আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (66 points)
আসসালামু আ'লাইকুম
১। মোবাইলে কাউকে হটস্পট অন করে দেয়ার পর যদি দেখি সে মিউজিক আছে এমন কার্টুন দেখছে,
তাহলে কি হটস্পট অন করে দেয়ার জন্য আমি গুনাহগার হবো?
আমি জানতাম না যে হটস্পট অন করতে বলে তিনি এসব দেখবেন!
২।ইতেকাফ করার জায়গায় কি নামাজ পড়তে হবে? অন্য জায়গায় পড়া যাবে না? ইতেকাফ করতে হলে কি সারাদিন ওই জায়গায় বসে আল্লাহর জিকির ইবাদত করতে হবে প্রয়োজন ছাড়া সে জায়গা ত্যাগ করার যাবে না? ইতেকাফ করার জন্য কি পর্দা দেয়া জরুরি? চেয়ারে বসে ইতিকাফ করা যায়?
৩।কত বছর বয়সে মেয়েরা সাবালিকা হয়?বা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারবে? ২২ + বয়সী একজন মেয়ে কি নিজে বিয়ে করতে পারবে?
৪।নামজের ওয়াক্ত শেষ হতে ৩ মিনিট আছে।আমার ২ রাকাআত নামাজে ৫ মিনিটের মত সময় লাগে।
এক্ষেত্রে নামাজরত অবস্থায়  ওয়াক্ত পার হয়ে যাবে।এমতাবস্থায় কি নামাজ শুরু করতে হবে নাকি হারাম ওয়াক্ত শেষে কাযা পড়তে হবে?


৫।বাবা জীবিত অবস্থায় বাবাকে না জানিয়ে মেয়ের বিয়ে তে মেয়ের চাচা অভিভাবক হিসেবে সাক্ষী থাকতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

(১)
না, আপনি গোনাহগার হবেন না।তবে যদি আপনার জানা থাকে যে, আপনার হটস্পট অন করা দ্বারা সে মিউজিক ইত্যাদি দেখবে,গোনাহে জড়াবে, তাহলে সে অবশ্যই গোনাহগার হবে।

(২)
ইতিকাফের বেলায় পুরুষের জন্য মসজিদ মসজিদ হওয়া জরুরী।এবং নারীদের জন্য ঘরের মসজিদ বা ঘরের কোনো এক রুমকে নির্ধারণ করা জরুরী। নারীদের জন্য ইতিকাফের বেলায় ঘরের মসজিদ শর্ত নয়।বরং ঘরের যে কোনো রুমকে ইতিকাফের জন্য নির্ধারণ করা যাবে। নারীরা ইতিকাফে বসার পর অন্য রুমে যেতে পারবে না।বরং এই রুমেই নারীদেরকে নামায পড়তে হবে।


(৩)
সরকারী নিয়মে ১৬ বৎসর বয়সে একজন মেয়ে সাবালিকা হিসেবে গণ্য হবে। তবে শরীয়তের দৃষ্টিতে ৯-১২ মধ্যেই একজন নারী সাবালিক হিসেবে হয়ে যায়।
এই বয়সে শরীয়তের দৃষ্টিতে বিয়ে বৈধ। তবে র্রাষ্টীয় আইনে ১৬/১৮ বৎসরের পূর্বে বিয়ে করা যাবে না। দারুল আমানে বসবাসরত তথা বাংলাদেশে বসবাসরত সকল মুসলিমের জন্য সরকারী আইন মেনে চলা জরুরী।

(৪)
নামায হয়ে যাবে।তবে শুধুমাত্র ফজরের নামায হবে না।বরং ঐ নামাযকে পরবর্তীতে কাযা করতে হবে।

(৫)
বাবার অনুমতি থাকলে সমস্যা নাই।নতুবা পারবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...