ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
যে সব অনুষ্টানে শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড হবে বা হচ্ছে,সে সকল অনুষ্টান বা মজলিস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে।এটাই মূলত হুকুম। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2867
অন্যদিকে আত্মীয়তার সম্পর্ককে অটুট রাখা ওয়াজিব পর্যায়ের বিধান। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1577
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত লিংকে বর্ণিত মূলনীতির আলোকে আমরা এ সিদ্ধান্তে পৌছতে সক্ষম হবো যে,নিজ নিকটাত্মীয়কে শরীয়তের বিধান সম্পর্কে অবগত করানো আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।তাদেরকে গায়রে শরয়ী কাজ থেকে বিরত থাকার যাবতীয় চেষ্টা-প্রচেষ্টা চালাতে হবে।(শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি আপনার আম্মুকে দ্বীন সম্পর্কে বুঝাতে থাকবেন।এবং উনাকে বলবেন, এরকম বেদাতি কাজে সাহায্য সহযোগিতা করলে আপনার গোনাহ হবে।
তারপরও যদি উনি না বুঝেন, এবং আপনাকে রান্না করার নির্দেশ দেন, এবং রান্না করার মত কেউ না থাকে, তাহলে আপনার জন্য উনার কাজে সাহায্য করা না করা উভয়টার রুখসত থাকবে।আপনি নিজে খাবেন বা ঘরের জন্য রান্না হচ্ছে, সেই নিয়তে আপনি রান্না করার কাজে সহযোগিতা করতে পারবেন।এবং না করলেও আপনার কোনো গোনাহ হবে না।
(২)
জ্বী, সাধারণ খাবার হিসেবে খেতে পারবেন।
(৩)
না, এজন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।
(৪)
আপনি যথাসম্ভব মাকে গিবত করতে নিষেধ করবেন।যথাসম্ভব এড়িয়ে যাবেন।তারপর যদি শ্রবণ করে নেন, তাহলে এজন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।
(৫)
না, গোনাহ হবে না।
(৬)
না, গোনাহ হবে না।