আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
227 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আমার নতুন বিয়ে হওয়ার পরেই আমার স্বামী আমার উপর অত্যাচার করে, তার একাধিক অবৈধ সম্পর্ক বিদ্যমান যা আমার কাছে প্রমাণ আছে। আমাকে বিয়ে করার জন্য একমাএ উদ্দেশ্য আর্থিক সমস্যা সমাধান। তারা আমার বাবার অনেক খ্যাতি দেখে মনে করে যে আমার বাবা অনেক বিত্তশালী। বিয়ের পর যখন থেকে জানতে পারে যে আামার বাবার থেকে তেমন কিছু পাওয়ার নেই তখন থেকে তার এবং তার পরিবারের ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন ঘটে।এরপর থেকে শুরু হয় আমার ওপর অমানবিক জুলুম। আমাকে  মারধর ও করা হয়। এক বছরের বিয়ের মাথায় আজ ছয় মাস যাবত সে এবং তার পরিবার একেবারে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের উচ্চাকাঙ্খা র কাছে আমি এমবিবিএস ডাক্তার আর আমার পরিবারের সম্মান কোন মূল্যই রাখেনা। আর তার পরিবার যেখানে লোক দেখানো আভিজাত্য আর ধার্মিকতা প্রদর্শন করে। আর তারা বলেছে আমার কাবিনের টাকা দিতে রাজিনা। এমতাবস্থায় কি  আমি আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের শাস্তিস্বরূপ মামলা করবো নাকি তাকে আল্লাহর কাঠগড়ায় ছেড়ে দিব? এ ব্যপারে ইসলামিক বিধান জানিয়ে দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/27748 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
এবং কেউ কারো প্রতি জুলুম-অত্যাচার করলে বিচারকের কাছে বিচারপ্রার্থী হওয়া বা আল্লাহর কাছে বিচারপ্রার্থী হওয়াই উচিৎ।অযথা কাউকে অভিশাপ দেয়া কখনো উচিত হবে না।

অবশ্য জুলুম-নির্যাতন চুড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেলে তার জুলুম-অত্যাচার বন্ধের জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করা যাবে।এবং তার জুলুম নির্যাতন একদিন বন্ধ হবেই।
যেমন হাদিসে এসেছে...
হযরত আবু মুসা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেনঃ
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﻮﺳﻰ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻴﻤﻠﻲ ﻟﻠﻈﺎﻟﻢ ﺣﺘﻰ ﺇﺫﺍ ﺃﺧﺬﻩ ﻟﻢ ﻳﻔﻠﺘﻪ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা জালিমদেরকে অবকাশ দিয়ে থাকেন। অবশেষে যখন তাকে ধরবেন তখন সে আর রেহাই পাবে না।{সহীহ বুখারী-৪৪০৯}

তবে সর্বাবস্থায় অভিশাপ না দিয়ে ক্ষমা করাটাই নবীজী সাঃ এর শিক্ষা।

যেমনঃ নবীজী সা বলেনঃ
ﻓَﻘُﻠْﺖُ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﺧْﺒِﺮْﻧِﻲ ﺑِﻔَﻮَﺍﺿِﻞِ ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﺎﻝِ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻳَﺎ ﻋُﻘْﺒَﺔُ ﺻِﻞْ ﻣَﻦْ ﻗَﻄَﻌَﻚَ ﻭَﺃَﻋْﻂِ ﻣَﻦْ ﺣَﺮَﻣَﻚَ ﻭَﺃَﻋْﺮِﺽْ ﻋَﻤَّﻦْ ﻇَﻠَﻤَﻚَ
অনুবাদঃ হে উক্ববাহ!
যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তুমি তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করো, যে তোমাকে বঞ্চিত করে, তুমি তাকে তুষ্ট করো, যে তোমার প্রতি জুলুম করে, তুমি তার সাথে উত্তম ব্যবহার (ক্ষমা) করো। (মুসনাদে আহমদ- ১৭৩৩৪ নং হাদীস)

লা'নত দেয়া কোনো কামিল ইমানদ্বারের সিফাত হতে পারেনা।বরং নবীর শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে
ক্ষমা করে দেয়াটাই একজন কামিল ইমনদারের সিফাত।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার স্বামী এবং স্বামীর জুলুম নির্যাতন থেকে বাচতে আপনি আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন। অথবা স্বামীর কাছে তালাক চাইতেও পারবেন।এতে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। মহরের টাকা উসূলের জন্য আপনি মামলাও করতে পারবেন।

তবে আপনি যদি ক্ষমা করে দিতে পারেন, তাহলে সেটা কতইনা উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...