আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ,

আমি কসম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি ।
আল্লাহ্ এর কসম করে বলছি বা কোরআন শরীফ ছুয়ে বলছি আমি তোমাকে ছাড়া আর কাউকে কখনই বিয়ে করবো না বা আমি তেমাকে ছাড়া আর কাউকে কখনই চাই না ।

 আবার বলছি আল্লাহ্ আমি তোমাকে কথা দিলাম আমি এই ifatwa তে আমার বিয়ে আগে  কখনই আসবো না ।
আমি এই কথা  বা আরও এমন কসম মনে হয় বলছিলাম । কিন্তু কসম রাখতে পারি নি  ।আমি যদি অন্য কাউকে বিয়ে করি এখন আমার কি করনীয় ।প্রশ্ন ০১। কোনো সমস্যা নাই তো অন্য কাউকে বিয়ে করতে?আমাকে  এখন কি করতে হবে দয়া করে সাহায্য করবেন  ? কসম গুলোর কি কাফফারা দিতে হবে বা কোনো ক্ষতি হবে ? কাফফারা দিতে হলে কি ভাবে দিব ?

২। আমি তালাকের মাসয়ালা নিয়ে অনেক হতাশায় ভুগতেছি আমার জন্য করনীয় কি । জীবন নিয়ে হতাশ হয়ে যাচ্ছি ।হতাশা গুলো এমন আমার মনে যেন এখানে কিছু হইছে আবার মনে হয় কিছুই হয় নি । না জানি কি হয়ে গেছে আবার মনে হয় কিছুই হয় নি ।আমার এই গুলো কি শয়তানের ধোকা ? আমার কি উচিত এই গুলো নিয়ে আর না ভাবা ?

যা হওয়ার হইছে আল্লাহ ভরসা ।আল্লাহ  সব কিছু ক্ষমা করেন । এই কথা মনে প্রানে বিশ্বাস রেখে সব কিছু মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে । আল্লাহর উপর ভরসা করে নি:সন্দেহে জীবন  আগাতে পারি সব কিছু তে ? চিন্তা করারই দরকার নাই একদম ? এখানেই বন্ধ হয়ে যেতাম এই গুলো থেকে ?

1 Answer

0 votes
by (566,940 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
আপনি যদি নিশ্চিত ভাবে মহান আল্লাহর নামে উক্ত কসম করে থাকেন,তাহলে আপনার উপর কাফফারা আদায় করা ওয়াজিব হবে। 

তা আদায় না করলে আপনার কবিরা গুনাহ হবে। কসমের কাফফারা হলো, ১০ জন মিসকিনকে দুই বেলা তৃপ্তিসহকারে খাবার খাওয়ানো। অথবা প্রত্যেককে এক জোড়া কাপড় দেওয়া। আর তা সম্ভব না হলে একনাগাড়ে তিন দিন রোজা রাখা।

কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,

لاَ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে,(১) দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক।(২)অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে।(৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে।.....এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। (সূরা মায়েদা-৮৯)

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কেউ যদি কুরআনে কারীম কে হাতে নিয়ে বা তাতে হাত রেখে কোনো কথা বলে,কিন্তু সে শপথ/কসম ইত্যাদি শব্দ উল্লেখ না করে, অথবা কুরআনের দিকে ইশারা করে বলে, এই কুরআনের শপথ, তাহলে সেটা শপথ হবে না। 
বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/579

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি এভাবে বলে থাকেনঃ-
""কোরআন শরীফ ছুয়ে বলছি আমি তোমাকে ছাড়া আর কাউকে কখনই বিয়ে করবো না""

তাহলে প্রশ্নের বিবরণ মতে এটি কসম হবেনা।
তাই সেই ছুরতে কাফফারা আদায় করতে হবেনা।

(০২)
জী,আপনি এসব কিছু মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন । আল্লাহর উপর ভরসা করে নি:সন্দেহে জীবন  আগাতে পারেন সব কিছু তে। চিন্তা করারই দরকার নাই একদম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...