আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
152 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (82 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।একটা মেয়ে বিয়ে করেছে।তার বাসায় তার বিয়ে মেনে নেই  নি।তহ স্বামী বলতেছে স্বামী আবার মেয়ের বাবার সাথে কথা বলবে।মেয়ে বলতেছে একা বলিও কাও কে নিয়ে বলিও না।স্বামী বলতেছে একা কেমনে বলব কাওকে নিয়ে বলতে হবে।তহ এভাবে কথা হতে হতে স্বামী বলে যা ভাল বুঝ করিও বা কর।আমি আর কথা বলব না তুমার বাবার সাথে।তুমি আসিও না  মানলে।আমাকে আর বলিও না।বাদ দাও শশুর বাড়িতে আসার চিন্তা।আমি চাইছি যে নামায় নিয়ে  আসতে।এসব কথা,দ্বারা কি তালাক হবে?এমনিতে তালাকের কোন কথা হচ্ছি ল না।স্ত্রীকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা হচ্ছিল। আর স্ত্রীর বাবার সাথে কথা বলার কথা হচ্ছিল   ।স্বামীকে জিগ্যেস করলে রেগে যায় তাই জিগ্যেস ও করতে পারতেছে না।আগে যখন কেনায়া বাক্য বলত তখন স্ত্রী জিগ্যেস করলে বলত তুকে ছাড়ার জন্য বিয়ে করি নি,বারবার একই কথা বলিস না।তহ এখন কি করবে  স্বামীকে জিগ্যেস ও করতে পারতেছে না রেগে যায়।

২।স্বামীকে তালাকের নিয়তে কেনায়া বাক্য বলেছে কিনা জিগ্যেস করলে রেগে যায়।মানে ধরেন  স্বামী  কেনায়া শব্দ বলেছে তারপর স্ত্রী জিগ্যেস করলে রেগে যায়।গালি  দেয়।আর বলে তুকে বিয়ে করছি যে ছাড়ার জন্য না।বারবার একই কথা বলিস না।তহ ভবিষ্যৎ এ স্বামী আবার কেনায়া শব্দ    বললে স্ত্রী কি করবে? নিয়ত ও জিগ্গেস করতে পারে না। গালি  দেয়।

1 Answer

0 votes
by (574,350 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ ভয়ানক শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}


★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।
উক্ত স্ত্রী এই ঘটনা নিয়ে তালাক সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন  
স্বামীকে করবেনা।

(০২)
পরবর্তীতে অন্য কোনো দিন যদি স্বামী তালাকের কেনায়া বাক্য বলে,তাহলে স্ত্রী একবার জিজ্ঞাসা করবে।
স্বামী যদি রেগে যায় বা জবাব না দেয়,তাহলে স্ত্রীর কোনো করনীয় নেই । 
পরবর্তী জীবনে স্বামী যেকোনো সময় কেনায়া বাক্য বললে স্ত্রী একবার নিয়তের কথা জিজ্ঞাসা করবে,এর পর তালাক নিয়ে স্ত্রী আর টেনশন করবেনা।

কেনায়া বাক্য কি কি? তাহা জানতে উপরে উল্লেখিত লিংক ক্লিক করুন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...