বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
যেহেতু আপনি সরাসরি তাকে গোনাহের কাজে সাহায্য করছেন না, তাই আপনার কোনো গোনাহ হবে না। কেননা সাজ কে বৈধ ভাবেও ব্যবহার করা যায় আবার অবৈধভাবেও ব্যবহার করা যায়।তবে কোনো মহিলা সম্পর্কে পূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাস হলে যে, সে নাজায়ে কাজই তার সাজকে ব্যবহার করবে।এমন মহিলাকে সাজিয়ে দেয়া যাবে না।দিলের গোনাহ হতে পারে।
(২)
শ্যাম্পু করার সময় শ্যাম্পুর ঘ্রাণ যদি কোনো নন মাহরাম এর নাকে যায়, তবে গুনাহ হবে না।কেননা এখানে ইচ্ছাকৃত হয়নি।
(৩)
https://www.ifatwa.info/1900 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
অবৈধ ও হারাম সম্পত্তির মালিকের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে কিছুটা ব্যাখ্যা রয়েছে।
(১)লোকটির সম্পূর্ণ সম্পত্তিই হারাম।এবং সে তার ঐ সম্পত্তি থেকেই কাউকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(২)লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হারামের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৩)দ্বিতীয় প্রকারের উল্টো তথা-লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হালালের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৪)হারাম সম্পত্তির মালিক তার হারাম টাকা থেকে হাদিয়া দিচ্ছে না।বরং কারো থেকে হালাল টাকা ধার করে বা কারো কাছ থেকে অর্থ নিয়ে হাদিয়্যা দিচ্ছে।
১ম নং এবং ২য়নং সূরতে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ হবে না। আর ৩য় সুরতে জায়েয হলেও, গ্রহণ না করাই উত্তম।
এবং ৪র্থ সুরতে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ।
জ্ঞাতব্য যে,ব্যাংকের সকল ইনকাম হারাম নয়।বরং কিছু জায়েযও আছে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/398
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
উক্ত ব্যাংক কর্মকর্তার খাবার গ্রহণ জায়েয হবে না।
(৪)
টাকা রাখা যাবে।তবে মুনাফা গ্রহণ করা যাবে না।