আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
267 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
১।আল গারানিকঃরাসূল (সা) এর উপর সূরা নাজমের ১৯-২০ আয়াত নাজিল হওয়ার পর শয়তান তাঁকে প্ররোচিত করে।রাসূল(সা) শয়তান দ্বারা প্ররোচিত হয়ে শয়তানের বানী তিলাওয়াত করেন এবং লাত,উজ্জা, মানাত কে সিজদাহ করেন এবং তাঁর পিছনে মুসলিম, মুশরিক,কাফিররা সবাই সিজদাহ করে।

ক/এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাই?

খ/এটি ঘটলে কেন ঘটেছিল?

গ বিভিন্ন মুফাসসির এ সম্পর্কে কি বলেছে

ঘ ইবনে তাইমিয়ার এ সম্পর্কে বক্তব্য কি সঠিক
২।সূরা ক্বাসাস এর ১৫ নম্বর আয়াত অনুযায়ী কি নবিরাও শয়তান দ্বারা প্ররোচিত হতে পারে?
৩।বুখারির একটি হাদিসে দেখলাম রাসূল(সা) সূরা নাজম তিলাওয়াত করলেন ও সিজদাহ করলেন এবং তাঁর পিছনে মুসলিম,মুশরিক,কাফির সবাই সিজদাহ করলো। কিন্তু কেন সবাই সিজদাহ করলো?

৪।খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, সালিহ আল মুনাজ্জিদ,আলবানি,ইবনে তাইমিয়া(আকিদা সংক্রান্ত ও অন্যান্য)বই পড়া যাবে?

৫।যদি আমি ইসলাম ত্যাগের চিন্তা করি এবং এ সময় আমার ক নামক ব্যক্তির কথা মনে হয় যে ইসলাম ধর্ম পালন করে (যেমন-নামাজ,রোজা)এবং পড়ার সাথে সাথে ইসলাম ত্যাগের চিন্তা দূর হয়ে যায় তাহলে,

ক/ আমি কি বলতে পারব যে আমার ইসলামে ফেরার ক্ষেত্রে ক নামক ব্যক্তির ভূমিকা ছিল

খ/ ইসলাম পালন করায় মৃত্যু পর্যন্ত যে সওয়াব পাবো তার সমপরিমাণ সওয়াব কি ক নামক ব্যক্তি পাবে?

৬।আমি স্কুল ছাত্রী হওয়ায় ও পরিবার দ্বীন সম্পর্কে উদাসিন থাকায় সরাসরি দ্বীনি ইলম অর্জন হয়তো এখন সম্ভব নয়। তাই ইন্টারনেটে ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন আরটিকেল পড়ায় নানা কারনে বিভ্রান্ত হয়ে গেছি।আমি Ifatwa তে নতুন ও জানা সত্ত্বেও এক মাসেই ৪ টির অনেক বেশি প্রশ্ন করেছি।
ক/যতগুলো বেশি প্রশ্ন করেছি তা যদি ৪ টি করে প্রতি মাসে করতাম তাহলে যত মাস লাগত আমি কি তত মাস পর প্রশ্ন করবো?

খ/নাকি প্রতি মাসেই প্রশ্ন করতে পারবো?

গ/আমাকে কিছু উপদেশ দিন যাতে ইসলামের কোনো বিষয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে যাই?

আমি সম্ভবত অনেকগুলো প্রশ্ন করে আপনাদের বিরক্ত করেছি। আমি এজন্য দুঃখিত।আমাকে ক্ষমা করবেন।

আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনার উচিৎ ছিল, যে আপনি পূর্বের প্রশ্নের মধ্যে ইডিট করে দিবেন বা কমেন্টে উল্লেখ করবেন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যা উল্লেখ করেছেন।তার কোনোটাই সঠিক নয়।

(২)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَدَخَلَ الْمَدِينَةَ عَلَىٰ حِينِ غَفْلَةٍ مِّنْ أَهْلِهَا فَوَجَدَ فِيهَا رَجُلَيْنِ يَقْتَتِلَانِ هَـٰذَا مِن شِيعَتِهِ وَهَـٰذَا مِنْ عَدُوِّهِ ۖ فَاسْتَغَاثَهُ الَّذِي مِن شِيعَتِهِ عَلَى الَّذِي مِنْ عَدُوِّهِ فَوَكَزَهُ مُوسَىٰ فَقَضَىٰ عَلَيْهِ ۖ قَالَ هَـٰذَا مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ ۖ إِنَّهُ عَدُوٌّ مُّضِلٌّ مُّبِينٌ

তিনি শহরে প্রবেশ করলেন, যখন তার অধিবাসীরা ছিল বেখবর। তথায় তিনি দুই ব্যক্তিকে লড়াইরত দেখলেন। এদের একজন ছিল তাঁর নিজ দলের এবং অন্য জন তাঁর শত্রু দলের। অতঃপর যে তাঁর নিজ দলের সে তাঁর শত্রু দলের লোকটির বিরুদ্ধে তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করল। তখন মূসা তাকে ঘুষি মারলেন এবং এতেই তার মৃত্যু হয়ে গেল। মূসা বললেন, এটা শয়তানের কাজ। নিশ্চয় সে প্রকাশ্য শত্রু, বিভ্রান্তকারী।
(সূরা কাসাস-১৫)

এই আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, নবীদের উপরও শয়তান ক্ষতি করার চেষ্টা করে।প্ররোচিত করতে পারে।তবে এটা স্থায়ী হয় না।বরং সাময়িক।কেননা আল্লাহ তা'আলা নিজ দয়াগুণে নবীদের কে হেফাজত করে নেন।

(৩)
হাদীসের রেফারেন্স দিবেন।

(৪)
এরা সালফি আকিদাকে লালন করেন।সুতরাং আপনি সালাফি হলে পড়তে পারবেন।তবে আপনি হানাফি হলে ইমাম তাহাবী রাহ এর আকিদার কিতাব পড়বেন।

(৫)
এই প্রশ্ন কেন আপনি করলেন? এমন বিষয় নিয়ে কিভাবে আপনি চিন্তা করতে পারেন। আমাদের জীবনেও তো এমন প্রশ্ন মাথায় আসে না।

(৬)
আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন।আর মাস অপেক্ষা করা লাগবে না।বরং এখনই প্রশ্ন করতে পারবেন।

সর্বোপরি আপনাকে বলবো, হয়তো দ্বীনদার মানুষের সংস্পর্শ করুন।নতুবা একাকি অবস্থান করে দ্বীনি কিতাবি পড়ুন 

তাকি উসমানি দাঃবাঃ, আমরাফ আলী থানভী রাহ,ইত্যাদি লিখকের কিতাবকে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে অধ্যায়ন করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...