জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَإِنْ كُنْتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُوا وَإِنْ كُنْتُمْ مَرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِنْكُمْ مِنَ الْغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا
‘আর যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে ভালোভাবে পবিত্র হও। আর যদি অসুস্থ হও কিংবা সফরে থাক অথবা যদি তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে অথবা তোমরা যদি স্ত্রী সহবাস কর অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৬]
শরিয়তের দৃষ্টিতে তায়াম্মুম ঐ ব্যক্তি করতে পারবে যে ব্যক্তির কাছে কোনো পানি নেই। পানির ব্যবস্থা হওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই। অথবা পানি আছে কিন্তু সে পানি ব্যবহারে অক্ষম। অথবা পানি ব্যবহারে রোগ বৃদ্ধির আশংকা বা প্রাণ নাশের আশংকা দেখা দিবে। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণে তায়াম্মুম করার অনুমতি নেই।
সুতরাং নামাজের সময় সংকীর্ণ হলেও পানি থাকা অবস্থায় তায়াম্মুম করা বৈধ হবে না।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
যদি তারাতাড়ি অযু করে এসে দ্রুত সময়ে উক্ত ওয়াক্তের মধ্যেই নামাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না হয়,সেক্ষেত্রে সেই নামাজের কাজা আদায় করবেন।
(০২)
এমতাবস্থায় তায়াম্মুমেরই কোনো সুযোগ নেই,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতের তো কোনো কথাই নেই।
অযু ছাড়া এভাবে নামাজ পড়া হারাম।
এমন অবস্থায় অযু করতেই হবে।