ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4711 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
বনি ইসরাঈলের মধ্যে শনিবারের মাছ শিকার নিয়ে কয়েকটা গ্রুপ ছিল,একটা গ্রুপ ছিল,যারা মাছ শিকার করেছে,একটা গ্রুপ ছিল,মাছ শিকার করেনি তবে তারা বাধা দানও করেনি।আরেকটা গ্রুপ ছিল,যারা দুয়েকবার বাধা দান করে শেষ পর্যন্ত আর বাধা দান করেনি।আরেকটা গ্রুপ ছিল,যারা শেষ পর্যন্ত বাধা দান করেছে।প্রথমোক্ত তিন গ্রুপকেই আল্লাহ বানর এবং শুকুর বানিয়েছিলেন।আর চতুর্থ গ্রুপকে অাল্লাহ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।যেহেতু তারা সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ প্রদানের উপর অটল ছিলো।
উক্ত ঘটনা থেকে বুঝা যায় যে,পূর্ববর্তী যুগেও সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ প্রদান ফরয ছিলো। তবে পূর্ববর্তী যুগে যেহেতু ধারাবাহিক নবী আসতেন,তাই সেই ফরয স্থায়ী ছিল না।বরং নবী আগমনের পূর্বে অস্থায়ী ছিল।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
قال رسولُ الله – صلى الله عليه وسلم -: «كانت بنُو إسرائيل تسُوسُهم الأنبياء، كلما هلَكَ نبيٌّ خلَفَه نبيٌّ، وإنه لا نبيَّ بعدِي» (متفق عليه)
পূর্বযুগে বনি ইসরাঈলে নবীগণ জাতীর নেতৃত্ব প্রদান করতেন।যখনই কোনো নবীর মৃত্যু হত,তখনই আরেক নবী চলে আসতেন।কিন্তু আমার পর কোনো নবী নাই।সুতরাং মুসলিম জাতীর নেতৃত্ব আমার উম্মতরাই দেবে।(সহীহ বুখারী,সহীহ মুসলিম)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই বোন!
উম্মতে মুহাম্মাদির ন্যায় পূর্ববর্তী যুগেও সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ ফরযে কেফায়া ছিলো।এমনকি পূর্ববর্তী যুগে কোনো কোনো সময় ফরযে আইনও ছিলো।তবে পার্থক্য হল,পূর্ববর্তী যুগে ফরয বিধানটা সাময়িক ছিলো।আর উম্মতে মুহাম্মাদির ফরয বিধানটা চিরস্থায়ী।