আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু উস্তাদ

আমি কিছুদিন যাবৎ অনেক ভয় পাচ্ছি,,২৯ রোজার রাতে আমি কিছুক্ষণ আমল করার পর বিছানায় যাই,,, একটু রেস্ট নিয়ে পড়ে আবার নামায পড়বো।

আমি তখন একবারে সজাগ,,ঘুমাতে চাচ্ছিলাম একটু।

,আমার মনে হয়েছে আমি আজ মরে যাবো,,আজরাইল চলে আসছে।আমি অনেক ছটফট করেছি।আর আমার মুখ দিয়ে আমি শুধু একটা দোয়া পড়েছি অনবরত।

‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আননি।

 এই দোয়াই পড়ছিলাম,,আমি জানি না,, আমি অনেক দোয়া পারি মুখস্ত কিন্তু আমি শুধু এই দোয়া পড়েছি আর অন্য কোনো দোয়া মনেও আসছিলো না,মুখেও না।

আজও কালকের মত অনুভব হচ্ছে মানে ৩০ রোজার দিন ,, ঘুম আসছে না কালকের অবস্থা মনে পড়ছে,,বার বার আমি ঘুমাতে চেষ্টা করেছি কিন্তু ঘুম আসে নি।

আমার বার বার একটা কথাই  মনে হচ্ছে আজরাইল এলো বলে।

ঠিক আজকেও আমি ঘুম থেকে সজাগ হয়ে যাই।এখন ভয় পাচ্ছি।আর প্রশ্ন লিখছি।

আমি কি করবো  উস্তাদ।আমার এইরকম অনুভূতি কেন হচ্ছে?

1 Answer

0 votes
by (687,520 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রশ্নে উল্লেখিত ভয়ের সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কের দুর্বলতা, তাঁর প্রতি আনুগত্য ও তাওয়াক্কুল-ভরসা কমে যাওয়া। 

কারণ আল্লাহ বলেছেন-

أَلا إِنَّ أَوْلِيَاء اللّهِ لاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ 

‘‘মনে রেখো যারা আল্লাহর বন্ধু, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে , না তারা চিন্তান্বিত হবে।” (সূরা ইউনুস ৬২ ) 

সুতরাং আপনার প্রথম কাজ হল, আল্লাহর উপর ভরসা করা। আল্লাহ বলেছেন–

وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ

 ‘‘আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।” (সূরা তালাক ৩)

এছাড়াও আপনাকে সহজ কিছু দোয়া বলে দিচ্ছি। এগুলো বেশিহারে বিশেষ করে ভয়ের মুহূর্তে এবং যথাসময়ে পড়বেন। 

এতে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে, তাওয়াক্কুল-ভরসা বাড়বে এবং ধীরে ধীরে মনের ভয়ও দূর হবে। ইনশা-আল্লাহ।

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ

অর্থাৎ ‘‘মহান ও মহা-ধৈর্যশীল আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। মহান আরশের রব ‘আল্লাহ’ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। আসমানসূমহ ও জমিনের রব এবং মহান আরশের রব ‘আল্লাহ’ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই।”
ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিপদাপদকালে উক্ত দোয়া বলতেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৩৪৬)

بِسْمِ اللّهِ الَّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِه شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيمُ 

অর্থাৎ ‘‘আল্লাহর নামে, যার নামের বরকতে  আসমান ও জমীনের কোন কিছুই কোন ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।”

উসমান ইবনে আফ্ফান রাযি. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে কোন বান্দা প্রতিদিন সকালে ও প্রতি রাতের সন্ধ্যায় তিনবার করে এই দোয়াটি পাঠ করলে কোন কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না। (তিরমিযী,হাদীস নং ৩৩৮৮)

 لَا إِلهَ إِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ 

অর্থাৎ ‘‘আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, তিনি এক, তার কোন শরীক নাই, সার্বভৌমত্ব তারই, সব প্রশংসা তারই জন্য, তিনিই জীবন ও মৃত্যু দান করেন আর তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান ।”

আবু যার রাযি. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর দুই পা ভাঁজ অবস্থায় কারো সাথে কথা বলার পূর্বে দশ বার দোয়াটি বলে,তার আমলনামায় দশটি নেকী লেখা হয়, দশটি গুনাহ বিলুপ্ত করা হয় এবং দশগুণ মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়। সে ঐ দিন সব রকমের বিপদ থেকে মুক্ত থাকবে, শয়তানের ধোঁকা থেকে তাকে পাহারা দেয়া হবে এবং ঐ দিন শিরক ছাড়া অন্য কোন গুনাহ তাকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারবে না।(তিরমিযী,হাদীস নং  ৩৪৭৪)
(কিছু তথ্য সংগৃহীত)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...