আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (62 points)
আমাদের জয়েন্ট ফ্যামিলি। ভাসুর দেবর শাশুড়ী সহ সংসার। আমার হাজব্যান্ড মানুষ ভাল হলেও জানিনা ঠিক কি কারনে আমার উপর তার সেরকম ভালবাসা গড়ে ওঠেনি।বিয়ে হয়েছে প্রায় চার বছর। একটা মেয়েও আছে আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু আমার হাজব্যান্ড আমার ও সন্তানের প্রতি প্রথম থেকেই উদাসীন ছিল।রিসেন্টলি লজ্জার মাথা খেয়ে অনেক বিষয় বলেছি তাতে একটু আমাদের দিকে যত্ন বেড়েছে তার পক্ষ হতে। কিন্তু তারপরেও আমার অসুস্থতা বা আমাদের মানসিক প্রয়োজন এর ব্যাপারে হাজব্যান্ডের উদাসীনতা আমাকে খুব কষ্ট দেয়।এসব নিয়ে কথা বলেও কোন লাভ হয়না।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, সে হয়ত দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছে না বা কোন বিষয়ে আমাকে বিশ্বাস করছে না বা আমার উপর সাধ্যাতীত কোন কাজ চাপিয়ে ফেলছে,  আমি তখন সবর করতে পারিনা। রাগারাগি করে ফেলি।আমিও তখন মেজাজ হারাই। অনেক চেষ্টা করি তার এইসব অন্যায্য আচরনের প্রতিউত্তরে রাগ না করার কিন্তু তারপরেও হয়ে যায়। কিন্তু স্ত্রী হিসেবে আমার এসব রাগ আল্লাহ তো পছন্দ করবেন না। আমার সেখানেই ভয়। আমার স্বামীও অন্যায্য আচরণ ছাড়তে পারেন না,  প্রতিউত্তরে আমিও রাগ দেখিয়ে ফেলি।আমার ভয় হচ্ছে আমার এই রাগ দেখানোতে আল্লাহ নারাজ হচ্ছেন। কিন্তু আমি কি করব যদি স্বামী উল্টাপাল্টা আচরন করে?  মানুষ হিসেবে রাগ ওঠাটা তো কন্ট্রোল করতে পারিনা সবসময়, তবে চেষ্টা করি। ব্যাপারটা এমন হয়ে দাড়িয়েছে যে শিক্ষক পড়াল কি পড়াল না তাতে দোষ নাই ছাত্র ফেল করলেই সব দোষ ছাত্রের৷
আমার স্বামী এমন অন্যায্য আচরন না করলে আমি কখনই ছোট খাট বিষয় নিয়ে রাগ করিনা, কমপ্লেইন করিনা। কিন্তু স্বামী অন্যরকম আচরন করলেই আমি মেজাজ হারাই। আমি কি করব আসলে?  তার অন্যায্য আচরন তো আমি থামাতে পারছিনা।পারবোওনা।

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «الْمَرْأَةُ إِذَا صَلَّتْ خَمْسَهَا وَصَامَتْ شَهْرَهَا وَأَحْصَنَتْ فَرْجَهَا وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا فَلْتَدْخُلْ مِنْ أَىِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ»

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মহিলা যদি পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করে, রমাযানের সিয়াম পালন করে, গুপ্তাঙ্গের হিফাযাত করে, স্বামীর একান্ত অনুগত হয়। তার জন্য জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশের সুযোগ থাকবে।
(মিশকাতুল মাসাবিহ ৩২৫৪)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য করনীয় হবে মুরব্বিদের সাথে বসে তাদের মাধ্যমে তাকে বুঝানো।
যাতে সংসার জীবনে সে আপনাদের গুরুত্ব দেন,পূর্ণ ভাবে স্ত্রী ও সন্তানের হক আদায় করেন।

সমাধানের পথে না গিয়ে এভাবে তাকে রাগ দেখানো কোনোভাবেই বৈধ হবেনা।
একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে ও উপরের হাদীস মোতাবকে জান্নাত লাভের আশায় স্বামীর সাথে রাগারাগি বন্ধ করে দিন।
দুনিয়ার এই সাময়ীক সময়ের কষ্টের কারনে মহান আল্লাহ তায়ালা আখেরাতের জীবনে উত্তম জাযা দিবেন,ইনশাআল্লাহ। 
সেই আশা নিয়ে ধৈর্য়ের সাথে সংসার চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ থাকবে।  

আপনার স্বামীকে দুনিয়াবী জিন্দেগীতে আপনার জন্য আখেরাতের পরীক্ষা মনে করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...