আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
2,377 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
হস্তমৈথুন করলে , তওবা ছাড়া মারা গেলে  ক্ষমা পাওয়া যাবে?
  জান্নাতের হুর নাকি হারাম হয়ে যাবে  , আমি শুনেছি । এটা কি সত্য ?

1 Answer

+1 vote
by (709,120 points)
edited by


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

প্রসঙ্গ; হস্তমৈথুন। 

الاِسْتِمْنَاءُ: مَصْدَرُ اسْتَمْنَى، أَيْ طَلَبَ خُرُوجَ الْمَنِيِّ. 

وَاصْطِلاَحًا: إخْرَاجُ الْمَنِيِّ بِغَيْرِ جِمَاعٍ، مُحَرَّمًا كَانَ، كَإِخْرَاجِهِ بِيَدِهِ اسْتِدْعَاءً لِلشَّهْوَةِ، أَوْ غَيْرَ مُحَرَّمٍ كَإِخْرَاجِهِ بِيَدِ زَوْجَتِهِ.

হস্তমৈথুন বলা হয়, সহবাস ব্যতিত বীর্য বের করা। চায় বৈধ ভাবে হোক, যেমন স্ত্রীর হাত দ্বারা বীর্য বের করা হোক কিংবা অবৈধভাবে হোক, যেমন যৌন উপভোগের জন্য নিজ হাত দ্বারা বীর্যকে বের করা। (আল মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যা-৪/৯৮)


হস্তমৈথুনের নিষেধাজ্ঞা সহীহ সনদে বর্ণিত কোনো হাদীসে সরাসরি আসেনি, যেজন্য হস্তমৈথুনের বিধান  সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে-

এই মতপার্থক্য সর্বমোট তিন শ্রেণীতে বিভক্তঃ যথা- 

(১)কিছু সংখ্যক উলামাগণ হস্তমৈথুনকে হারাম সাব্যস্ত করে থাকেন।

(২)অন্যদিকে কিছু উলামাগণ মাকরুহ বলেন।

(৩)আর কিছু সংখ্যক উলামাগণ বৈধ বা হালাল মনে করেন।


যে সমস্ত উলামাগণ হারাম সাব্যস্ত করে থাকেন, তাদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্নতর ব্যখ্যা রয়েছে-


হস্তমৈথুনকে হারাম সাব্যস্তকারী উলামাদের প্রধানতম দলীল হল,

আল্লাহ তা'আলা এক আয়াতে বিবাহবহির্ভূত এবং দাসী ব্যতীত সহবাসকে সীমালঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন- 

وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ إِلَّا عَلَىٰ أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ فَمَنِ ابْتَغَىٰ وَرَاءَ ذَٰلِكَ فَأُولَـٰئِكَ هُمُ الْعَادُونَ-

"এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না। অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে। " (সূরা-মু'মিনুন-৫-৭)


এই আয়াতকে সামনে রেখে কেউ হারাম বা কেউ মাকরুহে তাহরিমি বলেছেন।অন্যদিকে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরাম বলেন, যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাঃ পরিস্কারভাবে হস্তমৈথুনকে হারাম বলেন নাই, তাই হস্তমৈথুনের রুখসত রয়েছে।


চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফিকহি গ্রন্থ "আল মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যা-(৪/৯৯) কিতাবে হস্তমৈথুন সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের মতামত ও আলোচনাকে অনুবাদসহ উল্লেখ করছি....

الاِسْتِمْنَاءُ بِالْيَدِ. 

٤ - أ - الاِسْتِمْنَاءُ بِالْيَدِ إنْ كَانَ لِمُجَرَّدِ اسْتِدْعَاءِ الشَّهْوَةِ فَهُوَ حَرَامٌ فِي الْجُمْلَةِ، لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَاَلَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ إلاَّ عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ فَمَنْ ابْتَغَى وَرَاءَ ذَلِكَ فَأُولَئِكَ هُمُ الْعَادُونَ} 

وَالْعَادُونَ هُمْ الظَّالِمُونَ الْمُتَجَاوِزُونَ، فَلَمْ يُبِحِ اللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى الاِسْتِمْتَاعَ إلاَّ بِالزَّوْجَةِ وَالأَْمَةِ، وَيَحْرُمُ بِغَيْرِ ذَلِكَ. 

وَفِي قَوْلٍ لِلْحَنَفِيَّةِ، وَالشَّافِعِيَّةِ، وَالإِْمَامِ أَحْمَدَ: أَنَّهُ مَكْرُوهٌ تَنْزِيهًا. 

