ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/27748 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
এবং কেউ কারো প্রতি জুলুম-অত্যাচার করলে বিচারকের কাছে বিচারপ্রার্থী হওয়া বা আল্লাহর কাছে বিচারপ্রার্থী হওয়াই উচিৎ।অযথা কাউকে অভিশাপ দেয়া কখনো উচিত হবে না।
অবশ্য জুলুম-নির্যাতন চুড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেলে তার জুলুম-অত্যাচার বন্ধের জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করা যাবে।এবং তার জুলুম নির্যাতন একদিন বন্ধ হবেই।
যেমন হাদিসে এসেছে...
হযরত আবু মুসা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেনঃ
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﻮﺳﻰ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻴﻤﻠﻲ ﻟﻠﻈﺎﻟﻢ ﺣﺘﻰ ﺇﺫﺍ ﺃﺧﺬﻩ ﻟﻢ ﻳﻔﻠﺘﻪ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা জালিমদেরকে অবকাশ দিয়ে থাকেন। অবশেষে যখন তাকে ধরবেন তখন সে আর রেহাই পাবে না।{সহীহ বুখারী-৪৪০৯}
তবে সর্বাবস্থায় অভিশাপ না দিয়ে ক্ষমা করাটাই নবীজী সাঃ এর শিক্ষা।
যেমনঃ নবীজী সা বলেনঃ
ﻓَﻘُﻠْﺖُ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﺧْﺒِﺮْﻧِﻲ ﺑِﻔَﻮَﺍﺿِﻞِ ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﺎﻝِ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻳَﺎ ﻋُﻘْﺒَﺔُ ﺻِﻞْ ﻣَﻦْ ﻗَﻄَﻌَﻚَ ﻭَﺃَﻋْﻂِ ﻣَﻦْ ﺣَﺮَﻣَﻚَ ﻭَﺃَﻋْﺮِﺽْ ﻋَﻤَّﻦْ ﻇَﻠَﻤَﻚَ
অনুবাদঃ হে উক্ববাহ!
যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তুমি তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করো, যে তোমাকে বঞ্চিত করে, তুমি তাকে তুষ্ট করো, যে তোমার প্রতি জুলুম করে, তুমি তার সাথে উত্তম ব্যবহার (ক্ষমা) করো। (মুসনাদে আহমদ- ১৭৩৩৪ নং হাদীস)
লা'নত দেয়া কোনো কামিল ইমানদ্বারের সিফাত হতে পারেনা।বরং নবীর শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে
ক্ষমা করে দেয়াটাই একজন কামিল ইমনদারের সিফাত।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার স্বামী এবং স্বামীর জুলুম নির্যাতন থেকে বাচতে আপনি আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন। অথবা স্বামীর কাছে তালাক চাইতেও পারবেন।এতে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। মহরের টাকা উসূলের জন্য আপনি মামলাও করতে পারবেন।
তবে আপনি যদি ক্ষমা করে দিতে পারেন, তাহলে সেটা কতইনা উত্তম।