১)ধরুন আমার আব্বু চিকিৎসক।
বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি তাকে গিফট দিয়ে থাকে।যেমনঃখাতা,কলম,চকলেট, কেক,আচার,ওভেন,তেল,চাল,ইত্যাদি
এগুলা তে কোম্পানির নাম লেখা থাকে। এগুলা আসলে ওদের অ্যডভারটাইজমেন্ট।যাতে আব্বুর মাথায় ওদের কোম্পানির ওষুধের নাম থাকে।
তারা গিফট দিবে,তার বিনিময়ে আব্বু ওষুধ লিখবে,এমন টা না।
আব্বু কখনো এগুলা দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
যে ওষুধ ভালো সেটাই লিখে, খারাপ টা লিখে না।চাই গিফট দিক বা না দিক।
এই গিফট কি হালাল?
আমি ওই গুলা খেতে পারব?
২)আমরা যেসব ফাতওয়া পাই,এগুলা কি ইসলামের বিধান।
এগুলা কে কি সম্মান করতে হবে /?
৩)
ক)যখন আমি এমন অবস্থায় পরি যে শিরক করার পর তাওবা করতে হয় এবং দুনিয়াবি কোন কাজ ছেড়ে দিতে হয়,তখন আমার মন খারাপ লাগে।
খ)আর যখন এমন অবস্থায় পরি যে,শিরকের জন্য তাওবার পাশাপাশি ওই কাজ বাদ দিলে তাওবা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আর ওই কাজ বাদ না দিয়ে শুধু তাওবা করলেও চলবে,তবে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা কম।
এমতাবস্থায় আমি শুধু তাওবা করি আর দুনিয়ার ওই কাজ বাদ দেই না।
যখন আমি খ নাম্বার ধরনের শিরক করি তখন আমি তাওবা করি।কিন্তু দুনিয়ার ওই কাজ বাদ না দিলেও চলবে দেখে এই শিরকের পর মনে খুশি লাগে।
এটা কি শিরক??
৪)সেদিন রাস্তায় চলার সময় একটা মেয়ে কে দেখলাম।
আমার সন্দেহ হচ্ছে হয়তো আমি নিজে নিজেই বলললাম, "যদি আমি এই মেয়ে কে গালি না দেই,তবে আমি মুশরিক।"
এরপর ভাব্লাম যে গালি দিলে মেয়েটা কষ্ট পাবে হয়ত।তখন মেয়েটার পাশ দিয়ে হেটে চলে আসলাম গালি না দিয়েই।
আমি আসলে নিশ্চিত না যে আমি ওরকম কথা বলেছিলাম কি না।
ওই মেয়ে আমাদের পাশের বাসায় থাকে।আমার কাছে তার নাম্বার আছে।আমি কি তাকে গালি লিখে মেসেজ পাঠাবো??
আমি চাচ্ছি আল্লাহ আমার উপর সন্তুষ্ট থাকুন আর ওই মেয়ে কে গালি দিতে চাচ্ছি না।এতে সে রাগ করতে পারে।
এখন কি করলে শিরক ও হবে না আর গালি দিয়ে কষ্ট ও দেওয়া লাগবে না??
৫)আমি আমার বউকে খুব ভালোবাসি।
হঠাৎ আমার মনে হচ্ছে যে আমি হয়ত বউকে আল্লাহর চেয়ে বেশি ভালো বাসি।
আল্লাহ কেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে।নয়তো শিরক হবে।
এখন কি আমাকে বউকে ছেড়ে দেওয়া লাগবে??
এটা বুঝার কি কোন উপায় আছে যে আল্লাহকেই সবচেয়ে বেশি ভালো বাসি???
৬)আমি যখন নামাযে দাড়াই তখন হাত তুলার সময় আমার মনে হয়,আল্লাহ তাওফিক দিলে আমি হাত তুলতে পারব,নয়তো পারবনা।এটাই যদি হয়,তাইলে আমি চুপচাপ দারায় থাকি।আল্লাহ তাওফিক দিলেই হাত উঠে যাবে।
কি করা উচিত?
-