আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
233 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
১/ পর্দা করে না এমন কোনো বোনকে আমি মেহেদী লাগিয়ে দিলে বা সাজসজ্জা করিয়ে দিলে বা ছবি তুলে দিলে সে যদি নিজের সৌন্দর্য পরপুরুষের সামনে প্রকাশ করে তবে কি তার গুনাহের ভাগিদার আমিও হব??

২/ শ্যাম্পু করার সময় শ্যাম্পুর ঘ্রাণ যদি কোনো নন মাহরাম এর নাকে যায় তবে কি গুনাহ হবে?
৩/ ইসলামি ব্যাংকে চাকরি করে এমন কোনো আত্মীয়র আনা খাবার কি খাওয়া যাবে? তার থেকে কি টাকা নেয়া যাবে?(ওনার অন্য কোনো ইনকাম নেয়)
৪/ইসলামি ব্যাংকে টাকা রাখা যাবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
যেহেতু আপনি সরাসরি তাকে গোনাহের কাজে সাহায্য করছেন না, তাই আপনার কোনো গোনাহ হবে না। কেননা সাজ কে বৈধ ভাবেও ব্যবহার করা যায় আবার অবৈধভাবেও ব্যবহার করা যায়।তবে কোনো মহিলা সম্পর্কে পূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাস হলে যে, সে নাজায়ে কাজই তার সাজকে ব্যবহার করবে।এমন মহিলাকে সাজিয়ে দেয়া যাবে না।দিলের গোনাহ হতে পারে।

(২)
শ্যাম্পু করার সময় শ্যাম্পুর ঘ্রাণ যদি কোনো নন মাহরাম এর নাকে যায়, তবে গুনাহ হবে না।কেননা এখানে ইচ্ছাকৃত হয়নি।

(৩)
https://www.ifatwa.info/1900 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
অবৈধ ও হারাম সম্পত্তির মালিকের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে কিছুটা ব্যাখ্যা রয়েছে।
(১)লোকটির সম্পূর্ণ সম্পত্তিই হারাম।এবং সে তার ঐ সম্পত্তি থেকেই কাউকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(২)লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হারামের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৩)দ্বিতীয় প্রকারের উল্টো তথা-লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হালালের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৪)হারাম সম্পত্তির মালিক তার হারাম টাকা থেকে হাদিয়া দিচ্ছে না।বরং কারো থেকে হালাল টাকা ধার করে বা কারো কাছ থেকে অর্থ নিয়ে হাদিয়্যা দিচ্ছে।

১ম নং এবং ২য়নং সূরতে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ হবে না। আর ৩য় সুরতে জায়েয হলেও, গ্রহণ না করাই উত্তম।
এবং ৪র্থ সুরতে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ।

জ্ঞাতব্য যে,ব্যাংকের সকল ইনকাম হারাম নয়।বরং কিছু জায়েযও আছে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/398

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
উক্ত ব্যাংক কর্মকর্তার খাবার গ্রহণ জায়েয হবে না।
(৪)
টাকা রাখা যাবে।তবে মুনাফা গ্রহণ করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...