আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আগের দেয়া উত্তর থেকে স্বপ্নটা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।হুজুর আপনি বললেন স্বপ্নের মর্ম ভালো হলে খারাপ ব্যাখায় ক্ষতি হবে না।
তো আমি ফজর পরে ঘুমানোর পর স্বপ্ন টা দেখি।একটা লোক যাকে আমি চিনি এবং দেখেছি কিন্তু তার সম্পর্কে ধারণা কম এবং কখনো কথা হয় নাই।
তো স্বপ্নে আমি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে দেখি সে বাসায় এসে আমার নাম ধরে ডাক্তেসে এবং আমি কই খুজতেসে এবং আম্মুকে বলতেসে আমাকে সে বিয়ে করবে এবং সে আমাকে এম্নেই নিবে অর্থাৎ তার কিছু লাগবে না।আর দেখেছিলাম যে আমার আব্বু বাসায় নেই কাজের জন্য বাহিরে কিন্তু তাও সে বিয়ে করবে।
একটু কম বেশি হতে পারে স্বপ্ন কজ অনেক আগে দেখেছি এখন বলতেসি।তবে সে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে শিউর এইটা মনে আছে।তবে স্বপ্নে নিজের নাম এবং নিজেকেই ভেবেছি কিনতি চেহারা আমার ছিল না।আমার মতই লেগেছে তবে আমি না এইরকম ।এবং আমার আম্মুকেই প্রস্তাব দিসে।

তো আমার আম্মু একবার তার আচরন দেখে ব্যবহার দেখে আমার কাছে বলে যে আমি তোর জন্য তাকে প্রস্তাব দিব।আমি না করেছিলাম কারন তখন আমি তার দ্বীন্দারিতা সম্প্ররকে  জানতাম না।আম্মুকে সরাসরি না বলি আর তাদের সাথে কুফুর বেশ কিছু পার্থক্য আমি আম্মুর কথা শুনে হেসে উড়িয়ে দেই।আর আমি তাকে নিয়ে ভাবতাম না একদমই না।

আর যখন স্বপ্ন দেখি আম্মু এর অনেক আগে হয়ত প্রস্তাব এর কথা বলছে।আর যখন স্বপ্ন দেখসি তখন তার ব্যপারে আমার কোন মাথা ব্যাথা নাই।এবং আমি তাকে নিয়ে চিন্তাও করিনা।
তবে তখন আমি আমার বিয়ের জন্য দুয়া করতাম।এবং আমি এমন কাওকে চাইতাম যে যার সাথে বিয়ে হলে আমার আব্বুর কোন খরচ হবে না।অর্থাৎ পুরো সুন্নতি তরিকায় বিয়ে হবে।তো স্বপ্ন দেখ আমার মুলত স্বপ্ন নিয়ে খারাপ ব্যাখা আসে ।আর আমি স্বপ্ন টা দেখে এর পরবর্তী সময়ে ভালো ফিল করি কিন্তু ব্যাখার কারনে ভয় লাগে।ভালো লাগার দরুন আম্মুকে ও বলে ফেলি।

এর আগেও তার প্রতি অন্য রকম ফিল হত মুলত স্বপ্ন দেখার পর পরই। তো বার বার মনে আসায় আমি খুব কান্নাকাটি করি আল্লাহর কাছে যেন অন্তর থেকে দূর হয়ে যায়।কারন তার দ্বিন্দারিতা সম্পর্ক আমার জানাশোনা শুন্য।আর আমার মাথায় বারা বার আসার ধরুন আমার গিল্ট ফিল হত গুনাহ মনে হত।

আর এখন কার কথা বলছি যে তার দ্বীন্দারিতা সম্পর্কে আমার কিছুটা ধারনা আছে।মানে সে যতটুকু জানে তার উপর আমাল করে এমন ধারনা করেছি।
এবং এখন ত শয়তান ও বন্ধ বাট রামাজানের ফার্স্ট থেকে অই লোকের কথা মাথায় আসত এবং এই রামাজানে আমি প্রচুর দুয়া করেছি যে আল্লাহ সে আমার দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য কল্যানকর হলে বিয়ের ব্যবস্থা করে দেন। আর না হলে যেন অন্তর থেক দূর হয়ে যায়।মানে এখন তার প্রতি অন্য রকম ফিল হয়  কিন্তু আমি এখনও তার দ্বীন্দারিতা সম্পর্কে জানিনা অইভাবে।
এখন ও মাথায় আসে।
আমার কি করা উচিত এইটা কি নফসের ধোকা?  আএ আমি পূর্ন বিশ্বাসের সাথে দুয়া করেছি এখন আমার মনে হয় যে আমার রব দুয়া কবুল করলে আমার খারাপ ব্যাখার কারনে ইফেক্ট হবে কিনা।? কারন যে খারাপ ব্যাখা সেটা আমি একদমই চাই না আল্লাহ মাফ করুক রহম করুক।

