আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
297 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (54 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্
স্বামীর ভাই ব্যাংকে চাকরি করলে এবং তিনিই সংসারের বেশিরভাগ খরচ পরিবহন করলে, সে টাকা থেকে খাবার+অন্যান্য খরচ নির্বাহ হলে কি সে ঘরের খাবার হারাম? স্বামীও অর্থ দিলে, কিন্তু সেটা কম। বউয়ের খাবারও যেহেতু একই ঘরে একসাথেই রান্না হবে!


২. ইস্তেখারার রেজাল্ট পজিটিভ এলে মেয়ে যদি ছেলেকে নিজে ফোন করে প্রস্তাব দেয়, তাহলে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,110 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
https://ifatwa.info/12906/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
 ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ : ﺃﻥ ﻫﻨﺪ ﺑﻨﺖ ﻋﺘﺒﺔ ﻗﺎﻟﺖ : ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ، ﺇﻥ ﺃﺑﺎ ﺳﻔﻴﺎﻥ ﺭﺟﻞ ﺷﺤﻴﺢ ﻭﻟﻴﺲ ﻳﻌﻄﻴﻨﻲ ﻣﺎ ﻳﻜﻔﻴﻨﻲ ﻭﻭﻟﺪﻱ ﺇﻻ ﻣﺎ ﺃﺧﺬﺕ ﻣﻨﻪ ﻭﻫﻮ ﻻ ﻳﻌﻠﻢ، ﻓﻘﺎﻝ : ﺧﺬﻱ ﻣﺎ ﻳﻜﻔﻴﻚ ﻭﻭﻟﺪﻙ ﺑﺎﻟﻤﻌﺮﻭﻑ .
"হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত,হিনদ বিনতে উতবা রাঃ নবী কারীম সাঃ এর কাছে (নিজ স্বামীর অভিযোগ নিয়ে এসে) বললেনঃহে রাসুলুল্লাহ সাঃ আবু সুফিয়ান একজন কৃপন মানুষ, সে আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভরণ-পোষণ দেয় না,যদ্দরুন তার অজান্তে তার মাল থেকে আমি খরছ করে ফেলি, (এ বিষয়ে শরীয়তের দিকনির্দেশনা আমাদেরকে বলুন)রাসুলুল্লাহ সাঃ বললেনঃ ন্যায়সঙ্গত ভাবে তোমার ও তোমার সন্তানদের যা প্রয়োজন তা (তার অজান্তে)নিয়ে নিতে পারো(এতে কোনো অসুবিধা হবে না)।"
(সহীহ বুখারীঃ৫৩৬৪)আরও বর্ণিত আছে৫৭৮৬ নং হাদীসে। 

স্বামীর উপর স্ত্রী ও নাবালিগ সন্তানদের ভরণ-পোষণ ওয়াজিব,এই ওয়াজিব হক্ব আদায় না করা দরুণ রাসুলুল্লাহ সাঃ স্বামীর অজান্তে স্বামীর মাল থেকে স্ত্রীকে উসূলের অনুমতি দিয়েছেন।


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নের বিবরণ মতে স্ত্রী সেই খাবার খেলে কোনো গুনাহ হবেনা।
স্ত্রীর জন্য সেই খাবার খাওয়া জায়েজ।

(০২)
যদি বৈধ কথাবার্তা বলে, অবৈধ ও অপ্রয়োজনীয় কথা না বলে,ফিতনার আশংকা মূলক কোনো কথা না বলে,অহেতুক কথা না বলে,তাহলে আশা করা প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে গুনাহ হবেনা।

তবে এটি নিয়ম নয়।
নিয়ম হলো, এক্ষেত্রে মেয়ে তার পরিবারকে জানাবে।
তার পরিবার পাত্রের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবে।
যদি তারা প্রথমেই নাকচ করে দেয়,তাহলে তো পাত্র পাত্রীর কথাবার্তার সুযোগই হবেনা।
আর যদি তারাও এই প্রস্তাবে এগোয়,তাহলে দেখাদেখি পর্যন্ত পৌছলে সেক্ষেত্রে সেই সময় পাত্র পাত্রী শরীয়াহ নিয়ম মেনে দেখা সাক্ষাৎ করে জরুরি কথা বলতে পারবে।          


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...