হস্তমৈথুন:

যদি শুধুমাত্র কামপ্রবৃত্তি উপভোগের জন্য  হস্তমৈথুন করা হয়, তাহলে তা হারাম বলেই বিবেচিত হবে।যেমনটা আল্লাহ তা'আলা সূরায় মু'মিনে ৫-৭ নং আয়াতে স্ত্রী ও দাসী ব্যতিত অন্যত্র যৌন চাহিদার পূরণকে সীমালঙ্ঘন বলেছেন। সুতরাং আয়াতের অর্থ হবে, স্ত্রী ও দাসী ব্যতিত অন্য কোনো মাধ্যমে যৌন চাহিদার পূরণ সীমালঙ্ঘনের অন্তর্ভুক্ত।  ইমাম আবু হানিফা রাহ. থেকে এক বর্ণনামতে এবং ইমাম শাফেয়ী রাহ. ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ. এর মতে হস্তমৈথুন মাকরুহে তানযিহি।


ب - وَإِنْ كَانَ الاِسْتِمْنَاءُ بِالْيَدِ لِتَسْكِينِ الشَّهْوَةِ الْمُفْرِطَةِ الْغَالِبَةِ الَّتِي يُخْشَى مَعَهَا الزِّنَى فَهُوَ جَائِزٌ فِي الْجُمْلَةِ، بَل قِيل بِوُجُوبِهِ، لأَِنَّ فِعْلَهُ حِينَئِذٍ يَكُونُ مِنْ قَبِيل الْمَحْظُورِ الَّذِي تُبِيحُهُ الضَّرُورَةُ، وَمِنْ قَبِيل ارْتِكَابِ أَخَفِّ الضَّرَرَيْنِ. 

وَفِي قَوْلٍ آخَرَ لِلإِْمَامِ أَحْمَدَ: أَنَّهُ يَحْرُمُ وَلَوْ خَافَ الزِّنَى، لأَِنَّ لَهُ فِي الصَّوْمِ بَدِيلاً، وَكَذَلِكَ الاِحْتِلاَمُ مُزِيلٌ لِلشَّبَقِ. 

وَعِبَارَاتُ الْمَالِكِيَّةِ تُفِيدُ الاِتِّجَاهَيْنِ: الْجَوَازَ لِلضَّرُورَةِ، وَالْحُرْمَةَ لِوُجُودِ الْبَدِيل، وَهُوَ الصَّوْمُ. 

কামপ্রবৃত্তির উতলে উঠা জ্বালাতন যদি এমন পর্যায়ে পৌছে যায়, যে যিনা ব্যভিচারের সমূহ সম্ভাবনা থেকেই যায়, তাহলে এমতাবস্থায় প্রবৃত্তির জ্বালাতনকে নিবারণের স্বার্থে হস্তমৈথুন জায়েয হবে। এমনকি কেউ কেউ তখন ওয়াজিবও বলে থাকেন। কেননা তখন মনে করা হবে বিষয়টা ঐ পর্যায়ে পৌছে গেছে যে, যে পর্যায়ে পৌছলে হারাম জিনিষও মানুষের জন্য হালাল হয়ে যায় এবং যে পর্যায়ে পৌছলে দু'টি ক্ষতিকারক জিনিষের মধ্যে কম ক্ষতিকারক বিষয়কে গ্রহণ করাটা জরুরী হয়ে যায়।

ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ. এর মতে যিনা ব্যভিচারের আশংকা থাকাবস্থায়ও হস্তমৈথুন হারাম।কেননা যিনা ব্যভিচার থেকে বাঁচার ভিন্ন রাস্তা রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণিত রয়েছে, আর সেটা হল রোযা, ঠিকতেমনিভাবে স্বপ্নদোষের দ্বারাও যৌনক্ষুদা কমে যায়। ইমাম মালিক রাঃ থেকে দুই রকম বক্তব্য পাওয়া যায়, (ক) জরুরতে হস্তমৈথুন বৈধ।(খ) যৌনক্ষুদা দমনের বিকল্প ব্যবস্থা রোযা থাকার দরুণ হস্তমৈথুন হারাম।


ج - وَصَرَّحَ ابْنُ عَابِدِينَ مِنَ الْحَنَفِيَّةِ بِأَنَّهُ لَوْ تَعَيَّنَ الْخَلاَصُ مِنَ الزِّنَى بِهِ وَجَبَ.

ইবনে আবেদীন শামী রাহ. বলেন,যদি হস্তমৈথুন ব্যতিত যৌনক্ষুদা নিবারণের অন্য কোনো রাস্তা না থাকে, তাহলে তখন হস্তমৈথুন করা ওয়াজিব।


ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত কথার ব্যখ্যায় লিখেন,

(قوله: ولو خاف الزنى إلخ) الظاهر أنه غير قيد بل لو تعين الخلاص من الزنى به وجب؛ لأنه أخف وعبارة الفتح فإن غلبته الشهوة ففعل إرادة تسكينها به فالرجاء أن لا يعاقب اهـ زاد في معراج الدراية وعن أحمد والشافعي في القديم الترخص فيه وفي الجديد يحرم ويجوز أن يستمني بيد زوجته وخادمته اهـ وسيذكر الشارح في الحدود عن الجوهرة أنه يكره ولعل المراد به كراهة التنزيه فلا ينافي قول المعراج يجوز تأمل وفي السراج إن أراد بذلك تسكين الشهوة المفرطة الشاغلة للقلب وكان عزبا لا زوجة له ولا أمة أو كان إلا أنه لا يقدر على الوصول إليها لعذر قال أبو الليث أرجو أن لا وبال عليه وأما إذا فعله لاستجلاب الشهوة فهو آثم اهـ

