আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
209 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (30 points)
আস সালামু আলাইকুম উস্তাদ
এক মহিলা পরিপূর্ণ পর্দা মেনে চলার চেষ্টা করে। তার বাচ্চাদের অসুখ হলে একজন পুরুষ বিধর্মী ডাক্তারের কাছে যায় কিন্তু নিজের জন্য নয়। দীর্ঘদিন ধরে একই ডাক্তারের কাছে দেখিয়ে আসছে। ডাক্তারের সাথে তাকে সমস্ত কথা বলতে হয়, অনেকসময় ডাক্তার রসিকতা করে কোনো কোনো সময় হাসি বেরিয়ে যায়। তবে স্বামী উপস্থিতিতে। স্বামী তেমন দ্বীনের বুঝ নেই।
এখন প্রশ্ন হলো বিকল্প কোনো ব্যবস্থা অর্থাৎ মহিলা ডাক্তার থাকা সত্ত্বেও যদি তার কাছে যাওয়া হয় তবে কী তার পর্দা লঙ্ঘন হবে?
বিকল্প কষ্টকর পন্থা পাওয়া গেলে সেটা না করার অজুহাত দেখিয়ে পুরাতন পন্থা গ্ৰহন করা ঠিক হবে?
উস্তাদ পুরুষ ডাক্তারের সাথে মহিলাদের কথা বলা শরিয়ী বিধানটা জানালে ভালো হতো। অনেক সময় দেখা যায় বেদ্বীন পরিবেশে বা পরিবারে দ্বীন মানা নারী স্বামীর গায়ের মাহরাম আত্মীয় বা বন্ধু যখন তার সাথে কোনো রসিকতা বা হাসি-ঠাট্টা, গল্প গুজব করতে চায় তখন তার করণীয় কী?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/3716 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ, এর নিম্নোক্ত আলোচনা অতিলক্ষণীয়.................
إذا كان المرض في سائر بدنها غير الفرج يجوز النظر إليه عند الدواء، لأنه موضع ضرورة، وإن كان في موضع الفرج، فينبغي أن يعلم امرأة تداويها فإن لم توجد وخافوا عليها أن تهلك أو يصيبها وجع لا تحتمله يستروا منها كل شيء إلا موضع العلة ثم يداويها الرجل ويغض بصره ما استطاع إلا عن موضع الجرح اهـ فتأمل والظاهر أن " ينبغي " هنا للوجوب
যদি কোনো মহিলার স্ত্রী লিঙ্গ ব্যতীত সমস্ত শরীরে রোগ হয়ে যায়, তাহলে পুরুষ ডাক্তারের জন্য উক্ত মহিলার সমস্ত শরীরে দৃষ্টি দেয়া জায়েয আছে।কেননা তখন চিকিৎসার স্বার্থে দেখাটা অতি প্রয়োজনীয় হয়ে যায়।আর যদি রোগ স্ত্রী লিঙ্গে(লজ্জাস্থানে) থাকে,তখন ওয়াজিব হয়ে যায়, কোনো মহিলাকে ডাক্তারি শিক্ষা দেওয়া, যে মহিলা পরবর্তিতে উক্ত মহিলার চিকিৎসা করবে।কিন্তু যদি কোনো মহিলা না পাওয়া যায় বা দেরী হলে উক্ত মহিলার রোগ বেড়ে যাবে বা মহিলা মারা যাবে,তখন রোগাক্রান্ত লজ্জাস্থান ব্যতীত উক্ত মহিলার সমস্ত শরীর ঢেকে দেওয়া হবে,অতঃপর  পুরুষ ডাক্তার উক্ত মহিলার রোগাক্রান্ত লজ্জাস্থানের চিকিৎসা করবে।তবে চিকিৎসা করার সময় রোগাক্রান্ত স্থান ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত অঙ্গ থেকে নিজ চক্ষুকে হেফাজত করবে।(রদ্দুল মুহতার;৬/৩৭০--৩৭১)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সমলিঙ্গের বিজ্ঞ অভিজ্ঞ ডাক্তার থাকাবস্থায় বিপরীত লিঙ্গের ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ কখনো জায়েয হবে না। এমনকি নারীদের জন্য নিজ সন্তানাদিকে নিয়ে সমলিঙ্গের ডাক্তারের কাছে যাওয়া জরুরী। এতে কষ্ট হলেও সমলিঙ্গের ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। বিনা প্রয়োজনে বিপরীত লিঙ্গের ডাক্তারের কাছে যাওয়া কখনো জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...