আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
edited by
১)ধরুন আমার আব্বু চিকিৎসক।
বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি তাকে গিফট দিয়ে থাকে।যেমনঃখাতা,কলম,চকলেট, কেক,আচার,ওভেন,তেল,চাল,ইত্যাদি
এগুলা তে কোম্পানির নাম লেখা থাকে। এগুলা আসলে ওদের অ্যডভারটাইজমেন্ট।যাতে আব্বুর মাথায় ওদের কোম্পানির ওষুধের নাম থাকে।

তারা গিফট দিবে,তার বিনিময়ে আব্বু ওষুধ লিখবে,এমন টা না।

আব্বু কখনো এগুলা দ্বারা প্রভাবিত হয় না।

যে ওষুধ ভালো সেটাই লিখে, খারাপ টা লিখে না।চাই গিফট দিক বা না দিক।

এই গিফট কি হালাল?

আমি ওই গুলা খেতে পারব?

২)আমরা যেসব ফাতওয়া পাই,এগুলা কি ইসলামের বিধান।

এগুলা কে কি সম্মান করতে হবে /?

৩)

ক)যখন আমি এমন অবস্থায় পরি যে শিরক করার পর তাওবা করতে হয় এবং দুনিয়াবি কোন কাজ ছেড়ে দিতে হয়,তখন আমার মন খারাপ লাগে।

খ)আর যখন এমন অবস্থায় পরি যে,শিরকের জন্য তাওবার পাশাপাশি ওই কাজ বাদ দিলে তাওবা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

আর ওই কাজ বাদ না দিয়ে শুধু তাওবা করলেও চলবে,তবে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা কম।

এমতাবস্থায় আমি শুধু তাওবা করি আর দুনিয়ার ওই কাজ বাদ দেই না।

যখন আমি খ নাম্বার ধরনের শিরক করি তখন আমি তাওবা করি।কিন্তু দুনিয়ার ওই কাজ বাদ না দিলেও চলবে দেখে এই শিরকের পর মনে খুশি লাগে।

এটা কি শিরক??

৪)সেদিন রাস্তায় চলার সময় একটা মেয়ে কে দেখলাম।

আমার সন্দেহ হচ্ছে হয়তো আমি নিজে নিজেই বলললাম, "যদি আমি এই মেয়ে কে গালি না দেই,তবে আমি মুশরিক।"

এরপর ভাব্লাম যে গালি দিলে মেয়েটা কষ্ট পাবে হয়ত।তখন মেয়েটার পাশ দিয়ে হেটে চলে আসলাম গালি না দিয়েই।

আমি আসলে নিশ্চিত না যে আমি ওরকম কথা বলেছিলাম কি না।

ওই মেয়ে আমাদের পাশের বাসায় থাকে।আমার কাছে তার নাম্বার আছে।আমি কি তাকে গালি লিখে মেসেজ পাঠাবো??

আমি চাচ্ছি আল্লাহ আমার উপর সন্তুষ্ট থাকুন আর ওই মেয়ে কে গালি দিতে চাচ্ছি না।এতে সে রাগ করতে পারে।

এখন কি করলে শিরক ও হবে না আর গালি দিয়ে কষ্ট ও দেওয়া লাগবে না??

৫)আমি আমার বউকে খুব ভালোবাসি।

হঠাৎ আমার মনে হচ্ছে যে আমি হয়ত বউকে আল্লাহর চেয়ে বেশি ভালো বাসি।
আল্লাহ কেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে।নয়তো শিরক হবে।

এখন কি আমাকে বউকে ছেড়ে দেওয়া লাগবে??

এটা বুঝার কি কোন উপায় আছে যে আল্লাহকেই সবচেয়ে বেশি ভালো বাসি???

৬)আমি যখন নামাযে দাড়াই তখন হাত তুলার সময় আমার মনে হয়,আল্লাহ তাওফিক দিলে আমি হাত তুলতে পারব,নয়তো পারবনা।এটাই যদি হয়,তাইলে আমি চুপচাপ দারায় থাকি।আল্লাহ তাওফিক দিলেই হাত উঠে যাবে।


কি করা উচিত?
-

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ
*দামি উপহারের ক্ষেত্রে-- যদি গ্রহিতা এ বলে বা এ নিয়তে নেয় যে, শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই ঔষধ টা লিখবে।তাহলে তখন রুখসত থাকবে।
*প্রয়োজনে কোন এক কোম্পানির ঔষধ লিখতেই হবে। এক্ষেত্রে উপহার নেওয়া কোম্পানির ঔষধ লিখলে রোগীর প্রতি জুলুম হবে না বা ক্ষতি হবে না। যদি ঐ কম্পানির ঔষধ ভালো মানের হওয়ার কারণেই লিখা হয়ে থাকে,তাহলে উপহার গ্রহণ করা যাবে।কেননা এখানে রোগীর প্রতি কোনো জুলুম হচ্ছে না।তবে অন্যান্য ঔষধ কম্পানির সমান মানের ঔষধ বাজারে থাকাবস্থায় শুধুমাত্র কোনো এক কম্পানির ঔষধ লিখাকে কেউ কেউ অনুত্তম বলে থাকেন।
সর্বোপরি জায়েয হবে।
*কোম্পানি যা দেয় তাই নেয় এবং শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই ঔষধ গুলো লিখবে, বাস্তবে এমনটা হলে তো কোনো অসুবিধে ছিল না।তবে হাদিয়া গ্রহণের পর হাদিয়া দাতার প্রতি অন্তর কিছুটা নরম হয়ে যায়,সে জন্য এমন হাদিয়া গ্রহণ অনুচিত।তবে জায়েয হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/594 (শেষ)

(২)
জ্বী, ফাতাওয়া আল্লাহর বিধান।

(৩)
(ক)
প্রশ্নটি বুঝিনি।

(খ)
প্রশ্নটি অস্পষ্ট।কমেন্টে স্পষ্ট করে উল্লেখ করবেন।নতুন করে প্রশ্ন করবেন না।

(৪)
আজব প্রশ্ন।এমনটা মনে কেন আসবে। আপনি ডাক্তারকে দেখান। মনে মনে কিছু আসবে কোনো সমস্যা নাই। উক্ত কাজ করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।

(৫)
জ্বী, আল্লাহকেই সবচেয়ে বেশী ভালবাসবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...