আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
বিয়ের পরে পরকীয়ায় (দৈহিক সম্পর্ক নয় শুধমাত্র প্রেম) লিপ্ত হলে তার কি রজম হবে?
অনেক সময় দেখা যায় বিবাহিতরা অন্য নর নারির প্রতি আসক্ত হয়ে যায় , তাদেরকে ভাল লাগতে শুরু করে এবং এই থেকে এক পর্যায় টেক্সটিং , ফোনে কথা বলা ইত্যাদিতে লিপ্ত হয়। এক কথায় প্রেমে জড়ায়।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এতে তাদের প্রতি রজম এর বিধান পতিত হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আমাদের মনে রাখতে হবে,
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। 
(সূরা ফাতির-১৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
অবৈধ প্রেম ভালবাসা গোনাহ।বিশেষকরে বিবাহিত দম্পত্তির কারো দ্বারা অবৈধ প্রেম ভালবাসায় লিপ্ত হওয়া চুড়ান্ত পর্যায়ের গোনাহ। বিবাহিত দম্পত্তির কেউ যদি শুধুমাত্র প্রেম ভালবাসায় জড়িত হয়, তাহলে এজন্য তার উপর রজমের বিধান আসবে না।হ্যা বিবাহিত দম্পত্তির কেউ যদি অন্যর সাথে অবৈধ শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়, তাহলে অবশ্যই তার উপর রজমের বিধান আসবে।সহবাসে লিপ্ত না হলে কিন্তু আসবে না। রজমের বিধান বাস্তবায়ন করা সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...