আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
হুজুর, আপনার সাথে আমার ১ মাস আগে কথা হয়েছিল। আমি ওসিডিতে আক্রান্ত ছিলাম। তাই আমার অহেতুক ভয় কাজ করতো। আমার মনে হতো আমি যদি সিম পরিবর্তন না করি তাহলে মানুষ হয়তো আমার কল রেকর্ড বের করে আমার অন্যায় কাজ গুলা জেনে যাবে। তাই, সিম পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু, আমার সিম গুলো আমি কিছুতেই পরিবর্তন করতে চাচ্ছিলাম না। এজন্য  আমি আমার সিম পরিবর্তন এর সাথে কাফের মুশরিক হয়ে যাওয়ার কসম করেছিলাম। যাতে নিজেকে সিম পরিবর্তন করা থেকে আটকাতে পারি। সিম পরিবর্তন বলতে চিরস্থায়ী সিম পরিবর্তন করাকে বুঝিয়েছিলাম। কারণ, আমি ভাবতাম এই সিমগুলা আজীবনের জন্য বন্ধ করে দিলে কেউ আমার পাপ কাজ জানতে পারবে না। এরপর আমি নতুন নম্বর নিয়েছি এবং যেই সিমগুলো আমার অন্য একটা মোবাইলে ভরে রেখেছি। এখন, আমি আবার সেই সিমগুলো স্থায়ী ভাবে ব্যবহার করতে চাই। কিন্তু ভয় হচ্ছে যে, কোনদিন যদি সিম পরিবর্তন করে ফেলি তাহলে কাফের হয়ে যাবো। কারণ, তখন সত্যি সত্যি কাফের হয়ে যাওয়ার নিয়ত ছিল।

১. এখন হুজুর কি করা আমার জন্য উত্তম হবে? আমি ঈমান নিয়ে মরতে চাই। সিম পরিবর্তন তেমন বিষয় না।
২. এই প্রশ্ন করায় কি আবারো কসম হয়ে গেছে কিংবা ঈমান এর কোন ক্ষতি হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-



শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী। 

সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
,

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে
"وَمَنْ يَرْضَى بِكُفْرِ نَفْسِهِ فَقَدْ كَفَرَ."
(كتاب السير، الْبَابُ التَّاسِعُ فِي أَحْكَامِ الْمُرْتَدِّين ، مطلب فِي مُوجِبَاتُ الْكُفْرِ أَنْوَاعٌ مِنْهَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ، ٢ / ٢٥٧، ط: دار الفكر)
"এবং যে কুফরীতে সন্তুষ্ট থাকে, সে কাফের হয়ে গেছে।

বিস্তারিত জানুনঃ   

الفتاوى الهندية (2/ 54):
"ولو قال: إن فعل كذا فهو يهودي، أو نصراني، أو مجوسي، أو بريء من الإسلام، أو كافر، أو يعبد من دون الله، أو يعبد الصليب، أو نحو ذلك مما يكون اعتقاده كفرًا فهو يمين استحسانًا، كذا في البدائع.
حتى لو فعل ذلك الفعل يلزمه الكفارة، وهل يصير كافرًا؟ اختلف المشايخ فيه، قال: شمس الأئمة السرخسي - رحمه الله تعالى -: والمختار للفتوى أنه إن كان عنده أنه يكفر متى أتى بهذا الشرط، ومع هذا أتى يصير كافرًا لرضاه بالكفر".
সারমর্মঃ
যদি কেহ বলে যে সে যদি অমুক কাজ করে তাহলে সে ইহুদি অথবা নাসারা অথবা অগ্নিপুজক অথবা ইসলাম থেকে মুক্ত অথবা কাফের,,,,,
তাহলে সেটি কসম হবে।
যদি সে উক্ত কাজ করে,তাহলে সে কাফের হবে কিনা,এই ব্যাপারে মাশায়েখদের মতবিরোধ রয়েছে। 
শামসুল আঈম্মাহ সরখসি রহঃ বলেন যদি তার আকীদা এমন হয় যে এই কাজ করলেই সে কাফের হয়ে যাবে,তাহলে এহেন আকীদা থাকার পরেও উক্ত কাজ করা মানে কুফরিতে সন্তুষ্ট থাকা।
বিধায় সে কাফের হয়ে যাবে।  

আরো জানুনঃ-  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যে আপনার সিম পরিবর্তন এর সাথে কাফের মুশরিক হয়ে যাওয়ার কসম করেছিলেন, যাতে নিজেকে সিম পরিবর্তন করা থেকে আটকাতে পারেন।
এখন যদিও সেই সময় আপনার সত্যি সত্যি কাফের হয়ে যাওয়ার নিয়ত ছিল।
,
তবে এখন যেহেতু উক্ত নিয়তে আপনি সীম পরিবর্তন করছেননা,তাই কাফের হওয়ার কোনো সমস্যা সৃষ্টি হবেনা।

আপনি এখন বা ভবিষ্যতের যেকোনো সময় কাফের হয়ে যাওয়ার নিয়ত ছাড়া  সীম পরিবর্তন করতে পারবেন।
এতে কাফের হয়ে যাবেননা।

আপনি মন থেকে এসব যাবতীয় টেনশন ছুড়ে ফেলে দিন।
তাহলেই সমস্যা থাকবেনা,ইনশাআল্লাহ।   

ওয়াসওয়াসাকে সব সময় উপেক্ষা করে চলবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...