ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
'আল গারানিক' দ্বারা আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন? এ সম্পর্কে আমাদের কোনো জানাশোনা নেই।আপনি 'আল-গারানিক' এর ব্যখ্যা সুন্দর করে সাজিয়ে ইডিট করে দিবেন। এত বিচলিত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নাই। ইসলাম সম্পর্কে আপনার জানাশোনা নিতান্তই কম।তাই এভাবে বিচলিত হচ্ছেন।দয়া করে কোনো ইসলাম বিশেষজ্ঞর নিকট সরাসরি দ্বীন শিখার চেষ্টা করবেন।
(২)
প্রশ্নটি সম্পূর্ণ অস্পষ্ট।দু লাইনে সংক্ষেপ করে ইডিট করে দিবেন।
(৩)
উম্মে হারাম রাযি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর মাহরাম ছিলেন।
কিভাবে মাহরাম ছিলেন, সে সম্পর্কে ইমাম নববী রাহ ১৯১২ নং হাদীসের ব্যখ্যায় বলেন,
اتفق العلماء على أن أم حرام كانت محرما له صلى الله عليه وسلم. واختلفوا في كيفية ذلك، فقال ابن عبد البر وغيره : كانت إحدى خالاته من الرضاعة. وقال آخرون : بل كانت خالة لأبيه أو لجده لأن عبد المطلب كانت أمه من بنى النجار اهـ .
মর্মার্থ-
হয়তো ইম্মে হারাম রাসূলু সাঃ এর দুধ খালা ছিলেন।অথবা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বাবা বা দাদার নসবি খালা ছিলেন।
(৪)
অন্য কোনো ঘটনা সম্পর্কে সঠিক আমাদের জানা নেই।
(৫)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَىٰ
এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।
إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَىٰ
কোরআন ওহী, যা প্রত্যাদেশ হয়।(সূরা আন-নাজম-৩-৪)
যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সকল বার্তাই অহী দ্বারা নির্ধারিত ছিল, তাই সাহাবাগণ রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সকল কথাকেই যথেষ্ট মনে করতেন।
(৬)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُم مِّن ذَكَرٍ وَأُنثَىٰ وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوبًا وَقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوا ۚ إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِندَ اللَّهِ أَتْقَاكُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ
হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন।(সূরায়ে হুজুরাত-১৩)
যেহেতু প্রত্যেক বংশের পৃথক পৃথক রীতিনীতি ও চাহিদা থাকে, তাছাড়া সমাজে এর যথেষ্ট প্রভাবও পরিলক্ষিত হয়, তাই বিয়ের ব্যাপারে বংশ মর্যাদাকে দেখতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।তবে আল্লাহর নিকট বংশ মর্যাদার কোনো মূল্য নাই।বরং আল্লাহর নিকট তাকওয়াই ধর্তব্য।
(৭)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَحْلَلْنَا لَكَ أَزْوَاجَكَ اللَّاتِي آتَيْتَ أُجُورَهُنَّ وَمَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْكَ وَبَنَاتِ عَمِّكَ وَبَنَاتِ عَمَّاتِكَ وَبَنَاتِ خَالِكَ وَبَنَاتِ خَالَاتِكَ اللَّاتِي هَاجَرْنَ مَعَكَ وَامْرَأَةً مُّؤْمِنَةً إِن وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ إِنْ أَرَادَ النَّبِيُّ أَن يَسْتَنكِحَهَا خَالِصَةً لَّكَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ ۗ قَدْ عَلِمْنَا مَا فَرَضْنَا عَلَيْهِمْ فِي أَزْوَاجِهِمْ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ لِكَيْلَا يَكُونَ عَلَيْكَ حَرَجٌ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। (সূরা আহযাব-৫০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
একজন নয় বরং বিভিন্ন বর্ণনায় অনেক নারীর আলোচনা পাওয়া যায় যে, যারা নিজেকে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সামনে পেশ করেছিল। তবে রাসূলুল্লাহ সাঃ কাউকে গ্রহণ করেছেন আবার কাউকে করেননি। হযরত মায়মুনা বিনতে হারিছকে গ্রহণ করেছেন।
(৮)
এগুলোর কোনো ভিত্তি নাই। ইসলাম বিদ্বেষীদের মনগড়া কাহিনি এটা।
(৯)
জ্বী, আলী রাযির মায়ের নাম ফাতেমা বিনতে আসাদ ছিলো।
রাসূলুল্লাহ সাঃ নিজ হাতে দাফন করেছেন।এবং কবরে মাথা দ্বারা ইশারা করেছেন।
(১০)
উম্মে হানী রাসূলুল্লাহ সাঃ এর চাচাতো বোন ছিলেন।তিনি সন্তান ছোট থাকায় স্বামীর হক আদায় করতে পারবেন না, সেই আশংকায় রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
وَعَنْ أُمِّ هانِئٍ بِنْتِ أَبِي طَالِبٍ قَالَتْ : خَطَبَنِي رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقُلْتُ : مَا بِي عَنْكَ رَغْبَةٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَلَكِنْ لَا أُحِبُّ أَنْ أَتَزَوَّجَ وَبَنِيَّ صِغَارٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " لِمَ ؟ خَيْرُ نِسَاءٍ رَكِبْنَ الْإِبِلَ نِسَاءُ قُرَيْشٍ أَحْنَاهُ عَلَى طِفْلٍ فِي صِغَرِهِ وَأَرْعَاهُ عَلَى بَعْلٍ فِي ذَاتِ يَدِهِ ". المعجم الكبير للطبراني 18 / 173 (20502)
حسن وعن عامر قال: خطب رسول الله، ، أم هانئ فقالت: يا رسول الله لأنت أحب إلي من سمعي وبصري، وحق الزوج عظيم فأخشى إن أقبلت على زوجي أن أضيع بعض شأني وولدي وإن أقبلت على ولدي أن أضيع حق الزوج. فقال رسول الله، : إن خير نساء ركبن الإبل نساء قريش، أحناه على ولد في صغره وأرعاه على بعل في ذات يده" سعد8/152 (صحيح مرسل