ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/509 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
যিহার শুধুমাত্র পুরুষ কর্তৃক হয়।মহিলা যিহার করলে যিহার হয় না।সুতরাং যিহার হল,
স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে নিজ মাহারাম মহিলা বা তার অঙ্গের সাথে তুলনা করা।আবার স্ত্রী এমনটা বললে যিহার হবে না।যেমনঃ
(ﻭَﻇِﻬَﺎﺭُﻫَﺎ ﻣِﻨْﻪُ ﻟَﻐْﻮٌ) ﻓَﻼَ ﺣُﺮْﻣَﺔَ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻻَ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓَ ﻭَﺑِﻪِ ﻳُﻔْﺘَﻰ ﺟَﻮْﻫَﺮَﺓٌ ﻭَﺭَﺟَّﺢَ اﺑْﻦُ اﻟﺸِّﺤْﻨَﺔِ ﺇﻳﺠَﺎﺏَ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓِ ﻳَﻤِﻴﻦٍ.
মহিলা কর্তৃক যিহার তথা স্বামীকে নিজ পিতা ইত্যাদির সাথে তুলনা করলে কোনোপ্রকার হুরমত প্রমাণিত হবে না।এবং কাফফরা ও আসবে না।এটাই গ্রহণযোগ্য মতামত।তবে ইবনুশ শিহনাহ রাহ শপথ ভঙ্গের কাফফরা অনাদায়ের কথা বলেছেন।(আদ্দুর্রুল মুখতার-৩/৪৬৭,ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৩/৩৩০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)কোন মেয়েকে যদি দুষ্টমি করে মা বলা হয় তাহলে ওই মেয়ের সাথে কোন এক সময় বিয়ে হলে বিয়েটা হারাম হবে না। বিয়ের পূর্বে কাউকে মা ডাকলে যিহার হয়না।এমনকি বিয়ের পরও কাউকে শুধুমাত্র মা ডাকলে যিহার হবে না।বরং মায়ের অঙ্গের সাথে তুলনা করতে হবে।
(২)বৈবাহিক সম্পর্ক হালাল হওয়ার জন্য শর্ত হল, মাহরাম না হওয়া, দুধ সম্পর্ক না থাকা।
(৩)কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীকে বাবা বলে তাহলেও যিহার হবে না।
(ﻭَﻇِﻬَﺎﺭُﻫَﺎ ﻣِﻨْﻪُ ﻟَﻐْﻮٌ) ﻓَﻼَ ﺣُﺮْﻣَﺔَ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻻَ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓَ ﻭَﺑِﻪِ ﻳُﻔْﺘَﻰ ﺟَﻮْﻫَﺮَﺓٌ ﻭَﺭَﺟَّﺢَ اﺑْﻦُ اﻟﺸِّﺤْﻨَﺔِ ﺇﻳﺠَﺎﺏَ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓِ ﻳَﻤِﻴﻦٍ.
মহিলা কর্তৃক যিহার তথা স্বামীকে নিজ পিতা ইত্যাদির সাথে তুলনা করলে কোনোপ্রকার হুরমত প্রমাণিত হবে না।এবং কাফফরা ও আসবে না।এটাই গ্রহণযোগ্য মতামত।তবে ইবনুশ শিহনাহ রাহ শপথ ভঙ্গের কাফফরা অনাদায়ের কথা বলেছেন।(আদ্দুর্রুল মুখতার-৩/৪৬৭,ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৩/৩৩০)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/509