আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
268 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (81 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।শায়েখ জানার জন্য প্রশ্নটা করলাম।কোন স্বামী যদি বলে "তোর সাথে সংসার করব না"।কয়েকজন মুফতি সাহেব এটার ফতোয়া দিয়েছিল যে এটা  দ্বারা তালাক হয় না,তালাকের ওয়াদা বুঝায়।এমনকি তালাকের নিয়তে বললেও হয় না বলেছে।এটা কি সত্য? আসলে আমার বিষয় নয়।আমি জানার জন্য জিগ্যেস করলাম।

২।আমি একজন মহিলা।আমাকেও স্বামী তালাকের পাওয়ার দিছে কিন্তুু আমি চায় না তালাক দিতে।ওপরের স্বামীর কথাটা লিখে আমি গুগলে সার্চ দিয়েছি জানার জন্য।উক্ত কথাটা লিখে সার্চ দেওয়ার কারনে কি আমার আর আমার স্বামির সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?

৩।কোন স্বামী যদি বলে স্ত্রীকে আমাকে ছাড়া থাকতে পারবা? স্ত্রী যদি বলে পারব।স্বামী যদি ক্স্ট পেয়ে বলে তুই দুইবার আমাকে ছেড়ে চলে যাইতে চাইচস।মানে ক্স্ট পেয়ে বলতেছে ধরেন।এরপর কেনায়া শব্দ বলেছে ধরেন।এরপর আবার ধরেন বলতেছে আমাকে ছেড়ে যাইস না।স্বামী যদি কেনায়া শব্দটা তালাকের নিয়ত ছাড়া এমনিতে ক্স্ট পেয়ে বলে তাহলে কি তালাক হবে? আসলে আমি জানার জন্য প্রশ্ন করলাম।

৪।ধরেন কোন স্ত্রী স্বামীর পরাকীয়র কথা জানতে পারছে মানে স্বামী নিজে বলেছে আর ক্ষমা চেয়েছে।স্ত্রী যদি বলে আমি মা বাবার সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিব কি করব না করব।ধরেন স্ত্রীর মনে তালাকের চিন্তা আসলেও সে চায় নি স্বামীর কাছে।স্বামীও চায় না তার স্ত্রীকে হারাতে।স্বামীও ধরেন বলেছে যা সিদ্ধান্ত নিবা ভেবে চিন্তে নিবা।এরপর যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বলে তাহলে কি তালাক হবে? আর উক্ত কথা গুলো বলার পর  স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে আমাকে ছাড়া থাকতে পারবা? স্ত্রী যদি বলে হ্যা,মরে যাব না।স্বামী ক্স্ট পেয়ে যদি বলে তুই আমাকে ২ বার ছেড়ে চলে যাইতে চাইচছ বা ছেড়ে দিতে চাইচস।২ বার ওই আমি পাগলের  মত হয়ে গেছি।এরপর ধরেন তালাকের নিয়ত ছাড়া আবার কেনায়া শব্দ বলল।পরে আবার বলল আমাকে ছেড়ে যাইস না। উক্ত কেনায়া শব্দ গুলো দ্বারা কি তালাক হবে? স্বামি নিয়ত ছাড়া বললে বা  নিয়তকে অস্বীকার করলে?

 ৫।ধরেন কোন স্ত্রী তালাক চাইল আর বলল আমি চলে যাব তুমার জীবন থেকে।স্বামী বলল তালাক দিতে হবে না তুমার থাকতে ইচ্ছে না হলে চলে যেতে পার বা/ তালাক দিতে হবে না এমনিতে চলে যাও।এই কথাগুলো স্বামী তালাকের নিয়ত ছাড়া বললে বা স্বামী নিয়তকে অস্বীকার করলে কি তালাক হবে? আসলে আমি জানার জন্য প্রশ্নটা করেছি।আমার বিষয় নই।

৬।ধরেন স্বামী ও স্ত্রী কেনায়া তালাক সম্পর্কে কিছুই জানে না।কোনদিন শুনেও নাই।সরাসরি তালাক সম্পর্কে জানত।নতুন বিবাহিত।স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর কেনায়া শব্দ বলল।পরে কেনায়া তালাক সম্পর্কে জানার পর স্বামি তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে বা তালাকের নিয়তে না বললে কি তালাক হবে?কেনায়া শব্দ  না জেনে না বুঝে বললেও কি তালাক হয়ে যায়?আসলে আমি জানার জন্য প্রশ্ন করলাম।বিষয়টা আমার ও নই।একজন শায়েখের কাছে প্রশ্ন করেছিলাম ওনি বলেছেন না জেনে না বুঝে বললে কেনায়া শব্দ তাহলে সমস্যা হবে না।কোন আলেমের কাছে জেনে নিবেন এরকম বলেছে।

৭।কোন স্ত্রী যদি বলে চলে যাব আর থাকতে পারব না তুমার সাথে সারাজীবন।স্বামী যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে যাইলে যা গা বা/ যা গা।একটা গেলে আরেকটা আসবে। স্বামী তালাকের নিয়ত ছাড়া বললে কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। (সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
মুফতি সাহেবরা বলার পরও কেন আপনার বিশ্বাস হয় না। শয়তান আপনাকে প্ররোচনা দিচ্ছে। মুফতি বলতে কি তা কি আপনি জানেন? মুফতি হচ্ছেন, আল্লাহর হুকুম বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ সাঃ এর স্থলাভিষিক্ত।

জ্বী, উক্ত কথা দ্বারা তালাক হবে না।

(২)
সার্চ দেয়ার কারণে আপনার কোনো সমস্যা হবে না।

(৩)
কাল্পনিক প্রশ্নের উত্তর দেয়ার দায়িত্ব কোনো মুফতি সাহেবের নয়।দয়াকরে কাল্পনিক প্রশ্নকে পরিহার করুন।
প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক হবে না।

(৪)
তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...