪৬৬) বিস্তারিত জানুন-১৮

সম্মাণিত ভার্সিটিয়ান দ্বীনী বোনগণ!
দ্বীনদার জীবনসঙ্গী-ই জীবনের অনেক বড় পাওয়া।নিজে নিজে পাত্র দেখে বিয়ে করাটা যদিও জায়েয।তবে তা অদ্য কোনো মুসলিম/ মুসলিমার জন্য সমুচিত হবে না।এক্ষেত্রে লজ্জার বিষয়টাও বিবেচ্য।হ্যা পরিবার সাধারণত যেরকম পাত্রর কথা বলে থাকে,সেরকম পাত্রকে বিয়ে করাটাও আবার নাজায়েয হবে না।কেননা শুধুমাত্র ঈমান এবং আক্বিদা-বিশ্বাস বিশুদ্ধ থাকলেই তার সাথে বিয়েনশাদী বৈধ থাবে।যদিও তা উত্তমতার খেলাফ।

আপনারা ফ্যমিলির সদস্যবৃন্দকে বুঝাতে থাকবেন। এবং আল্লাহর কাছে দু'আ করতে থাকবেন।বলা তো যায় না কখন আপনার দু'আ আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যাবে।

হেকমত এবং নরম ভাষায় তাদের বুঝাতে থাকবেন।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﺍﺩْﻉُ ﺇِﻟِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺭَﺑِّﻚَ ﺑِﺎﻟْﺤِﻜْﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻮْﻋِﻈَﺔِ ﺍﻟْﺤَﺴَﻨَﺔِ ﻭَﺟَﺎﺩِﻟْﻬُﻢ ﺑِﺎﻟَّﺘِﻲ ﻫِﻲَ ﺃَﺣْﺴَﻦُ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﻤَﻦ ﺿَﻞَّ ﻋَﻦ ﺳَﺒِﻴﻠِﻪِ ﻭَﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﺎﻟْﻤُﻬْﺘَﺪِﻳﻦَ
আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন হেকমত তথা জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও নরমভাবে উপদেশ শুনিয়ে, এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।(সূরা নাহল-১২৫)(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন!
পাত্রের ইনকাম অবস্থার প্রতি লক্ষ্য করে বিয়েকে ভঙ্গ করে দেয়া কখনো উচিৎ হবে না।সুতরাং পাত্রীর উচিৎ যথাসাধ্য উক্ত পাত্রের সাথে বিয়ে যেন হয়,সেই ব্যবস্থা করা যেহেতু পাত্র দ্বীনদ্বার। তবে এক্ষেত্রে মাতাপিতাকে বিসর্জন দেয়া যাবে না।বরং মাতাপিতাকে সন্তুষ্ট করেই এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নিজ বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় স্বজনকে এই বিয়ের জন্য সুপারিশে লাগানো যেতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...