আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
259 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (575 points)
আমার আহলিয়া হজের সময় সাত মাসের হামেলা থাকবে। এমত অবস্থায় হজের কোন কোন আমল আমার আহলিয়ারটা আমি করে দিতে পারব?

যেমন আমি দেখেছি অপারগ অবস্থায় মিনাতে পাথর মারা একজনেরটা আরেকজন মেরে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে এরকম আর কোন কোন আমল আছে যা মাজুরতের কারণে  একজনেরটা আর একজন করে দিলে হজ্ব আদায় হয়ে যাবে।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। 
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، - رضى الله عنهما - فِي حَدِيثِ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ حِينَ نُفِسَتْ بِذِي الْحُلَيْفَةِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ أَبَا بَكْرٍ - رضى الله عنه - فَأَمَرَهَا أَنْ تَغْتَسِلَ وَتُهِلَّ
আসমা বিনতু উমায়স (রাযিঃ) যুল হুলায়ফাহ্ নামক স্থানে সন্তান প্রসব করলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বাকর (রাযিঃ) কে নির্দেশ দিলেন এবং তিনি তদানুযায়ী তাকে গোসল করে ইহরাম বাঁধতে বললেন। (সহীহ মুসলিম-১২১০)

وَالْمُرَكَّبَةُ مِنْهُمَا) كَحَجِّ الْفَرْضِ (تَقْبَلُ النِّيَابَةَ عِنْدَ الْعَجْزِ فَقَطْ) لَكِنْ (بِشَرْطِ دَوَامِ الْعَجْزِ إلَى الْمَوْتِ) لِأَنَّهُ فَرْضُ الْعُمْرِ حَتَّى تَلْزَمَ الْإِعَادَةُ بِزَوَالِ الْعُذْرِ (وَ) بِشَرْطِ (نِيَّةِ الْحَجِّ عَنْهُ) أَيْ عَنْ الْآمِرِ فَيَقُولُ: أَحْرَمْتُ عَنْ فُلَانٍ وَلَبَّيْتُ عَنْ فُلَانٍ،
وَلَوْ نَسِيَ اسْمَهُ فَنَوَى عَنْ الْآمِرِ صَحَّ، وَتَكْفِي نِيَّةُ الْقَلْبِ (هَذَا) أَيْ اشْتِرَاطُ دَوَامِ الْعَجْزِ إلَى الْمَوْتِ (إذَا كَانَ) الْعَجْزُ كَالْحَبْسِ و (الْمَرَضُ يُرْجَى زَوَالُهُ) أَيْ يُمْكِنُ (وَإِنْ لَمْ يَكُنْ كَذَلِكَ كَالْعَمَى وَالزَّمَانَةِ سَقَطَ الْفَرْضُ) بِحَجِّ الْغَيْرِ (عَنْهُ) فَلَا إعَادَةَ مُطْلَقًا سَوَاءٌ (اسْتَمَرَّ بِهِ ذَلِكَ الْعُذْرُ أَمْ لَا) وَلَوْ أَحَجَّ عَنْهُ وَهُوَ صَحِيحٌ ثُمَّ عَجَزَ وَاسْتَمَرَّ لَمْ يَجْزِهِ لِفَقْدِ شَرْطِهِ
সারমর্মঃ-
অন্যর দ্বারা হজ্ব করানোর জন্য নিজে মৃত্যুর পর্যন্ত অক্ষম হওয়া শর্ত। (আদ্দুর্রুল মুখতার-২/৫৯৯)


পুরোপুরি অক্ষম না হলে, নিজেই হজ্বে যেতে হবে।এবং তথায় অন্যর মাধ্যমে হজ্বের ঐ সমস্ত আ'মল করানো যাবে, যেগুলো নিজে করা অসম্ভব।বা ক্ষতির আশংকা থাকবে।(কিতাবুন নাওয়াযিল-৭/৫৬৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নিজে পুরোপরি অক্ষম হলে অন্যকে হজ্বে প্রেরণ করা যাবে, এটা প্রায় নিশ্চিত কথা। তবে সাময়িক অক্ষম হলে বা পুরোপরি অক্ষম না হলে, নিজেকেই হজ্বে যেতে হবে। হ্যা সেখানে গিয়ে অন্যর দ্বারা হজ্বের কিছু রুকুন বা সমস্ত হজ্ব অন্যর করানো যাবে।

হজ্বের কোন কোন রুকুন নিজে করতে হবে? আর কোন কোন রুকুন অন্যর দ্বারা করানো যাবে?
ড়সে সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট বিবরণ পাইনি।তবে ফুকাহায়ে কেরামের আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে, হজ্বের যে কোনো রুকুন আদায় করতে কেউ অক্ষম বিবেচিত হলে সে অন্যর দ্বারা উক্ত রুকুন আদায় করাতে পারবে। সেটা যেকোনো রুকুনই হতে পারে। হ্যা, হজ্বের যে দুইটি ফরয রুকুন,(১) আরাফায় অবস্থান (২) কুরবানি পরবর্তী তাওয়াফে যিয়ারত; এই দুইটিকে যথাসম্ভব নিজে করাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হবে।

পাথর নিক্ষেপ, কুরবানি করা, এগুলো সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের আলোচনায় স্পষ্ট পাওয়া যায় যে, এগুলোতে নিয়াবত তথা অন্যর মাধ্যমে এগুলো করানো যায়, এতে অক্ষমতার প্রশ্নও অনেকাংশে আসে না। হ্যা, অবশ্যই নিজে করাটা উত্তম।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
হজ্বের ফরয ওয়াজিব গুলো আপনার স্ত্রী যথাসম্ভ নিজেই করবেন। অন্ততপক্ষে ফরযগুলোকে নিজেই করবেন।বাদবাকী গুলিকে অন্যর দ্বারা করাতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
দেড়ী হওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...