আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
প্রথমে বলি,আমি একটা সময় অনেক তালাকের ওয়াসোয়াসায় ভুগতাম।এখনো হাল্কা পাতলা চিন্তা আসে।
বেশ কিছুদিন পূর্বে আমি আর আমার স্ত্রী সফর করছিলাম।বাস যাত্রাবিরতি এমন এক জায়গায় দেয় যেখানে নারীদের নামাজ ও অযুর জায়গা নাই।এরপরেও অনেক যুদ্ধ করে আমার স্ত্রীকে এক সাইডে অযু করাচ্ছিলাম।এত সংকীর্নতায় অযু করতে গিয়ে স্ত্রী অনেক জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছিল,সে আমাকে বলে বসে তুমি অনেক কষ্ট দিচ্ছ আমাকে, আমার তখন অনেক রাগ লাগে।আমি তখন বলি, তোমার কি মনে হয় তোমাকে জোর করছি আমার জন্য? না তোমার জন্য? ঠিক আছে, এরপর থেকে নিজের টা নিজেই খুজে নিবা/নিজের কাজ নিজে করবা/নিজেরটা নিজে করবা/নিজের রাস্তা নিজে দেখবা
সাধারণত এসব কথা বলার সময় হুট করে তালাকের চিন্তা মাথায় আসে আমার আমি তখন কথা বলা থামায়া দিয়ে একমুহুর্ত ভাবি যে আমি তালাকের নিয়তে এটা বলছিনা এরপর কথা বলি।কিন্তু তখন আমার এত রাগ লাগছিল যে আমি দম নেবার পরেও আমার বলাটা থামাতে পারিনি,রাগের বশে উক্ত কথা বলি এবং তালাকের কথা বা চিন্তা মাথায় এসে।বাহ্যিক ভাবে উক্ত কথার মিনিং এটা হতে পারে যে নিজের অযুর কাজ বা নিজের ইবাদাতের ব্যাপারস্যাপাএ নিজে বুঝবা।কিন্তু এখানে তালাকের চিন্তা কতটুক বা সম্পূর্ণ চিন্তা ছিল কিনা মনে করতে পারছিনা,সন্দেহ লাগছে।তবে তালাকেএ চিন্তা এসেছিল এটা নিশ্চিত,যদিও আমি কখনো চাইনা তালাক হোক।কিন্তু রাগ এসে গেলে মাথায় ওমন চিন্তা আসে।বেশ কয়েকদিন আগের ঘটনা,যখন ঘটে তখন একটু ভয় ভয় লাগ্লেও সাথে সাথে জিজ্ঞ্বস করার কথা মনে হয়নি,কিন্তু এখন মনে হচ্ছে বলা দরকার তাই আপনাদের জিজ্ঞেস করা।
আরেকটি প্রশ্ন,এক ভাই সে লুকিয়ে বিয়ে করেছে,নিজের মাকে জানাইনি,ত মাকে যখন বলছে যে এমন একটা মেয়ে আছে তাকে বিয়ে করব(মায়ের জানা হিসেবেত ছেলে এখনো অবিবাহিত,তাই মাকে নিজের বিয়ের কথা না জানিয়ে,এভাবে বলছে যে ওই মেয়েকে বিয়ে করব)।তখন মা বলছে এমন মেয়ের এসব এসব্বগুন থাকলে কখনৈ বিয়ে দেবনা তখন ছেলে নিজেও মাথা নেড়ে সম্মতি দিয়েছে। পরে মা কে রাগ করে বলে না আমি ওই মেয়েকেই বিয়ে করব।
মা এতে এরাগ করে,পরে ছেল্ব তাকে বুঝানর জন্য খুশি করার জন্য বলে আচ্ছা ঠিকাছে তোমার কথা,তালাকের কথা মাথায় রেখে বলে উক্ত মেয়েকেআমি বিয়ে করবনা।
উক্ত ঘটনায় কোনো তালাক পতিত হবেকি