সাহাবী, তাবেয়ী বা কোনো আল্লাহর ওলীর নামে,বা মহল্লা/গ্রাম/উত্তম কোনো এলাকার নামে মসজিদের নামকরণ করা ভালো। যেমন সমজিদে আবু বকর রা., মসজিদে বেলাল রা., ইত্যাদি।
মসজিদের জায়গা ওয়াকফ কারী বা মসজিদে অর্থ দান করে দাতার নামে মসজিদের নামকরণ করা উচিত নয়। কারণ এতে এখলাস নষ্ট হওয়া ও রিয়া তথা লোক দেখানোর আশঙ্কা থাকে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوٰى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُوْلِه فَهِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُولِه وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ اِلٰى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهٗ إِلٰى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিয়্যাতের উপরই কাজের ফলাফল নির্ভরশীল। মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী ফল পাবে। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করবে, তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্যই গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার স্বার্থপ্রাপ্তির জন্য অথবা কোন মহিলাকে বিবাহের জন্য হিজরত করবে সে হিজরত তার নিয়্যাত অনুসারেই হবে যে নিয়্যাতে সে হিজরত করেছে।
(বুখারী ১, মুসলিম ১৯০৭, তিরমিযী ১৬৩৭, নাসায়ী ৭৫, আবূ দাঊদ ২২০১, ইবনু মাজাহ্ ৪২২৭, আহমাদ ১৬৯, ৩০২।)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
একবার মসজিদের যেই নাম রাখা আছে,সেটাই সহীহ।
মসজিদের নতুন সংস্করনের পর বা অন্য কোনো সময়ে মসজিদের নাম পরিবর্তন করে দেয়া জায়েজ নেই,এতে অনেক পেরেশানি দাঁড়িয়ে যাবে।
অনেক ঝামেলা, ঝগড়াঝাটি ইত্যাদি হবে।