আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
184 views
in পবিত্রতা (Purity) by (136 points)
আসসালামুআলাইকুম।

1.আমার ইস্তেহাজা সমস্যা রয়েছে। হায়েজ অনিয়মিত 10 দিন হতে হতে পার হয়ে ইস্তেহাজা হয়ে যায়। কিন্তু এবার ইস্তেহাজা অবস্থায় নিয়মিত হায়েজ শুরু হয়(15 দিন হওয়ার আগে) এর পর 15 দিন পার হয়ে গেলে হায়েজ ধরে নামাজ অফ রাখি। এখন হায়েজ গণনা এর 5 তম দিন চলছে। আজ আমি আজ 5তম দিনে মাগরিব ওয়াক্তে রক্ত দেখিনি, মাগরিব ওয়াক্তে থাকতে থাকতে বাইরে যাই, এশার ওয়াক্ত হওয়ার পর বাড়ি ফিরি। এসে দেখি এক ফোঁটা হায়েজ এর রক্ত মেটে রং। এখন রাত 12টার পর দেখছি সাদা স্রাব আসছে। আমি বলতে পারছি না আমার মাগরিব এর ওয়াক্ত থাকতে থাকতে ওই রক্ত বের হয়ে বন্ধ হয়ে হায়েজ শেষ হয়ে গেছে নাকি এশার ওয়াক্তে শুরু হওয়ার পর রক্ত বের হয়েছে এবং এসা এর ওয়াক্তে আমার হায়েজ শেষ হয়েছে। আমার ইস্তেহাজা সমস্যা থাকায় প্রতিবার এ আমার হায়েজ শেষ এর সময় নিয়ে শতর্ক থাকতে হয়। দয়া করে জানাবেন। আমি কি মাগরিব কে হায়েজ হতে পবিত্র হওয়ার সময় ভেবে নিবো নাকি এশা?
২. আমার ইস্তেহাজা সহ প্রতিমাসে হায়েজ 10 দিন অতিক্রম করে যায় তাই 10 দিন ধরি। এবার নিয়মিত হায়েজ 15 দিন হওয়ার আগেই শুরু হওয়ায় 5 দিন হায়েজ গণনা হয়েছে। আমি কি এটা অভ্যাস পরিবর্তন ধরে পরবর্তী তে হায়েজ 5 দিন এবং বাকি দিন ইস্তেহাজা ধরবো নাকি যেহেতু 15 দিন আগেই হায়েজ শুরু হয়ে ইস্তেহজা গণনা করতে হয়েছে বলে আমার হায়েজ কাল 10 দিন ই ধরে পরবর্তী হায়েজ গণনা করবো?

দয়া করে বিস্তারিত জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَلِيٌّ، - يَعْنِي ابْنَ مُسْهَرٍ - عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ، أَنَّ امْرَأَةً، سَأَلَتْ عَائِشَةَ أَتَقْضِي الْحَائِضُ الصَّلاَةَ إِذَا طَهُرَتْ قَالَتْ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ كُنَّا نَحِيضُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَطْهُرُ فَيَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلاَ يَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّلاَةِ .

আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... মুআযা আদাবীয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক মহিলা আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করল যে, ঋতুবতী মহিলা যখন ঋতু থেকে পবিত্র হবে তখন কি সে সালাত কাযা করবে? তিনি বললেন, তুমি কি হারুরী গোত্রের মহিলা? আমরা তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে ঋতুবতী হতাম এবং যখন পবিত্র হতাম তখন আমাদেরকে সাওম কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হল কিন্তু সালাত কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হত না।
(নাসায়ী শরীফ ২৩২০।)

একটি মূলনীতি হলো,
الأصل في كل حادث تقديره بأقرب زمن .
সারমর্মঃ 
প্রত্যেক বের হওয়া বস্তুর ক্ষেত্রে যদি ওয়াক্ত নির্ণয় সম্ভব না হয়,তাহলে সেটি নিকটতম ওয়াক্তের সাথে সম্পৃক্ত হবে।

ومعنى القاعدة : أنه إذا حدث أمر ما ، وأمكن أن يكون وقته قريباً أو بعيداً ، وليس هناك ما يرجح أيا من الاحتمالين ؛ فوقته المعتبر هو أقرب الوقتين لحدوثه ؛ لأن هذا الوقت هو الذي تيقنا أنه حدث فيه ، والآخر مشكوك فيه .

এই কায়েদার অর্থ হলোঃ
যদি কোনো জিনিস বের হয়,এবং সম্ভাবনা রয়েছে যে এর বের হওয়ার ওয়াক্ত নিকটেও হতে পারে,দূরেও হতে পারে,এবং সেখানে কোনো একটিকে প্রাধান্য দেয়ার মতো কোনো দলিল ইত্যাদি  না পাওয়া যায়,তাহলে নিকটতম ওয়াক্তই উদ্দেশ্য হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার হায়েজ কখন বন্ধ হয়েছে,এই বিষয়ে আপনার প্রবল ধারনা কোনদিকে?
আপনার যদি প্রবল ধারনা হয় যে ইশার ওয়াক্তের তথা মাগরিবের ওয়াক্তের মধ্যেই আপনার হায়েজ আসা বন্ধ হয়েছে,তাহলে আপনি মাগরিবের নামাজের কাজা আদায় করবেন। 

আর যদি প্রবল ধারনা হয় যে ইশার ওয়াক্তে রক্ত আসা বন্ধ হয়েছে,তাহলে মাগরিবের নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা।
,
যদি আপনার কোনো প্রবল ধারনা না হয়,আপনি যদি সন্দেহে থাকেন,তাহলে আপনি ইশার ওয়াক্তে হায়েজ বন্ধ হয়েছে ধরে নিয়ে ইশার নামাজ আদায় করবেন।

(০২)
আপনি অভ্যাস পরিবর্তন ধরবেননা।
এই মাসে ৫ দিন হায়েজ হয়েছে,পরবর্তী মাসে তার বেশিও হওয়ারও প্রবল সম্ভাবনা আপনার রয়েছে।
সুতরাং আপনি প্রত্যেক বার আলাদা ভাবেই হিসেব করবেন।
১০ দিনের আগেই বন্ধ হলে যেদিন হায়েজ বন্ধ হবে,সেদিন থেকে নামাজ আদায় করবেন। 
আর ১০ দিন পরেও রক্ত আসা চলমান থাকলে ১০ দিন হায়েজ বাকি দিন গুলো ইস্তেহাজা ধরবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...