ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনার উচিৎ ছিল, যে আপনি পূর্বের প্রশ্নের মধ্যে ইডিট করে দিবেন বা কমেন্টে উল্লেখ করবেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যা উল্লেখ করেছেন।তার কোনোটাই সঠিক নয়।
(২)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَدَخَلَ الْمَدِينَةَ عَلَىٰ حِينِ غَفْلَةٍ مِّنْ أَهْلِهَا فَوَجَدَ فِيهَا رَجُلَيْنِ يَقْتَتِلَانِ هَـٰذَا مِن شِيعَتِهِ وَهَـٰذَا مِنْ عَدُوِّهِ ۖ فَاسْتَغَاثَهُ الَّذِي مِن شِيعَتِهِ عَلَى الَّذِي مِنْ عَدُوِّهِ فَوَكَزَهُ مُوسَىٰ فَقَضَىٰ عَلَيْهِ ۖ قَالَ هَـٰذَا مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ ۖ إِنَّهُ عَدُوٌّ مُّضِلٌّ مُّبِينٌ
তিনি শহরে প্রবেশ করলেন, যখন তার অধিবাসীরা ছিল বেখবর। তথায় তিনি দুই ব্যক্তিকে লড়াইরত দেখলেন। এদের একজন ছিল তাঁর নিজ দলের এবং অন্য জন তাঁর শত্রু দলের। অতঃপর যে তাঁর নিজ দলের সে তাঁর শত্রু দলের লোকটির বিরুদ্ধে তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করল। তখন মূসা তাকে ঘুষি মারলেন এবং এতেই তার মৃত্যু হয়ে গেল। মূসা বললেন, এটা শয়তানের কাজ। নিশ্চয় সে প্রকাশ্য শত্রু, বিভ্রান্তকারী।
(সূরা কাসাস-১৫)
এই আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, নবীদের উপরও শয়তান ক্ষতি করার চেষ্টা করে।প্ররোচিত করতে পারে।তবে এটা স্থায়ী হয় না।বরং সাময়িক।কেননা আল্লাহ তা'আলা নিজ দয়াগুণে নবীদের কে হেফাজত করে নেন।
(৩)
হাদীসের রেফারেন্স দিবেন।
(৪)
এরা সালফি আকিদাকে লালন করেন।সুতরাং আপনি সালাফি হলে পড়তে পারবেন।তবে আপনি হানাফি হলে ইমাম তাহাবী রাহ এর আকিদার কিতাব পড়বেন।
(৫)
এই প্রশ্ন কেন আপনি করলেন? এমন বিষয় নিয়ে কিভাবে আপনি চিন্তা করতে পারেন। আমাদের জীবনেও তো এমন প্রশ্ন মাথায় আসে না।
(৬)
আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন।আর মাস অপেক্ষা করা লাগবে না।বরং এখনই প্রশ্ন করতে পারবেন।
সর্বোপরি আপনাকে বলবো, হয়তো দ্বীনদার মানুষের সংস্পর্শ করুন।নতুবা একাকি অবস্থান করে দ্বীনি কিতাবি পড়ুন
তাকি উসমানি দাঃবাঃ, আমরাফ আলী থানভী রাহ,ইত্যাদি লিখকের কিতাবকে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে অধ্যায়ন করুন।