যদি হস্তমৈথুন ব্যতীত কামপ্রবৃত্তি থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার বৈধ কোনো সুযোগ না থাকে,তাহলে তখন হস্তমৈথুন করাই ওয়াজিব। হ্যা কারো যদি কামপ্রবৃত্তি চড়াও হয়ে যায়,এবং সে এত্থেকে বাঁচতে হস্তমৈথুন করে নেয়,তাহলে আশা করা যায়,তাকে শাস্তি দেয়া হবে না। ইমাম আহমদ ও ইমাম শা'ফেয়ী রাহ থেকে মে'রাজুদ-দেরায়া কিতাবে বর্ণিত রয়েছে যে,পূর্ববর্তী যুগে অনুমতি থাকলেও বর্তমানে এর অনুমোদন নাই।হ্যা স্ত্রী বা বাদীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুনের অনুমোদন রয়েছে। কোনো কোনো কিতাবে হস্তমৈথুনকে মাকরুহ বলা হয়েছে। আস-সিরাজ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,যদি কেউ হস্তমৈথুন দ্বারা নিজ অন্তরকে কামপ্রবৃত্তির অশান্তি থেকে প্রশান্ত করতে চায়, এমতাবস্থায় যে সে অবিবাহিত এবং তার কোনো বাদীও নাই বা সে বিবাহিত কিন্তু সহবাস করা তার জন্য অসম্ভব,তাহলে এমন পরিস্থিতিতে ইমাম আবুল লেইস সমরবন্দি রাহ মনে করেন,আশা করা যায়,এমতাবস্থায় তাকে শাস্তি দেয়া হবে না। তবে কেউ নিজ কামপ্রবৃত্তিকে উপভোগ করার নিমিত্তে এমনটা করলে, তাহলে তখন অবশ্যই তার গোনাহ হবে।(রদ্দুল মুহতার-২/৩৯৯)



আল্লামা হাসক্বাফী রাহ লিখেন,

وَكَذَا الِاسْتِمْنَاءُ بِالْكَفِّ وَإِنْ كُرِهَ تَحْرِيمًا لِحَدِيثِ «نَاكِحُ الْيَدِ مَلْعُونٌ» وَلَوْ خَافَ الزِّنَى يُرْجَى أَنْ لَا وَبَالَ عَلَيْهِ.

হস্তমৈথুন মাকরুহে তাহরিমী। কেননা হাদীসে এসেছে, ''হাতকে বিবাহ কারী লা'নতপ্রাপ্ত''। তবে যদি কেউ যিনা ব্যভিচারের থেকে বাঁচতে হস্তমৈথুন করে নেয়, তাহলে আশা করা যায় যে,তার উপর শাস্তি প্রয়োগ করা হবে না।(রদ্দুল মুহতার-২/৩৯৯)



বিশিষ্ট ফকিহ আল্লামা রশিদ আহমদ রাহ বলেন,

হস্তমৈথুন সম্পূর্ণ  হারাম ও নাজায়েয । তবে কেউ কেউ যেমন ফকিহ আবুল লেইছ রাহ. মনে করেন,যিনা-ব্যবিচার থেকে বাঁচতে কেউ হস্তমৈথুন করে ফেললে তাকে শাস্তি দেয়া হবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া-৮/২৪৯)


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!

বিনা জরুরতে শুধুমাত্র উপভোগের জন্য হস্তমৈথুন মাকরুহ। কারো বিবাহ করার সামর্থ না থাকলে (যদিও আজকাল এমন মানুষ পাওয়া দুস্কর) এবং লাগাতার রোজা রাখার পরও যদি কারো যৌনচাহিদা এমন পর্যায়ের থাকে যে, যেকোনো মুহুর্তে হারামে লিপ্ত থাকার প্রবল আশংকা থাকে,অথবা কোনো কারণে রোযা রাখা সম্ভবপর না হয়, তাহলে এমতাবস্থায় হস্তমৈথুনের রুখসত রয়েছে, তখন হস্তমৈথুন করলে গোনাহ হবে না।। তবে প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে এমন কাজ সম্পাদন না করাই উচিৎ। 


মোটকথাঃ 

সাধারণত বিনা জরুরতে হস্তমৈথুন মাকরুহে তাহরিমি।(যেহেতু হারাম হওয়ার মত শক্তিশালী দলিল নেই তাই আমরা মাকরুহে তাহরিমি বলছি) তবে ব্যভিচার থেকে বাঁচার নিমিত্তে যদি কেউ করে নেয়, তাহলে এজন্য গোনাহ হবে না,যেমনটা ফকিহ আবুল লেইছ রাহ বলেছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...