জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ : ﺃﻥ ﻫﻨﺪ ﺑﻨﺖ ﻋﺘﺒﺔ ﻗﺎﻟﺖ : ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ، ﺇﻥ ﺃﺑﺎ ﺳﻔﻴﺎﻥ ﺭﺟﻞ ﺷﺤﻴﺢ ﻭﻟﻴﺲ ﻳﻌﻄﻴﻨﻲ ﻣﺎ ﻳﻜﻔﻴﻨﻲ ﻭﻭﻟﺪﻱ ﺇﻻ ﻣﺎ ﺃﺧﺬﺕ ﻣﻨﻪ ﻭﻫﻮ ﻻ ﻳﻌﻠﻢ، ﻓﻘﺎﻝ : ﺧﺬﻱ ﻣﺎ ﻳﻜﻔﻴﻚ ﻭﻭﻟﺪﻙ ﺑﺎﻟﻤﻌﺮﻭﻑ .
"হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত,হিনদ বিনতে উতবা রাঃ নবী কারীম সাঃ এর কাছে (নিজ স্বামীর অভিযোগ নিয়ে এসে) বললেনঃহে রাসুলুল্লাহ সাঃ আবু সুফিয়ান একজন কৃপন মানুষ, সে আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভরণ-পোষণ দেয় না,যদ্দরুন তার অজান্তে তার মাল থেকে আমি খরছ করে ফেলি, (এ বিষয়ে শরীয়তের দিকনির্দেশনা আমাদেরকে বলুন)রাসুলুল্লাহ সাঃ বললেনঃ ন্যায়সঙ্গত ভাবে তোমার ও তোমার সন্তানদের যা প্রয়োজন তা (তার অজান্তে)নিয়ে নিতে পারো(এতে কোনো অসুবিধা হবে না)।"
(সহীহ বুখারীঃ৫৩৬৪)আরও বর্ণিত আছে৫৭৮৬ নং হাদীসে।
স্বামীর উপর স্ত্রী ও নাবালিগ সন্তানদের ভরণ-পোষণ ওয়াজিব,এই ওয়াজিব হক্ব আদায় না করা দরুণ রাসুলুল্লাহ সাঃ স্বামীর অজান্তে স্বামীর মাল থেকে স্ত্রীকে উসূলের অনুমতি দিয়েছেন।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে স্ত্রী সেই খাবার খেলে কোনো গুনাহ হবেনা।
স্ত্রীর জন্য সেই খাবার খাওয়া জায়েজ।
(০২)
যদি বৈধ কথাবার্তা বলে, অবৈধ ও অপ্রয়োজনীয় কথা না বলে,ফিতনার আশংকা মূলক কোনো কথা না বলে,অহেতুক কথা না বলে,তাহলে আশা করা প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে গুনাহ হবেনা।
তবে এটি নিয়ম নয়।
নিয়ম হলো, এক্ষেত্রে মেয়ে তার পরিবারকে জানাবে।
তার পরিবার পাত্রের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবে।
যদি তারা প্রথমেই নাকচ করে দেয়,তাহলে তো পাত্র পাত্রীর কথাবার্তার সুযোগই হবেনা।
আর যদি তারাও এই প্রস্তাবে এগোয়,তাহলে দেখাদেখি পর্যন্ত পৌছলে সেক্ষেত্রে সেই সময় পাত্র পাত্রী শরীয়াহ নিয়ম মেনে দেখা সাক্ষাৎ করে জরুরি কথা বলতে পারবে।