শরীয়তের বিধান হলো যদি রোযাদার হস্তমৈথুনের কারনে বীর্যপাত করে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
এক্ষেত্রে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে।
কাফফারা আদায় করতে হবেনা।
তবে এটা যে ভয়াবহ গুনাহের কাজ তা বলাই বাহুল্য।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
عبد الله بن عمرو بن العاص عن النبي صلى الله عليه وسلم سبعة لا ينظر الله عز وجل إليهم يوم القيامة ولا يزكيهم ويقول : ادخلوا النار مع الداخلين : الفاعل والمفعول به ، والناكح يده ، وناكح البهيمة ، وناكح المرأة في دبرها ، وناكح المرأة وابنتها ، والزاني بحليلة جاره ،والمؤذي لجاره حتى يلعنه
“সাত শ্রেণীর লোকের উপর আল্লাহ অভিশাপ বর্ষণ করেন, কিয়ামতের দিন এদের দিকে তাকাবেন না এবং এদেরকে জাহান্নামে প্রবেশের আদেশ দিবেন। এরা হল–সমকামী, হস্তমৈথুনকারী, জীবজন্তুর সাথে সঙ্গমকারী, স্ত্রীর সঙ্গে পুংমৈথুনকারী, কোন মহিলা ও তার কন্যাকে একসাথে বিবাহকারী, প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারকারী এবং প্রতিবেশীকে এমন কষ্টদানকারী যে, যার কারণে সে তাকে অভিশাপ দেয় । তবে এরা যদি তাওবা করে তাহলে তারা সবাই হয়ত ক্ষমা পেতে পারে।” (বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান৭/৩২৯)
الصَّائِمُ إذَا عَالَجَ ذَكَرَهُ حَتَّى أَمْنَى يَجِبُ عَلَيْهِ الْقَضَاءُ، وَهُوَ الْمُخْتَارُ كَذَا فِي التَّجْنِيسِ والولوالجية وَبِهِ قَالَ عَامَّةُ الْمَشَايِخِ كَذَا فِي النِّهَايَةِ (البحر الرائق، كتاب الصوم، باب ما يفسد الصوم وما لا يفسده-2/475، وكذا فى الهندية-1/205، الباب الرابع فيما يفسد وما لا يفسد، كتاب الصوم(
সারমর্মঃ
রোযাদার যদি নিজ লিঙ্গকে চেষ্টা (মৈথুন) করে,তাতে যদি বীর্যপাত হয়ে যায়,তাহলে রোযার কাজা আদায় করা ওয়াজিব হবে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে।
কাফফারা নয়।
আপনি পরবর্তীতে ৩ টি রোযা কাজা আদায় করবেন।
বিস্তারিত জানুনঃ
(০২)
হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