ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَن عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ ذَاتَ يَوْمٍ اسْتَحْيُوا مِنْ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ حَقَّ الْحَيَاءِ قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّا نَسْتَحِي وَالْحَمْدُ لِلهِ قَالَ لَيْسَ ذَلِكَ وَلَكِنْ مَنْ اسْتَحَى مِنْ اللهِ حَقَّ الْحَيَاءِ فَلْيَحْفَظْ الرَّأْسَ وَمَا حَوَى وَلْيَحْفَظْ الْبَطْنَ وَمَا وَعَى وَلْيَذْكُرْ الْمَوْتَ وَالْبِلَى وَمَنْ أَرَادَ الْآخِرَةَ تَرَكَ زِينَةَ الدُّنْيَا فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ اسْتَحْيَا مِنْ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ حَقَّ الْحَيَاءِ
আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা আল্লাহকে যথাযথভাবে লজ্জা কর। সকলে বলল, ‘হে আল্লাহর নবী! আমরা তো—আলহামদু লিল্লাহ—আল্লাহকে লজ্জা করে থাকি।’ তিনি বললেন, না, ঐরূপ নয়। আল্লাহকে যথাযথভাবে লজ্জা করার অর্থ এই যে, মাথা ও তার সংযুক্ত অন্যান্য অঙ্গ (জিভ, চোখ এবং কান) কে (অবৈধ প্রয়োগ হতে) হিফাযত করবে, পেট ও তার সংশ্লিষ্ট অঙ্গ (লিঙ্গ, হাত, পা ও হৃদয়) কে (তাঁর অবাধ্যাচরণ ও হারাম হতে) হিফাযত করবে এবং মরণ ও তার পর হাড় মাটি হয়ে যাওয়ার কথা (সর্বদা) স্মরণে রাখবে। আর যে ব্যক্তি পরকাল (ও তার সুখময় জীবন) পাওয়ার ইচ্ছা রাখে, সে ইহকালের সৌন্দর্য পরিহার করবে। যে ব্যক্তি এ সব কিছু করে, সেই প্রকৃতপক্ষে আল্লাহকে যথাযথভাবে লজ্জা করে।
(মুসনাদে আহমাদ ৩৬৭১, তিরমিযী ২৪৫৮, সহীহ তিরমিযী ২০০০)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উল্লেখিত ছুরতে বড় শিরক হবেনা।
(০২)
উদাহরণ জানতে ও বুঝতে উপরোক্ত হাদীস দ্রষ্টব্য।
(০৩)
হ্যাঁ, এটা সৃষ্ট।
(০৪)
যার অন্তরে যেটা চলতাছে সেটা তো সে জানবেই,কারন তার অন্তরেই যে এটা চলছে।
সুতরাং এটি গায়েন জানা হবেনা।
(০৫)
সেটি সম্পর্কে ফেরেশতাদের জানানো হয়েছে।
সুতরাং সেটি তাদের কাছে গায়েব নয়।
(০৬)
গায়েব বলতে অদৃশ্যের কিছু অজানা জিনিস বা ভবিষ্যতে হবে এমন কোনো জিনিস কোনো মাধ্যম ব্যাতিত বলে দেয়া।
তাই উপরোক্ত ছুরত গায়েবের অন্তর্ভুক্ত নয়।
(০৭)
এটা সঠিক।
(০৮)
এটা সঠিক।
(০৯)
আপনি ঈমান হারা হননি।
(১০)
কোনো বিজ্ঞ ডাক্তার যদি সেটি বলে,তাহলে তাহা জায়েজ হবে।
নতুবা তাহা কুসংস্কার।
(১১)
ফ্লেক্সিলোডে যত টাকার ফ্লেক্সি করা হচ্ছে এর চেয়ে কম-বেশীতে লেনদেন করাতে সুদ নেই।
নির্ধারিত অংকের ফ্লেক্সি অর্থাৎ ঐ পরিমাণ টেলি যোগাযোগ আউটগোয়িং সেবা, যা বিক্রয়যোগ্য। তাই এটা নির্ধারিত মূল্যের বেশীতে লেনদেন করা সুদ নয়।
কিন্তু কোম্পানির পক্ষ থেকে লোডকারী তথা দোকানীকে যেহেতু কমিশন দেওয়া হয় এবং গ্রাহক থেকে এবাবদ অতিরিক্ত কোনো টাকা নেওয়া কোম্পানি কর্তৃক নিষিদ্ধ তাই নির্ধারিত মূল্যের বেশী নেওয়া ঠিক হবে না। একইভাবে ফ্লেক্সিকারী দোকানীকে দেওয়া কমিশন তার জন্য বৈধ। এখানেও সুদের কিছুই নেই। বরং এ কারবারের ব্যাখ্যা হল, ১০ হাজার টাকার সেবা কোম্পানি তার ডিলারদের নিকট নয় হাজার টাকায় বিক্রি করছে।
(ফাতহুল কাদীর ৬/১৫৯; তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ১/৪০০)
(সংগৃহীত)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে একজাতীয় জিনিসের লেনদেন হয় না। কেননা মোবাইলে টাকা রির্চাজ করার মানে হচ্ছে, টেলি-যোগাযোগ সেবা ক্রয় করা।
সুতরাং একদিকে টাকা অন্যদিকে মোবাইল অপারেটরের সেবা ক্রয় করা হচ্ছে। টাকার মোকাবেলায় টাকা হচ্ছে না।
তাই মোবাইলে কম টাকা রির্চাজ হলেও তা সুদ হবে না।
★তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অতিরিক্ত এক টাকা নেয়াকে সুদ বলা যাবেনা।
★এখানে যেহেতু সে কোম্পানি থেকে একটি পার্সেন্ট পায়,তাই এই এক টাকা অতিরিক্ত নেয়া তার জন্য ঠিক হচ্ছেনা।
তবে উভয়েই যেহেতু জেনে শুনেই সন্তুষ্টি সেই অতিরিক্ত টাকা দিচ্ছে নিচ্ছে,তাই তাহা গ্রহন হারাম হবেনা।
হ্যাঁ যদি বিষয়টি গ্রাহক আগে থেকে না জেনেই রিচার্জ করতে যায়,আত দোকানদার বিষয়টি আগে না বলেই রিচার্জ করে দেয়ার পর দোকানদার সেই অতিরিক্ত এক টাকা দাবী করলে গ্রাহক তাহা দিতে না চাইলে দোকানদার যদি জোড় করে জুলুম করে টাকা নেয়,তাহলে সেটি গ্রহন দোকানদারের জন্য হারাম হবে।