আর স্বপ্ন টা কি ভালো কিছু ইংগিত বহন করে।? দয়া করে হুজুর সাহায্য করুন।মাঝখানে দিয়ে প্রচুর খারাপ লেগছে অবস্থা এমন যে আমি আম্মুকে বলসি তাদের বিয়ের প্রস্তাব দিতে।আর স্বপ্ন দেখছি ১বছর আগের কাহিনি।আর এখন এমন ফিল হচ্ছে।আর  দুয়া না করতে চাইলেও এই বিষয়ে  মনে হয় যে রবের কাছে  চাইতে ত মানা নেই তাই প্রচুর দুয়া করেছি। তবে এইভাবে দুয়া করেছি যে দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যানকর হলে যেন পাইয়ে দেন।
ব্যাখার কারনে কি কোন সমস্যা হবে।

1 Answer

0 votes
by (561,060 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেছেন স্বপ্নে বিবাহ হতে দেখলে নিজের সম্মান ইজ্জত বৃদ্ধি পাওয়া বুঝায়।
,
কেহ কেহ বলেছেন যে স্বপ্নে কেউ বিয়ে করতে দেখে, তার দ্বারা আসন্ন বিবাহ বুঝায়। স্বপ্নের সময় যদি বিয়ের পরিকল্পনা না থাকে তাহলে হয়তো যার যঙ্গে বিয়ে হতে দেখেছে তাদের বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারে। নিম্নোক্ত হাদীসটি ইহা নির্দেশ করে:

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أُرِيتُكِ فِى الْمَنَامِ ثَلاَثَ لَيَالٍ جَاءَنِى بِكِ الْمَلَكُ فِى سَرَقَةٍ مِنْ حَرِيرٍ فَيَقُوْلُ هَذِهِ امْرَأَتُكَ فَأَكْشِفُ عَنْ وَجْهِكِ فَإِذَا أَنْتِ هِىَ فَأَقُولُ إِنْ يَكُ هٰذَا مِنْ عِنْدِ اللهِ يُمْضِهِ 

আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আমাকে) বলেছেন, ‘‘আমি (বিবাহের পূর্বে) তোমাকে দু-দুবার স্বপ্নে দেখেছি। দেখলাম তুমি এক খণ্ড রেশমবস্ত্রের মধ্যে রয়েছ। আর আমাকে কেউ বলছে, ‘এ হল তোমার স্ত্রী।’ আমি কাপড় সরিয়ে দেখি, সে তো তুমিই। তারপর ভাবলাম, যদি এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, তাহলে তিনি তা বাস্তবায়ন করবেন।
(বুখারী ৩৮৯৫, মুসলিম ৬৪৩৬)

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
ঐ পাত্রের পক্ষ থেকে আপনার বিবাহের প্রস্তাব আসবে, ইনশাআল্লাহ।
অনেকটাই এরকম সম্ভাবনা রয়েছে।
,
তবে এটি পুরোপুরি এমনই হবে,এর খেলাফ হবেনা,বিষয়টি এমন নহে।

আপনি যে ধরনের ব্যখ্যা করেছেন,এতে কোনো সমস্যা নেই।
আপনি যেই দোয়া করেছেন,এটিই এই মুহুর্তে আপনার বিবাহের জন্য অন্যতম সহায়ক দোয়া।
এটি আপনি চালিয়ে যান।

তবে যেহেতু বিবাহের প্রস্তাব আসেনি,আপনারাও তাদের সাথে বিবাহের কোনো আলোচনা করেননি।
তাই এমনিতেই সেই ছেলেকে নিয়ে চিন্তাভাবনা না করার পরামর্শ থাকবে।
অন্যান্য জরুরি কাজে,নেক আমলে মনোনিবেশ করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...