আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
314 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্,

আমার বিয়ের জন্য পাত্রের মা,বোন দেখে গেছে কিন্তু এখন পাত্র  পক্ষের কথা পাত্রের বাবা মেয়েকে দেখবে নাহলে তারা বিয়ের জন্য কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।আর ছেলের মেয়েকে দেখার বা জানার আগ্রহ দেখসি না,ছেলে জানিয়েছে মা-বাবা যেই মেয়ে কে পছন্দ করবে সে তাকেই বিয়ে করবে

আমার বাবা-মার ছেলেকে এবং ছেলের ফ্যমিলিকে অনেক পছন্দ হইছে এখন আমার বাবা মা আমাকে জোর করছে যাতে আমি ছেলের বাবার সামনে যাই নিজের মুখ দেখাই।আমার মা আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও বলে ফেলছে যদি এটা না করি।

এটো কিছু হয়ে যাচ্ছে এতে ছেলের কোনো রকম কোনো ভূমিকাই নাই

আমার প্রশ্ন হলোঃ

১)আমার কি বিয়ের আগে পাত্রের বাবার সামনে যাওয়া জায়েজ হবে(মুখ দেখানো) একবারের জন্য হলেও? যদি জায়েজ না হয় তবে এর রেফারেন্স টা জানতে চাচ্ছি
২)আমার বাবা-মা আমাকে জোর করছে যদি তাদের কথা না শুনি আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার হমকি দিচ্ছে ,তাদের বুঝাচ্ছি কিন্তু বুঝতেছে না, এখন আমার কি করণীয়?

জাজাকিল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিযের পূর্বে পাত্রর বাবা আপনার জন্য গায়রে মাহরাম। হ্যা বিয়ের পর পাত্রর বাবা আপনার মাহরাম হবে। ফিতনার আশংকা না থাকলে, মাহরামের সামনে যাওয়া জায়েয। সুতরাং ফিতনার সমূহ সম্ভাবনাকে এড়িয়ে পর্দার সাথে পাত্রর বাবার সামনে যেতে পারবেন।  

https://www.ifatwa.info/2898 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
পাত্র-পাত্রীর পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ ও অালাপ চারিতার কয়েকটি মূলনীতি-
(১)খালওয়াত হতে পারবে না।
(২)মুবাহ বিষয় ব্যতীত অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে না।
(৩)ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকতে হবে।যদি কামভাব জাগ্রত হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে যায়,অথবা কোনো একজন উপভোগ করতে শুরু করে নেয়,তাহলে তখন সেটা হারাম হয়ে যাবে।
(৪)মহিলা নরম ভাষায় কথা বলতে পারবে না।
(৫)মহিলা পূর্ণ হেজাব তথা কবজা পর্যন্ত হাত,টাখনু পর্যন্ত পা,এবং মুখ ব্যতীত সমস্ত শরীর ঢেকে রাখবে।
(৬)প্রয়োজন অতিরিক্ত কথাবর্থা বলা যাবে না।
যখন এই সব শর্ত পাওয়া যাবে, তখনই মূলত পাত্র-পাত্রী পরস্পর আলোচনা ও দেখা সাক্ষাৎ করতে পারবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার প্রতি পরামর্শ হল,
আপনি পাত্রর সাথে যোগাযোগ বা আলাপ আলোচনা করতে পারেন বা লোক মারফত আলোচনা করতে পারেন, সে যদি আপনাকে হালাল ভক্ষণ করাতে ওয়াদাবদ্ধ হয়, এবং ভবিষ্যতে পর্দার বিষয়ে আপনাকে সমর্থন দিবে বলে ওয়াদাবদ্ধ হয়, তাহলে আপনি সাময়িকভাবে পাত্রর বাবার সামনে বের হতে পারবেন,যেহেতু আপনারা উভয় পরিবারের সম্মতি হয়ে গেছে।তাই শুধুমাত্র এ কারণে সম্বন্ধ কে বাদ দেয়া উচিৎ হবে না।তবে ভবিষ্যতে আপনি কখনো বের হবেন না, সেই বিষয়টা সবাইকে জানিয়ে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...