আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
272 views
in সালাত(Prayer) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম,
চিকিৎসাগত কারণে যোহরের পুরো ওয়াক্ত হাসপাতালে কাটাতে হবে বিধায়, আমি আমার বাবার সাথে মসজিদে যাই।সেইখানে মহিলাদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা ছিলো,পার্টিশন দেওয়া এবং ঢুকার রাস্তায়।আমি এর আগেও মসজিদে নামাজ পড়লেও সরাসরি জামাতে পড়া হয় নি, তাই কিছু প্রশ্ন ছিলো --

১/ওজু করার সময় নিয়্যাত করেছিলাম( মনে মনে ভেবেছিলাম) যে মসজিদে যতক্ষণ থাকবো যেন নফল ইতেকাফ হয়।কিন্তু মসজিদে প্রবেশ করার আগে আলাদা করে নিয়ত করি নি।এতে কি আমার নিয়্যাত ঠিক আছে?

২/ আমি মসজিদে প্রবেশ করার পর মনে হয়েছে যে দু'আ পড়িনি।তাই বের হয়ে(জুতা রাখার জায়গায়,প্রাঙ্গনের বাইরে না) আবার পড়ে প্রবেশ করেছি।আগে নিয়্যাত হয়ে গেলে বের হবার কারণে কি নিয়্যাত ভঙ্গ হয়ে গিয়েছে? আমি ফুল টাইম ইবাদতেও মনোনিবেশ করতে পারি নি,যেহেতু হসপিটালের মসজিদ তাই ওইখানে কাটানো সময়,দুনিয়াবী কাজ কথা মাথায় এসেছে।আর নামাজ শেষে ছবিও তুলেছিলাম। এতে কি ইতেকাফ ভঙ্গ হয়ে যায়?
৩/আগে কখনও জামাত পড়ি নি।দুখুলুল মাসজিদ পড়তে পড়তেই ইমাম তাকবীর দিয়েছেন মনে হলো।সালাম ফিরিয়ে জামাতের সাথে যোহরের ফরজ এর নিয়্যাত করে হাত বাধার পর সন্দেহ হয়েছে আসলেই নামাজ শুরু হয়েছে কিনা।তাই হাত ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিত হয়ে আবার হাত বেঁধে ছিলাম। এতে কি সমস্যা আছে?
৪/৩য় রাকাতে রুকু থেকে ইমামের আগে উঠে পড়েছি ভুল করে,যেহেতু অভ্যাস নাই পড়ার।যখন ইমাম সামি আল্লা........  পড়লেন তখন ভুল স্মরণ হওয়ায় আবার রুকু করে বাকি নামাজ আদায় করে শেষে সাহু সিজদাহ দিয়েছি। এতে কি নামাজ হয় নি?
৫/যোহরের আগে জামাত ধরার জন্য ফরজের আগের সুন্নাহ মিস হয়ে গেলে কখন পড়তে হবে?
৬/কোনো ওয়াক্তের সলাত মিস(ঘুম বা অন্য কারণে) হয়ে গেলে,পরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেলে কোন সালাত আগে আদায় করবে?সুন্নাহ সহ আদায় করতে হবে কি?

(বিস্তারিত রেফারেন্স না দিলেও চলবে। অল্প কথায় উত্তরগুলো জানতে পারলেই আলহামদুলিল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
যেহেতু অযুর পর আপনি আর কোনো দুনিয়াবি কাজে মগ্ন হননি,তাই এতে আপনার নিয়্যাত ঠিক আছে।

(০২)
আপনাত ইতিকাফ ভেঙ্গে যায়নি। 

(০৩)
আপনার নামাজ হয়ে গিয়েছে।
তবে ২য় বার আবারো এ হাত বাঁধা উচিত হয়নি।

(০৪)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - الْمَعْنَى - عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَلَا تُكَبِّرُوا حَتَّى يُكَبِّرَ وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَلَا تَرْكَعُوا حَتَّى يَرْكَعَ وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ "
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম এজন্যই নিয়োগ করা হয়, যেন তার অনুসরণ করা হয়। কাজেই ইমাম তাকবীর বললে তখন তোমরাও তাকবীর বলবে। ইমাম তাকবীর না বলা পর্যন্ত তোমরা তাকবীর বলবে না। ইমাম রুকু' করলে তোমরাও রুকু' করবে। ইমাম রুকু' না করা পর্যন্ত তোমরা রুকু‘ করবে না। ইমাম ‘‘সামিআলাহু লিমান হামিদাহ্’’ বললে তোমরা বলবে, ‘‘আল্লাহুম্মা রব্বানা লাকাল হামদ’’।
(আবু দাউদ ৬০৩)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার নামাজ হয়ে গিয়েছে।
তবে সুন্নাতের খেলাফ হয়েছে।

উল্লেখ্য,এভাবে মুক্তাদির ভুলের কারনে সাহু দেজদাহ দেয়ার কোনো বিধান নেই।

(০৫)
জোহরের পরে ২ রাকাত সুন্নাত আদায় করে আগের সেই চার রাকাত সুন্নাত আদায় করবেন।

(০৬)
আপনি সাহেবে তারতিব হলে আগের ওয়াক্তের নামাজই আগে আদায় করতে হবে। 

আর সাহেবে তারতিব না হলে বিষয়টি আপনার ইচ্ছাধীন। 
চাইলে আগের ওয়াক্তের নামাজ আগে আদায় করতে পারেন,চাইলে সেই ওয়াক্তের নামাজ আগে আদায় করতে পারেন।   

আপনি সাহেবে তারতিব কিনা,এ সংক্রান্ত জানুনঃ

আগের সেই ওয়াক্তের নামাজ এর কাজা আদায়ের ক্ষেত্রে সুন্নাত নামাজ আদায় করতে হবেনা।
কেননা সুন্নাতের কাজা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...