বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
নামাযে বুকের উপর হাত বাধা হবে।এটা শাফেয়ী এবং মালিকি মাযহাবের সিদ্ধান্ত।এবং সাঈদ ইবনে জুবাইর রাহ এর মত ও এটি।কেননা ওয়াঈল ইবনে হাজার রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাথে নামায পড়েছি।রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাতের উপর আরেকটি হাতকে বুকের উপর রেখেছেন।(ইবনে খুযাইমাহ-১/২৪৩)
হানাফি মাযহাব এবং এক বর্ণনা অনুযায়ী হাম্বলী মাযহাব মতে নাভীর নীচে হাত বাধা হবে।কেননা আবু হুরায়রা সহ অনেক সাহাবী থেকে এ বব্যাপরে বর্ণিত রয়েছে।হযরত আলী রাযি বলেন,সুন্নাহ হলো,এক হাতের উপর অন্য হাতকে নাভীর নীচে বাধা।(সুনানু আবি-দাউদ-১/৪৮০)
(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৩৮/৩৬৯)
নাভীর নীচে এবং নাভীর উপরে হাত বাধা সম্পর্কে উভয় ধরণের রেওয়ায়ত বর্ণিত রয়েছে।
আপনি পূর্ব থেকে কোনো মাযহাবকে অনুসরণ করে থাকলে সে মাযহাবের ব্যখ্যা অনুযায়ী আ'মল করবেন।এটাই স্বাভাবিক। এবং সেটাই আপনার জন্য সুন্নাহ।
আর যদি পূর্ব থেকে কোনো মাযহাবকে অনুসরণ না করে থাকেন।অথবা হানাফি মাযহাবকে অনুসরণ করে থাকেন,তাহলে নামাযে নাভির নিচেই হাত বাধবেন।নাভীর নীচে হাত বাধার বিশুদ্ধ প্রমাণ রয়েছে।
বিস্তারিত জানতে দেখতে পারেন।চান্দ আহম আছরী মাসাঈল-১৫০.............বিস্তারিত জানুন-
1177
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَعَدَ فِي التَّشَهُّدِ، وَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُسْرَى، وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُمْنَى، وَعَقَدَ ثَلَاثَةً وَخَمْسِينَ، وَأَشَارَبِالسَّبَّابَةِ.
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ যখন নামাযের বৈঠকে বসতেন,তখন উনি উনার বাম হাতকে বাম উড়ুর উপর রাখতেন।এবং ডান হাতকে ডান উড়ুর উপর রাখতেন।এবং তিপ্পান্ন গিড়ায় হাতের আঙ্গুলিকে বাধতেন।এবং শাহাদত অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করতেন।(মিশকাতুল মাসাবিহ-৯০৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সহজ ভাষায় শাহাদত অঙ্গুলি উত্তোলনের পদ্ধতি হল-
সর্বকনিষ্ঠ অঙ্গুলি এবং তার পাশের অঙ্গুলি কে হাতের তালুর সাথে মিলিয়ে রাখা হবে।এবং মধ্যম অঙ্গুলি ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা গোল করে হালকা বানাবে।অতপর 'আশহাদু আন-লা-ইলাহা' পড়ার সময়ে অঙ্গুলিকে উত্তোলন করবে।(কেননা আশহাদু আন-লা-ইলাহা এর অর্থ হলো,কোনো মা'বুদ নাই।তাই অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করে বুঝাবে আমার আক্বিদা বিশ্বাসে শুধুমাত্র একজন মা'বুদ রয়েছেন,এবং তিনি হলেন,আমার আল্লাহ। জানুন-
1262
তাকবীরে তাহরিমা ব্যতীত হাত না উঠানো উত্তম।তাকবীরে তাহরিমার সময়,কানে লতি বরাবর হাত উঠানোর মুস্তাহাব।বিস্তারিত জানুন-
2614
তবে নামাযে নারী পুরুষের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে,বিস্তারিত জানুন-
498