আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
265 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (14 points)
আমি বিয়ে করেছি গত বছরের নভেম্বর ২৪ তারিখে, আমার বাবা মায়ের অনুপস্থিতিতে। আমার স্বামীর পরিবার জানে বিষয় টা।  মেনে নিয়েছে তারা। কিন্তু অনেক দুঃখের বিষয় হোলো আমার স্বামীর বিয়ের ৬ মাস আগে থেকে অন্য নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিলো এমনকি আমার তার সাথে বিয়ের পরেও সে ঐ নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে গেছে,  এবং৷ ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখে আমাকে না জানিয়ে সে দ্বিতীয় বিয়েও করেছে ঐ নারীকে। তাদের বিয়ের পরেও তারা একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছে।  গত এপ্রিল ৩০ তারিখে সে ঐ নারীকে মৌখিক ভাবে তালাক দেয় এবং গত দুদিন আগে দ্বিতীয় তালাক দেয়।  অল্প কিছুদিনের মধ্যে তাকে তৃতীয় তালাক দিবে বলেছে। আমি এইসব ঘটনা জানত পারি ৩-৪ দিন আগে। হুজুর আমি মানসিক ভাবে প্রায় পাগলের মতো হয়ে গেছি।  অনেক ভেঙে পড়েছি।  তাকে সবাই ছেড়ে দিতে বলছে। আমি তাকে প্রচন্ড ভালবাসি। তাকে ছাড়া আমার স্বাভাবিক ভাবে জীবনযাপন করা সম্ভব হয়ে উঠছেনা।  এমতাবস্থায় আমি  কি তাকে তালাক দিয়ে দিবো নাকি মাফ করে দিয়ে শেষ সুযোগ দিবো।   আমি তাকে ভুলতে পারছিনা,  আবার এদিকে তার এই কাজের জন্য তার প্রতি সম্মান বিশ্বাস রাখতে পারছিনা। আমার এখন করনীয় কি হুজুর।  একটু বিস্তারিত ভাবে উত্তম পরামর্শ  বুঝিয়ে বললে উপকৃত হবো।  জাযাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (598,650 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1205 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
যেহেতু আপনার স্বামী এখনো আপনার সাথে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন। বিচ্ছেদের আলোচনা করছেন না বা সেদিকে অগ্রসর হচ্ছেন না।এটা প্রমাণ করে সে আপনাকে ভালবাসে।হয়তো কোনো কারণে সে পরকিয়ায় লিপ্ত রয়েছে।তাই আমি মনে করি যে, আপনি তাকে পূর্ণ ভালবাসা প্রদাণ করুন।তার সাথে যথেষ্ট মায়াবী আচরন করুন।তার সামনে সু-সজ্জিত হয়ে আসুন।এবং প্রথম দিনের মত তাকে আগ্রহ ভরে দেখুন।এবং সাথে সাথে তাকে আখেরাতের ভয় প্রদর্শন করুন।বা ইসলামী বিধি-বিধান সম্পর্কে সম্মক অবগত করানোর চেষ্টা করুন।

আমি আপনাকে বিশেষ কয়েকটি নসিহত করবো-
(ক)
আপনার স্বামীর পরকিয়া সম্পর্কে অন্য কাউকে জানাবেন না।কেননা গোনাহে গোপন রাখা ওয়াজিব।তাই গোপন রাখার চেষ্টা করুন।

(খ)
পূর্ণ আগ্রহের সাথে তাকে সময় দিন।তাকে কখনো একা ছেড়ে দিবেন না।বরং সর্বদা তার সাথে লেগে থাকুন।তার সকল প্রকার পছন্দের জিনিষকে নিজের পছন্দ বানিয়ে তার সাথে সর্বদা থাকার চেষ্টা করুন।

(গ)
তার হেদায়তের জন্য দু'আ করতে থাকুন।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
আমাদের মনে রাখতে হবে,
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়।
(সূরা ফাতির-১৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার স্বামীর অতীতের পরক্রিয়ার গোনাহকে লুকিয়ে রাখবেন। যেহেতু সে পরক্রিয়া লিপ্ত ছিল, তাই তার হেদায়তের জন্য দু'আ করবেন।সে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন, এখানে সে শরীয়ত বিরোধী কিছু করে নাই। সুতরাং আপনাকে নারাজ হওয়ার এখানে কিছু নাই।
আপনি তার সাথে ঘর সংসার করবেন, এটাই আমাদের পরামর্শ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...