ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি
ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
ইবাদত শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তষ্টির জন্যই হওয়া চাই।
রাছূল সাঃ বলেছেন-
مَنْ صَلَّى يُرَائِي
فَقَدْ أَشْرَكَ، وَمَنْ صَامَ يُرَائِي فَقَدْ أَشْرَكَ، وَمَنْ تَصَدَّقَ
يُرَائِي فَقَدْ أَشْرَكَ.
অর্থ:- যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে নামায পড়ল সে শির্ক করল, যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে রোযা
পালন করল সে শির্ক করল, যে ব্যক্তি
মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে দান-সাদাক্বাহ করল সে শির্ক করল। (মুসনাদে আহমাদ)
আল্লাহর সন্তুষ্টির সাথে সমান সমান ভিন্ন কোনো নিয়ত থাকলে বা আল্লাহর
সন্তুষ্টি ব্যতীত ভিন্ন কোনো নিয়ত থাকলে তখন উক্ত ইবাদতকে রিয়া বলা যায়।তবে যদি
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই মূল উদ্দেশ্য থাকে এবং লোকজন ভাল বলবে, সেই আমলের দুনিয়াবী ফয়দা বিবেচনা করা হয়,তাহলে এমন নিয়ত আল্লাহর সাথে শরীক করা হয় না
এবং লোক দেখানোও হয় না।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতটি রিয়ার অন্তর্ভুক্ত হবে না। আর রিয়া হলো লোক
দেখানো ইবাদত করা। আর প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে এটা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এতে কোনো
সমস্যা নেই।
,
রিয়া থেকে
বেঁচে থাকতে করণীয় সম্পর্কে জানুন- https://ifatwa.info/2685/