আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
edited by
আমি একজন ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তি। বিগত আমার শুধু সন্দেহ কাজ করে। হুজুর, আমি সেই ব্যক্তি যার সাথে আমার ফোনে কথা হয়েছিল ২ দিন।
১. আমি রুম ভাড়া নিয়েছিলাম। সেই রুম এ লাইট এবং ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ আমার নিজের নাকি রুম মালিকের সেটা নিয়ে সন্দেহ হয়। আমার বেশীরভাগ সম্ভাবনা এইগুলা আমার তবুও ভয় হয় যে যদি রুম মালিকের হয়ে থাকে? আমার পার্টনার ও বলছে যে এইগুলা আমার। এখন কি করবো?
২. আমরা ২ জনে মিলে একটি সিলিং ফ্যান কিনেছিলাম। এখন, আমি একা সেটা ব্যবহার করি। আমি বেশিরভাগ সম্ভবনা যে আমি তাকে ফ্যানের টাকা দিয়ে দিয়েছিলাম। তবুও ভয় হচ্ছে যে যদি টাকা না দিয়ে থাকি? এখন আমি কি করবো?
৩. এই ধরনের সন্দেহ আসলে আমি কি করবো?
৪. হুজুর, আমাকে কি চিনতে পেরেছেন? এই প্রশ্ন করার উদ্যেশ্য হচ্ছে যেন আপনি আমার অবস্থা বুঝতে পারেন। এখন আমি আগের চেয়ে অনেক সুস্থ আছি আলহামদুলিল্লাহ। এটা আমার আরেকটা ফেইক আইডি।

৫. ২ জনে মিলে যদি একটি ব্যবসা শুরু করি আমার টাকা হালাল এবং আমার পার্টনার যদি লোন নিয়ে ব্যবসায় যুক্ত হয় তাহলে বিধান কি?

৬. হেডফোন, ব্লুটুথ স্পিকার, মেমোরি কার্ড - এইগুলা কি বিক্রি করা যায়েজ? বেশীরভাগ লোক তো গান শুনার জন্য ব্যবহার করে।

1 Answer

0 votes
by (549,270 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
সাধারণত প্রায়ই  এগুলো রুম মালিকের হয়না। আর যেহেতু আপনারর পার্টনার ও বলছে যে এইগুলা আপনার। 
সুতরাং আপনি নিশ্চিত থাকুন যে এগুলো আপনারই।

(০২)
আপনি তাকে জিজ্ঞাসা করবেন।
সে যদি বলে যে আপনি টাকা দিয়েছেন,তাহলে এটির পূর্ণ মালিকানা আপনার।   
শুধু শুধু সন্দেহকে পাত্তা দিবেননা।  

(০৩)
এ ধরনের সন্দেহকে কোনো ভাবেই পাত্তা দিবেননা।
সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলবেন। 

(০৪)
জী।  

(০৫)
শরীয়তের বিধান মতে সুদ গ্রহণ, সুদ প্রদান উভয়ই লানতপ্রাপ্ত গোনাহ। তাই এ ভিত্তিতে লোন নেওয়া,তা দিয়ে ব্যবসা করা,অন্যকে এ থেকে লোন দেওয়া জায়েজ নয়। হারাম। 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন  

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

হাদীস শরীফে এসেছে  
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
ব্যাংক লোন হারাম।কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা খরিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো,সেটা হালালই থাকছে।যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো।

ব্যাংক লোন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুন 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার লভ্যাংশ হালাল হবে,ইনশাআল্লাহ। 

(০৬)
এগুলো বিক্রয় করে ইনকাম হালাল হবে।

এমন বস্তু ক্রয় বিক্রয়ে কোন বিধিনিষেধ নেই। উক্ত বস্তু ক্রয় করে যদি ক্রেতা গোনাহ করে, তাহলে এর যিম্মাদার সে নিজে হবে। বিক্রেতা নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...