আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
313 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। যদি কোন ব্যক্তি হজ্ব পালন করার সাথে তার মৃত পিতামাতার জন্য উমরাহ পালনের নিয়ত করে, তবে সেটা কখন করা উত্তম? অর্থাৎ কেউ যদি মক্কায় হজ্ব শুরুর যথেষ্ট আগে পৌছে যায় আর তার কাছে উমরাহ করার জন্য যথেষ্ট সময় থাকে, তাহলে কি সে নিজ হজ্ব আদায় করার আগেই বদলি উমরাহ করতে পারবে নাকি হজ্ব আদায়ের পরে বদলি উমরাহ আদায় করাই উত্তম হবে? এ বিষয়ে জানালে উপকৃত হব।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

উত্তরঃ-
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ।
জি,প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনি আপনার বাবার পক্ষ্য থেকে নফল বদলী হজ্ব করতে পারবেন।কেননা একজন অন্যজনের পক্ষ্য থেকে বদলী হজ্ব করা শরীয়তে স্বীকৃতাধীন।
তবে ব্যখ্যা এই যে,ফরজ হজ্বে যার উপর হজ্ব ফরজ হয়েছে,সে অক্ষম হলে অন্যর মাধ্যমে হজ্ব করাতে পারবে নতুবা সে নিজে করতে হবে।আর নফল হজ্বে সুস্থাবস্থায় ও অন্যকে দিয়ে হজ্ব করানো যাবে।
বদলী হজ্ব সম্পর্কে তিরমিযি শরীফের এক হাদিসে বর্ণিত আছে.......
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺑﺮﻳﺪﺓ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ ﻗﺎﻝ : ﺟﺎﺀﺕ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻘﺎﻟﺖ : ﺇﻥ ﺃﻣﻲ ﻣﺎﺗﺖ ﻭﻟﻢ ﺗﺤﺞ ﺃﻓﺄﺣﺞ ﻋﻨﻬﺎ؟ ﻗﺎﻝ : ﻧﻌﻢ ﺣﺠﻲ ﻋﻨﻬﺎ
অর্থ- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে বুরাইদা রাঃ থেকে বর্ণিত,তিনি বলেনঃ একবার এক মহিলা নবী কারীম সাঃ এর কাছে এসে বলল,হে আল্লাহর রাসুল সাঃ আমার মা মারা গেছেন অথচ তিনি হজ্ব করেননি,আমি কি তার পক্ষ্য থেকে হজ্ব করতে পারব?নবী কারীম সাঃ উত্তরে বললেনঃহ্যা তুমি তার পক্ষ্য থেকে হজ্ব করতে পারবে।(খ৩:পৃ৩৫:হাদিস নং৯২৯)
অন্যত্র বর্ণিত আছে.....
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺭﺯﻳﻦ ﺍﻟﻌﻘﻴﻠﻲ : ﺃﻧﻪ ﺃﺗﻰ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻘﺎﻝ : ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺇﻥ ﺃﺑﻲ ﺷﻴﺦ ﻛﺒﻴﺮ ﻻ ﻳﺴﺘﻄﻴﻊ ﺍﻟﺤﺞ ﻭﻻ ﺍﻟﻌﻤﺮﺓ ﻭﻻ ﺍﻟﻈﻌﻦ، ﻗﺎﻝ : ﺣُﺞَّ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻚ ﻭﺍﻋﺘﻤﺮ. 
ভাবানুবাদঃআবু রাযিন আল-উক্বাইলী রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি নবী কারীম সাঃ এর কাছে এসে  বলেলনঃহে আল্লাহর রাসুল সাঃ আমার পিতা অত্যান্ত বিদ্ধ লোক, তিনি হজ্ব,উমরা ও সফরের সামর্থ্য রাখেন না,নবী কারীম সাঃ বললেনঃ তুমি তোমার পিতার পক্ষ্য থেকে হজ্ব ও উমরা করতে পারো।(খ৩:পৃ২৭০:হাদিস নং৯৩০)
প্রথম হাদিসে ফরজ হজ্ব ও দ্বিতীয় হাদিসে ফরজ হজ্ব ও নফল উমরাকে নবী কারীম সাঃ অন্যর পক্ষ্য থেকে আদায় করার অনুমোদন দিলেন,তাই যেখানে ফরজের অনুমোদন আছে,সেখানে নফলের অনুমোদন অবশ্যই থাকবে,কেননা নফলের মধ্যে এমন কিছুর অবকাশ রয়েছে যা ফরজ বিধানে নেই।
এমনকি নফল হজ্বে উক্ত ব্যক্তির অপারগ হওয়াও কোনো প্রয়োজন নেই,বরং বিনাওজরেও সে অন্যকে দিয়ে নফল হজ্ব করাতে পারবে।
রদ্দুল মুহতার গ্রন্থে এ সম্পর্কে বর্ণিত আছে,,
)وَشَرْطُ الْعَجْزِ) الْمَذْكُورِ (لِلْحَجِّ الْفَرْضِ لَا النَّفْلِ) لِاتِّسَاعِ بَابِهِ(
أَمَّا الْحَجُّ النَّفَلُ فَلَا يُشْتَرَطُ فِيهِ الْعَجْزُ لِأَنَّهُ لَمْ يَجِبْ عَلَيْهِ وَاحِدَةٌ مِنْ الْمَشَقَّتَيْنِ أَيْ مَشَقَّةِ الْبَدَنِ وَمَشَقَّةِ الْمَالِ، فَإِذَا كَانَ لَهُ تَرْكُهُمَا كَانَ لَهُ أَنْ يَتَحَمَّلَ إحْدَاهُمَا تَقَرُّبًا إلَى رَبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ، فَلَهُ الِاسْتِنَابَةُ فِيهِ صَحِيحًا. اهـ.
ভাবানুবাদঃ- আর নফল হজ্ব তাতে(উক্ত ব্যক্তির) অপারগতা শর্ত নয়,কেননা উক্ত ব্যক্তির উপর শারিরিক ও আর্থিক কোনো দ্বায়বার শরয়ীভাবে ওয়াজিব নয়।এখন যখন সে উভয়টাকে (ফরজ না হওয়ার দরুন)এমনিতেই বিসর্জন দিতে পারছে,তখন সে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের স্বার্থে যে কোন একটাকে অবশ্যই অনায়াসে পালন করতে পারছে।বিধায় কোনো মানুষ পুরোপুরি সুস্থাবস্থায়ও কাউকে নফল হজ্বের জন্য প্রতিনিধি  নিয়োগ করতে পারবে।
(খঃ ২পৃঃ ৬০২) আল্লাহই ভাল জানেন।

হজ্বের আগে উমরাহ করে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 231 views
0 votes
1 answer 213 views
0 votes
1 answer 305 views
...