আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
383 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (15 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। শবে কদর উপলক্ষে বাড়ির সবাই ঘর ঝাড়া মুছা,রুটি বানানো ফাতেহা দেওয়া সহ অনেক কাজ করে আমার আম্মুও আমাকে বলে ঘর মুছতে।আমি আম্মুর কথা না মানলে গুনাহ হতে পারে সেজন্য এমনিতে ঘর পরিষ্কার করার নিয়তে মুছে ফেলি।

আম্মু মুরগী আনে ফাতেহা দেওয়ার জন্য।আমি আগে বিদআত নিয়ে আম্মুকে বলতাম আর এইগুলো করলে গুনাহ হয় এইটাও বলতাম এইজন্য আম্মু বলে আমি ওহাবি।আমার কোনো কথা বিশ্বাস করে না।আজান দেওয়ার আগে সেহেরি খাওয়া বন্ধ করতে হয় বলেছিলাম ওইটাও বিশ্বাস করেনি বলেছে আজান চলাকালীন অবস্থায় খাওয়া যায়।
এখন মুরগী এনে ফাতেহা দিলে বিদআত হবে বললেও বিশ্বাস করবে না উল্টো আমাকে বকা দিবে। আমি তাও একটু একটু বলার চেষ্টা করেছি। যেমন-২৭ রোজাতেই যে শবে কদর হবে ওইটার গ্যারান্টি কি?ফাতেহা দাও কার নামে?

মুরগী রান্নার কাজে আম্মুকে সাহায্য করতে হয়েছে কারণ আম্মু একা সব কাজ করতে পারবে না আমাকে সাহায্য করতে বলে।

১)উপরে উল্লেখিত সব ঘটনার জন্য কি আমার গুনাহ হবে?যেমন ঘর মুছা,রান্নার কাজে সাহায্য,আম্মুকে ডিরেক্ট বিদআত হচ্ছে ওইটা না বলা।

২)রান্না করা মাংসগুলো কি সাধারণ খাবার হিসেবে খাওয়া যাবে?

৩)আমার একজন আপু এইসব বিদআতের কাজ বেশি করে।যেইকোনো উপলক্ষে রুটি বানানো ফাতেহা দেওয়া।কারো রুটি বানাতে ইচ্ছে না করলে ওনার থেকে জিজ্ঞেস করলে বলে অন্তত ৫টা হলেও বানাও।এইটার জন্য ওনাকে আমার ভালো লাগে না।মনের মধ্যে খারাপ ধারণা আসে। এইজন্য কি আমার গুনাহ হবে?

আপডেট -আম্মু আমাকে সুরা ফাতেহা একবার আর ৩বার সুরা ইখলাস পড়ে আল্লাহ আর রাসুলের নামে শবে কদরের ফাতেহা দিতে বলে।আমি এমনিতে মোনাজাত করে আম্মুর গুনাহ মাফের জন্য দুয়া করি আর সুরা আব্বুর ইসালে সওয়াবের নিয়তে পড়ি। কাজটা কি ঠিক করেছি?যেহেতে ফাতেহা দি নাই বিদয়াতের গুনাহটা কি হবে?

গীবত নিয়ে

৪)গীবত নিয়ে আম্মুকে আগে বলতাম।কারো কথা বললে বলতে মানা করতাম কিন্তু আম্মু একদিন বলে যে আমিও ওদের মতো খারাপ তাই আমি এইসব না বলতে বলি। এরপর থেকে আমি আর বলিনা।গীবত করতে শুনতে হ্যাঁ না কিছুই বলি না।না শুনার জন্য অন্য দিকে মন দেওয়ার হাজার চেষ্টা করলেও মাঝেমধ্যে আম্মুর কথার দিকে মন চলে যায়।কিন্তু যাদের নামে গীবত করা হচ্ছে ওদের সম্পর্কে খারাপ ধারণা মনে আসতে না দেওয়ার চেষ্টা করি।এতে কি আমার গুনাহ হবে?আম্মুকে এখন আর গীবত করতে বারণ না করার কারণেও কি গুনাহ হবে?

৫)কথা বললেই গীবত চলে আসে এইজন্য আম্মুর সাথে কাউকে নিয়ে কথা না বলার চেষ্টা করি এইজন্য আম্মুর সাথে আগের থেকে কথা অনেক কম বলা হয়।এইজন্য কি গুনাহ হবে?

৬)গ্রামে পর্দা করা আর গীবত থেকে বেঁচে থাকা অনেক বেশি কঠিন মনে হচ্ছে।প্রতিদিন কেউ না কেউ এসে গীবত করবেই(আমার সাথে না আম্মুর সাথে আমার সামনে)আমি কথা না শোনার জন্য কানের ইয়ারফোন দিয়ে গজল শুনি বা কোনো ভিডিও দেখি।ওদের বাধাঁ না দেওয়ার জন্য কি গুনাহ হবে?ওরা আমার অনেক বড়।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
যে সব অনুষ্টানে শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড হবে বা হচ্ছে,সে সকল অনুষ্টান বা মজলিস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে।এটাই মূলত হুকুম। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2867
অন্যদিকে আত্মীয়তার সম্পর্ককে অটুট রাখা ওয়াজিব পর্যায়ের বিধান। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1577

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত লিংকে বর্ণিত মূলনীতির আলোকে আমরা এ সিদ্ধান্তে পৌছতে সক্ষম হবো যে,নিজ নিকটাত্মীয়কে শরীয়তের বিধান সম্পর্কে অবগত করানো আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।তাদেরকে গায়রে শরয়ী কাজ থেকে বিরত থাকার যাবতীয় চেষ্টা-প্রচেষ্টা চালাতে হবে।(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি আপনার আম্মুকে দ্বীন সম্পর্কে বুঝাতে থাকবেন।এবং উনাকে বলবেন, এরকম বেদাতি কাজে সাহায্য সহযোগিতা করলে আপনার গোনাহ হবে।

তারপরও যদি উনি না বুঝেন, এবং আপনাকে রান্না করার নির্দেশ দেন,  এবং রান্না করার মত কেউ না থাকে, তাহলে আপনার জন্য উনার কাজে সাহায্য করা না করা উভয়টার রুখসত থাকবে।আপনি নিজে খাবেন বা ঘরের জন্য রান্না হচ্ছে, সেই নিয়তে আপনি রান্না করার কাজে সহযোগিতা করতে পারবেন।এবং না করলেও আপনার কোনো গোনাহ হবে না।

(২)
জ্বী, সাধারণ খাবার হিসেবে খেতে পারবেন।

(৩)
না, এজন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।

(৪)
আপনি যথাসম্ভব মাকে গিবত করতে নিষেধ করবেন।যথাসম্ভব এড়িয়ে যাবেন।তারপর যদি শ্রবণ করে নেন, তাহলে এজন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।

(৫)
না, গোনাহ হবে না।

(৬)
না,  গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...