উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের যে দশটি উল্লেখযোগ্য আকিদার কথা পাওয়া যায়,সেই দশটি আকিদাকে আহলে হাদীস সম্প্রদায় মেনে থাকেন।সেজন্য তাদেরকে আহলে সুন্নাত থেকে খারিজ বলা যাবে না।তবে যেহেতু তারা তাকলীদ সম্পর্কে ইজমায়ে উম্মতের খেলাফ অবস্থান করেন,এবং মুকাল্লিদ উলামায়ে কেরামদেরকে ভালমন্দ বলে থাকেন,তাই তাদের দিকে উলামায়ে করাম নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি লালন করে থাকেন।
.
তবে এই কারনে তাদেরকে এড়িয়ে চলা,সম্পর্কচ্ছেদ করা,কথা বার্তা বলা বন্ধ করা জায়েজ হবেনা।
অনেকে তাদের মধ্যে আত্মীয়ও আছে,সুতরাং এটার দ্বারা (এড়িয়ে যাওয়া) আত্মীয় সম্পর্কছিন্ন হতেও পারে,যাহা কোনো ভাবেই জায়েজ নয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لَا تَبَاغَضُوا، وَلَا تَحَاسَدُوا، وَلَا تَدَابَرُوا، وَكُونُوا عِبَادَ اللَّهِ إِخْوَانًا، وَلَا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা পরস্পরকে ঘৃণা করো না, পরস্পর হিংসা করো না, একে অপরের গোয়েন্দাগিরী করো নাম বরং আল্লাহর বান্দারা পরস্পর ভাই ভাই হয়ে যাও। যে কোনো মুসলিমের জন্য তার কোনো ভাইয়ের সঙ্গে তিন দিনের বেশী সম্পর্ক বিচ্ছেদ করা জায়িয নয়
(আবু দাউদ ৪৯১০)
,
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، يَلْتَقِيَانِ فَيُعْرِضُ هَذَا، وَيُعْرِضُ هَذَا، وَخَيْرُهُمَا الَّذِي يَبْدَأُ بِالسَّلَامِ
আবূ আইয়ূব আল-আনসারী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মুসলিমের জন্য তার কোনো ভাইয়ের সঙ্গে (ঝগড়া করে) তিন দিনের বেশী সম্পর্ক ছিন্ন করে থাকা বৈধ নয়। দু’ জন পথিমধ্যে মুখোমুখি হলে একজন এদিকে এবং অপরজন অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এ দু’ জনের মধ্যে যে প্রথমে সালাম দেয় সে-ই উত্তম।
(আবু দাউদ ৪৯১১)
.
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ "
জুবাইর ইবনু মুত্বঈম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
বুখারী (অধ্যায় : আদব, হাঃ ৫৯৮৪), মুসলিম (অধ্যায় : সদ্ব্যবহার)।
.
حدِيثُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِم، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: لاَ يَدْخُلُ الجَنَةَ قَاطِعٌ
যুবায়র ইবনু মুত‘ইম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
(সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৭৮ ; আদব-আচার, অধ্যায় ১১, হাঃ ৫৯৮৪; মুসলিম, পর্ব ৪৫; সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্টাচার, অধ্যায় ৬, হাঃ ২৫৫৬)
,
তারা যদি সাধারণ মুসলমানদের কাছে এসে বিভ্রান্ত্রি মূলক কথা বলে,ফেতনা ছড়ায়তে চায়,তাহলে তাদেরকে স্পষ্ট আকারে বলে দিতে হবে যে এই বিষয়ে আপনারা উলামায়ে কেরামদের সাথে আলোচনা করুন।
আমাদের সাথে এই বিষয় নিয়ে আর আলোচনা না করলেও ভালো হয়।
,
এরপরেও কেহ ফেতনা ছড়াইতে চাইলে তাদের থেকে দূরে থাকা যাবে,তবে তাদের সাথে কথা বন্ধ করা ইত্যাদি জায়েজ হবেনা।
আপাতত সালাম এবং জরুরি কথা চালিয়ে যেতে হবে।