Assalamualaikum,
আমার পান খাওয়ার অভ্যাস আছে। কিন্তু আমার স্ত্রী তা পছন্দ করে না। একদিন মোবাইলে কথা বলার সময় সে আমাকে পান খেতে নিষেধ করে। আমি রাগ বলি যে, ' আমি পান খাবোই এবং যে থাকতে চায় সে থাকবে, আর যে থাকতে না চায় সে যেন চলে যায়। আমার এই কথার দ্বারা সে মনে করছে যে, আমি তাকে তার নফসের উপর তালাক দেয়ার অধিকার দিয়েছি। অথচ বিয়ের দিন কাবিননামায় স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক দেওয়ার অধিকারের বিষয়ে কাজি সাহেব আমাকে কোন কিছু জিজ্ঞেস করেন নি। কাবিননামার কোনো শর্ত না দেখেই আমি সাক্ষর করি। কাজি সাহেব স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অধিকার দিয়েছেন কিনা তা আমি এখনো জানি না।
আমার স্ত্রীর ওয়াসওয়াসা সম্যসা খুব বেশি। সে এই বিষয়ে ফোনে আলেমা, একজন মুফতি সাহেবের আর তার বাবা মায়ের সাথে কথা বলে। এখন তার মনে হয় তাদের সাথে কথা বলার সময় হয়তো নিজ নফসের উপরে তালাক দেওয়া এইটা বলে ফেলেছে।
আমার প্রশ্ন হলো সে যদি তার স্বামী বাদে অন্য কাউকে শুনিয়ে নিজ নফসের উপরে তালাক দিয়েও থাকে তাহলে তালাক পতিত হবে কিনা?
২.) আমার স্ত্রী কাছে মনে হচ্ছে, সে কোন কুফুরি কথা বলে ফেলছে। এখন যদি সে ওয়াসওয়াসা অবস্থায় কোন কুফুরি কথা বলে থাকে, তাহলে কি কুফুরি হবে?
বি:দ্র: আমার স্ত্রী ২০১৮ সাল থেকে ওয়াসওয়াসা রোগী। তার মনে প্রায় সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খুব বেশি সন্দেহ কাজ করে।গত বছর আমাদের বিয়ে হয়। ইদানীং তার বিয়ে নিয়ে ওয়াসওয়াসা শুরু হয়। ইতিপূর্বে তাকে রুকইয়াহ সেন্টারে চিকিৎসা করানো হয়েছিল এবং বর্তমানে ডাক্তারি চিকিৎসা চলমান আছে।