বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
পবিত্র করার পদ্ধতিঃ
পবিত্রকরণ এর দিক দিয়ে নাজাসত আবার দুই প্রকারঃ
যথা-
(ক) দৃশ্যমান নাজাসত
(খ)অদৃশ্যমান নাজাসত
(ক)
কাপড়ে প্রথম প্রকার তথা দৃশ্যমান নাজাসত লাগলে সেই নাজাসতকে দূর করে দিলেই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে নাজাসত দূর করতে ধৌত করার কোনো পরিমাণ নেই।যতবার ধৌত করলে নাজাসত দূর হবে ততবারই ধৌত করতে হবে।যদি একবার ধৌত করলে তা চলে যায় তবে একবারই ধৌত করতে হবে।
(খ)
কাপড়ে দ্বিতীয় প্রকার তথা অদৃশ্যমান নাজাসত লাগলে, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে।এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়ানো হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়।
ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪
জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাধারণত ধুলাবালি জনিত ময়লা কাপড় ধৌত করার পর, সেই ধৌতকৃত পানির ছিটা শরীর বা কাপড়ে লাগলে শরীর বা কাপড় নাপাক হবে না।তবে নাজাসত থেকে কাপড়কে পবিত্র করতে কাপড়কে ধৌত করা হলে,সেই ধৌতকৃত পানি যদি শরীর বা কাপড়ে লাগে, তাহলে শরীর বা কাপড় নাপাক হবে।
ধৌতকৃত পানির সাথে যদি নাজাসত দৃশ্যমান হয়,তাহলে নাজাসতকে দূর করে নিলেই লেগে যাওয়া কাপড় বা শরীর পবিত্র হয়ে যাবে।আর অদৃশ্যমান হলে,তিনবার করে শরীর বা কাপড়কে ধৌত করে নিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে।
বিঃদ্রঃ
নাজাসতে লেপ্টে যাওয়া কাপড়কে উপরোক্ত পদ্ধতিতে ধৌত করা পর তথা দৃশমান হলে নাজাসতকে দূর করা আর অদৃশ্যমান হলে তিনবার ধৌত করার পর পরবর্তীতে কাপড় থেকে বাহির হওয়া পানি কাপড় বা শরীরে লাগলে তা আর নাপাক হবে না।